ইশতেহার PDF Download আবুল ফাতাহ

‘আবুল ফাতাহ’ বর্তমানের একজন জনপ্রিয় লেখক সাথে প্রচ্ছদ শিল্পী। এ পর্যন্ত যে সব বই প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে পলেটিক্যাল থ্রিলার ‘ইশতেহার’ বইটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। লেখক নিজেও বলেন, এটা তাঁর অন্যতম সেরা কাজ। এমনকি অন্যসব বই থেকেও বেশি ভালো! সুতরাং বুঝাই যায় দারুণ একটা বকি হবে এটি। বইটা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

বিলাসবহুল এক ফ্ল্যাটে প্রবেশ করল পেশাদার এক চোর। একটা ফাইলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট পড়েই তার চোখ দুটো মুহুর্তেই হয়ে গেল ছানাবড়া। কেননা ফাইলে যা লেখা আছে তা বাস্তবায়ন হলে চরম দুর্দশা নেমে আসবে দেশে। গৃহযুদ্ধও লেগে যেতে পারে।

এদিকে ঘনিয়ে আসছে নির্বাচন। নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে নতুন এক রাজনৈতিক দল। দলটির নাম ‘জনবন্ধু’। যদিও দলটি নতুন কিন্তু রাজনীতির ময়দানে নেমেই যেন আলাদা আকর্ষণ পেতে শুরু করেছে জনগণের। দলটির প্রধান ড. আসাদ কায়সার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঠিক তখনই সালাম নামের এক আনাড়ি কন্ট্রাক্ট কিলারকে ভাড়া করা হলো আসাদ কায়সারকে হত্যা করার জন্যে। সালাম, যে কিনা নিজেই তার জীবনে বড্ড বেশি ব্যর্থ সে কি পারবে ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রীকে খুন করে ফেলতে?

অন্যদিকে দেশের একমাত্র প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সিক্রেট শ্যাডোর কাছে এলো অদ্ভুত এক ফোন কল। অনেকেই মজা করার ছলে সিক্রেড শ্যাডো ভুলভাল তথ্য দিয়ে থাকলেও এবারের কলারের দেওয়া তথ্যটি ছিল একেবারেই অদ্ভুত। কলারের লোকেশন ট্র‍্যাক করে সেই লোকেশনে পৌছেই মিলল কেবল মাত্র একটা স্মার্টফোন।

স্মার্টফোনে মিলল না কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট। সতর্কতার সাথে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সবকিছু। স্মার্টফোনটাই সৃষ্টি করে ফেলল জটিল এক ধাঁধা। তাহলে কল করলই বা কে? জটিল সে ধাঁধাটির উত্তর কি বের হবে?
সব রহস্য আর সমাধান জানতে পড়ে ফেলুন ‘ইশতেহা’ বইটি।

১৯২ পৃষ্ঠার একটা বই। কিন্তু পুরো বইটাই একটানা পড়ে শেষ করার মতো বইটি। বইটা যেহেতু পলেটিক্যাল থ্রিলার তাই পলিটিক্স সম্বন্ধে একটু ধারনা থাকলে ভালো আর না থাকলেও বইটা চমৎকার উপভোগ করতে পারবেন।

কিছুটা প্রেডিক্টেবল হলেও পুরো ব্যাপারটা আমি ধরতে পারিনি। যতোটুক আমি প্রেডিক্ট করেছি সেটা তো ছিলই পাশাপাশি যেগুলো আমার ধারণার বাইরে ছিল সেগুলোর সংমিশ্রণে একটা অসাধারণ থ্রিলিং কাজ করেছে। পলিটিক্যাল থ্রিলার পড়তে যারা খুব বেশি আগ্রহী তাদেরকে নিশ্চয়ই আমি এই বইটি সাজেস্ট করব।

লেখকের এই প্রথম কোনো বই আমি পড়েছি। সাবলীল লেখনশৈলী। চমৎকারভাবে একেকটি ঘটনাকে প্রেজেন্ট করেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। বইটি পড়ার সময় একটা কথা বারবার মনে হতে পারে যে, আপনি কোনো আমেরিকান বা বিট্রিশ থ্রিলার পড়ছেন কেননা বাংলাদেশে সিক্রেট শ্যাডোর মতো কোনো প্রাইভেট ইইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আছে বলে আমার অন্তত জানা নেই। কিন্তু লেখক যে ভাবে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন তাতে বিশ্বাস না হয়ে উপায় নেই।

চরিত্র বিশ্লেষণ

চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রেও কোনো কমতি লেখক রাখেননি। প্রায়সময় দেখা যায়, উপন্যাসের প্রধান চরিত্রকে খুব বেশি সক্রিয় করতে তার উপরই কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে নির্ভর করতে। অর্থাৎ, উপন্যাসের মূল চরিত্র যিনি তিনি কথা ও কাজ দুটোই করেন কিন্তু গৌণ চরিত্রগুলিকে শুধুমাত্র কথপোকথন বলার জন্য আনা হয়। এই উপন্যাসটি মোটেই তেমন না। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মেজর সাইফ হলেও অন্যান্য চরিত্রগুলো তাদের নিজ নিজ স্থান থেকে বেশ স্ট্রং দেখানো হয়েছে। আর এটাই আমার বেশি পছন্দ হয়েছে, কারণ সবাই এরকমটা পারে না।

সবশেষে বলবো, দারুণ পেইজ টার্নার আর অসাধারণ কোনো কাহিনী উপভোগ করতে চাইলে বইটা অবশ্যই পড়বেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top