ইলিন মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের অতি পরিচিত ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি তাঁর রচনার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। মানুষ তার পরিচয় পায় কর্মের মাধ্যমে ঠিক তেমনি ভাবে লেখক মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তার লেখার মাধ্যমে পাঠকদের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেছেন। তার লেখার ধরন এতটাই হৃদয়স্পর্শী চেয়ে খুব তাড়াতাড়ি পাঠকেরা তার লেখাকে সাদরে গ্রহণ করেছে। তিনি অন্যান্য উপন্যাস গুলোর চেয়ে সাইন্স-ফিকশন বেশি লিখেছেন। অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “ইলিন” সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

“ইলিন”মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে 2020 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী।বইটির প্রচ্ছদ লিখেছেন মোহাম্মদ বায়জিদ আহমেদ। বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 128 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 188 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোশতাক আহমেদ ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কাছে অতি পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি তার একটা আলাদা টান লক্ষ্য করা যায়। সেই পড়ার আগ্রহ থেকেই মূলত লেখালেখি শুরু হয়। তিনি ভৌতিক, থ্রিলার, প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, কিশোর গল্প এছাড়াও সাইন্স ফিকশন লিখেছেন।

সময়টা 2020 সাল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণাগারের প্রধান হলেন রাইবাট। ব্যস্ততার কারণে তিনি এবং তার চিকিৎসক স্ত্রী মিলিনা সময় দিতে পারেন না তাদের একমাত্র সন্তান হ্যারিকে। তাই তার বাচ্চাকে ভোলানোর জন্য একটি ক্লোন কিনে দিয়েছেন। সেই ক্লোনের নাম হল ইলিন। ইলিনকে পেয়ে হ্যারি মহাখুশি। ইলিন তার জীবনে এনে দিয়েছে এক অন্যরকম জগৎ। যে জগতে শুধু রয়েছ আনন্দ, উচ্ছল আর খুশি।

হ্যারির আনন্দ দেখে তার বাবা-মা প্রচন্ড খুশি হয়েছেন। কিন্তু তাদের দুজনের কেউই জানতেন না তাদের বিরুদ্ধে চলছে এক গোপন ষড়যন্ত্র। আর সেই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে তার সহকারী কমান্ডার বিক্স এবং পৃথিবীর অন্যতম ক্লোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লিওলেক্স এর প্রধান লিটলি বাট। তাদের অনৈতিক দাবি পূরণ না করার কারণে তারা হত্যা করেন প্রফেসর রাইবাট ও তার স্ত্রী কে।

তাদের এই ঘৃণ্য অপরাধের দোষ চাপিয়ে দেন নিষ্পাপ অসহায় আর সকলের প্রিয় ইলিনের ওপর। এই কথা শুনে ইলিন কে ধরতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। এদিকে হ্যারির একমাত্র অবলম্বন ইলিন কে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে। এলিয়েন নিজেই নিজেকে কথা দেয় শত কষ্ট, দুঃখ থেকে হ্যারি কে রক্ষা করবে। শেষ পর্যন্ত হ্যারিকে সকল প্রকারের ষড়যন্ত্র ,দুঃখ ,কষ্ট থেকে রক্ষা করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে একটি রোগে মারা যায়।

ইলিন ছিল পৃথিবীর শেষ ক্লোন। ইলিনকে যেখানে দাফন করা হয়েছিল সেই জায়গাটার নাম দেওয়া হয় জোনাকি পাহাড়। গল্পের শেষে আমরা দেখতে পাই ইলিন মারা যাওয়ার আগে হ্যারির বাবা-মার হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করে যায়।

অসম্ভব সুন্দর এই গল্পটি যারা এখনো পড়েননি তারা অনেক কিছু মিস করে গেছেন। গল্পটিতে লেখক কল্পনার মাধ্যমে এমন ভাবে বিষয়বস্তু উপস্থাপনে করেছেন যেন বাস্তবতাকেই হার মানায়। মোশতাক আহমেদ একটি ক্লোনের মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে,অন্যায়ের শাস্তি হবেই সেটা যেই করুক। তাই বলবো একবার হলেও গল্পটি পড়ে দেখুন। কিছুটা সময় অন্য ভুবনে হারিয়ে যাবেন উপন্যাসটি পড়তে লাগলে। খুবই ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top