হিমুর রুপালি রাত্রি PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘হিমুর রুপালি রাত্রি’। হিমু ধারাবাহিকের বই গুলোর মধ্যে হিমুর রুপালি রাত্রি ৮ম। এই বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে। বইটি জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৪২ টি এবং বইটি শক্ত মলাটে ছাপা হয়েছে। এই বইটির বাংলাদেশী মূল্যঃ২২৫ টাকা। এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পূর্ববর্তী বই ‘ হিমুর দ্বিতীয় প্রহর ‘ এবং পরবর্তী বই ‘ একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা ‘।

হুমায়ুন আহমেদ রচিত প্রত্যেকটি উপন্যাস অত্যন্ত চমৎকার। হুমায়ুন আহমেদ তার রচিত বই গুলোর জন্যে চিরকাল মানুষের মনে অমর হয়ে থাকবেন। হিমুর রুপালি রাত্রি বইটিও অত্যন্ত চমৎকার। এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে free pdf download করে পড়ে নিতে পারেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।

হিমুর রুপালি রাত্রি উপন্যাসের মূল কাহিনী

উপন্যাসটি শুরু হয় একটি রহস্যময় চিঠির মাধ্যমে। ফাতোমা খালা আবার হিমুকে চিঠি লিখেছেন। এবারের চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ইয়াকুব নামের একজন লোককে খুঁজে বের করার জন্য। কারণ ফাতেমা খালার স্বামী মারা যাওয়ার আগে কয়েক লাখ টাকা দলিল করে যান। হিমুর কাজ হল সেই লোকটাকে খুঁজে বের করা। কারণ শহরের সব রাস্তা ঘাট হিমুর ভালো করেই চেনা, এইজন্য হিমু কাজটা আনন্দের সাথে করতেই নেমে পড়ে।

চিঠিতে খালা আরও জানিয়েছেন তামান্না নামর একটি মেয়ের সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক করেছেন। তিনি হিমুকে তার বাসায় আসার জন্য খালার ড্রাইভার কে পাঠিয়েছেন গাড়িসহ। উপন্যাসটি পড়লে বোঝা যাবে ড্রাইভার এসে হিমুর অনেক পাগলামি সহ্য করে। হিমু যেতে চায়না স্বত্বেও তাকে জোর করে খালার বাসায় নিয়ে যায়। খালা হিমুকে কিছু টাকা দিয়ে রেস্টুরেন্টে পাঠায় তামান্নার সাথে দেখা করার জন্য।

রেস্টুরেন্টে যেয়ে হিমু দেখে অনেক ছেলে মেয়ে বসে আসে। তারপর হিমু তামান্নার সাথে দেখা করে চলে আসে। তমান্নার সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক হয়। রুপা হিমুকে বলে, হিমুকে নাকি তার নতুন লাগছে। কারণ হিমু কারো সাথে প্রতারণা করেনা। কিন্তু এইবার করবে, কারণ রুপা জানে বিয়েতে সবাই উপস্থিত হবে শুধু হিমু ছাড়া। কারণ হিমুরা কখনো কারো মায়ায় জড়ায় না।

হিমুর একটা বন্ধু আছে তার নাম ব্যাঙাচি। সে হল সর্বভুক, পৃথিবীর সব খায়। তার সামনে সয়াবিন তেল থাকলেও খেয়ে নেয়। তাকে জার্নিতে নিয়ে বিভিন্ন মজার ঘটনা ঘটে। তারপরের ক্যারেকটার হল মেছকান্দর মিয়া। সে একটি পাথরের সাথে ধাক্কা খায়। হিমুর মতে সেটি হল রহস্যময় পাথর। হিমুর খালা যেকোন উপায়ে সে পাথর পেতে চায়। কিন্তু মেছকান্দর মিয়া পাথরটি দিতে রাজি হয়না। এমনকি ২০,০০০ হাজার টাকার বিনিময়েও সে দিতে চায় না। এরপর আবার হিমুকে রমনার পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে যায়।

আবার প্রতি বারের মতো ছাড়াও পেয়ে যায়। ছাড়া পেয়ে সে রাস্তায় হাটাহাটি শুরু করে দেয়। তামান্নার সাথে বিয়েতে হিমু যায় না। কারণ হিমু মহাপুরুষ হতে চায় মহাপুরুষরা কখনো কোনো মায়াতে জড়াতে পারে না। এইটা তার বাবার উপদেশ। তার বাবার আরো অনেক উপদেশ রয়েছে এই উপন্যাসটিতে। সেই সব কিছু জানতে হলে পড়তে হবে ‘হিমুর রুপালি রাত্রি ‘।

হিমুর রুপালি রাত্রি PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top