হিমুর মধ্যদুপুর PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

হিমুর মধ্যদুপুর বইটি লিখেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। হুমায়ুন আহমেদ রচিত সবগুলো অসাধারণ বই। তারমধ্যে হিমু সমগ্রর বই গুলো অত্যন্ত চমৎকার ও মজাদার বই।
হিমুর মধ্যদুপুর অসাধারণ এই বইটি হিমু সিরিজের ১৯ তম বই। বইটি প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বইমেলায়। এই বইটি প্রকাশিত হয় অন্বেষা প্রকাশন থেকে এবং এটি একটি উপন্যাস। ৯৪ পৃষ্ঠার অসাধারণ এই বইটির মূল্য ২০০ টাকা মাত্র। চমৎকার এই বইটি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। তাই যারা বই পড়তে পছন্দ করেন আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
হিমুর স্বভাবই হল রাস্তায় হাটাহাটি করা। একটি চারা গাছ নিয়ে হিমু রাস্তায় হাটাহাটি করছে। চারাটিতে চারটি ফুল ফুটবে ঠিক মধ্যদুপুরে। গল্পের শুরু হয় হিমু আর মাজেদা খালার মাধ্যমে। মাজেদা খালা রাস্তায় হিমুকে দেখে তার থেকে একটা কিডনি নেওয়ার কথা বলেন। হিমুর যেকোন ব্যাপারে তেমন চমকে যাওয়ায় অভ্যাস নেই। তবুও মাজেদা খালার কথা শুনে হিমু কিছুটা চমকে যায়।
তারপর সে মাজেদা খালার সাথে পল্টু সাহেবের বাসায় যায় কিডনি দেওয়ার জন্য। সেখান গিয়ে হিমু তার বাসায় কাজের লোক হিসেবে চাকরি শুরু করে। পল্টু সাহেব একজন অদ্ভুত প্রকৃতির লোক। তার কাজ হল সব সময় বই পড়া। বই সাথে থাকলে তিনি আর কোন কিছু নিয়েই মাথা ঘামান না।
উপন্যাসের কিছুদূর গিয়ে রানুর সাথে দেখা হয়। রানু এসেছিল হিমুর কাছে টাকা ফেরত দিতে। এসেই সে ঝামেলার মধ্যে পড়ে যায়। হিমু তাকে রান্না করার মহিলা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় পল্টু সাহেবের কাছে। এভাবে উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর হিমুর কাছে আসে তার একনিষ্ঠ ভক্ত তার খালাতো ভাই বাদল। সেও হিমুর সাথে পল্টু সাহেবের বাসায় কাজ শুরু করে। সেখানে বাদল আর রানুর বেশ সখ্যতা গড়ে উঠে। এরপর পল্টু সাহেব হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মেডিকেল এ ভর্তি হয়। এই উপন্যাসে হিমু আর পল্টু সাহেব দুই অদ্ভুত চরিত্র মিলে কাহিনী তৈরি হয়েছে।
বাদলের বাবা, হিমু, বাদল আর রানুকে পুলিশ হাজতে নিয়ে যায়। সেখানে বাদলের বাবার রানুকে খুব পছন্দ হয়। রানুর কথাগুলো তার কাছে অনেক বুদ্ধিমতির মতো মনে হয়। তিনি বাদলের সাথে রানুর বিয়ের বিষয়ে সব দায়িত্ব হিমুর উপর দেন। থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হিমু আবার পল্টু সাহেবের বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে বাড়ির দারোয়ানের কাছে জানতে পারে পল্টু সাহেব বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছেন। আর হিমুকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখে গেছেন।
হুমায়ুন আহমেদ অত্যন্ত চিন্তাশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত একজন লেখক। তাঁর লেখার মাধ্যমে তিনি পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন। তার মধ্যে ‘হিমুর মধ্যদুপুর’ হল হিমু সিরিজের একটি অসাধারণ বই। হুমায়ুনের সৃষ্টকর্ম সবগুলোই অত্যন্ত চমৎকার। তার অসাধারণ প্রতিভার লেখনি দ্বারা মানুষের মন জয় করেছেন। তার রচিত প্রতিটি উপন্যাসই চমৎকার আর রোমাঞ্চকর। তাই বইপ্রেমিরা তার বই নিসন্দেহে পড়তে পারেন।