জাল PDF Download মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

বাংলাদেশের স্বনামধন্য লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস হলো “জাল”। তিনি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে তার থ্রিলার রচনা জন্যই বেশি পরিচিত হয়েছেন‌। তার বিখ্যাত থ্রিলার গুলোর মতই “জাল” ও একটি অসাধারণ উপন্যাস। তার লেখাগুলো এতটা সাসপেন্সে ভরপুর হয় যে পাঠকরা সেটা শেষ না করা অবদি ছাড়তে পারেন না। আপনারা যারা “জাল” উপন্যাসটির হার্ডকপি এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এখনি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

জাল মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার ও এ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। এই উপন্যাসটি পাঠকদের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছেন। তার এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2013 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটি তৃতীয়বারের মতো প্রকাশিত হয় 2015 সালের জুন মাসে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। বইটি প্রকাশ করে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 210 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 196 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

“জাল” বইটির প্রধান চরিত্র হলো রুহি মালিক। মে পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার পুরনো বন্ধু রফিকের খুনের জন্য। রুহিন মালিক পেশায় সুপ্রিমকোর্টের জাদরেল ব্যারিস্টার। পুলিশ যখন তাকে গ্রেপ্তার করে, তিনি অস্বীকার করেন যে খুনটা তিনি করেননি। তিনি অন্য সবার মতো একজনের উপর খুনের দোষ চাপিয়ে দেয়।

রুহিন মালিক যার ওপর খুনের দোষ চাপায় তার নাম হলো মাহবুব। তিনি মানসিক বিকারগ্রস্থ ছিলেন। কিন্তু যেদিন রফিকের খুন হয় সেদিন মাহবুবের অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন চলছিল হাসপাতালে। এর আগে মাহবুব তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য জেল খেটেছিলেন। সেটার কেসটি রুহিন মালিক দেখছিল। হাসপাতলে থাকা অবস্থায় কিভাবে খুনটা মাহবুব করল? এই প্রশ্নটা সবার মনেই এসেছিল।

রুহিন মালিক শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয় তিনি তার নিজের কেস নিজেই লড়বেন। এজন্য তিনি সাহায্য প্রার্থী হন ডিবির সাবেক ইনভেস্টিগেটর কেএস খানের সাথে। কে এস খান এতটাই বুদ্ধিমান ইনভেস্টিগেটর যার ঝুলিতে একটাও অমীমাংসিত কেস পাওয়া যাবে না। তিনি রুহিনের সব কথা শুনে তাকে সাহায্য করার জন্য রাজি হয়।

কে এস খান রুহিনকে এক শর্ত দেয়। সেটা হলো কেসে যদি প্রমাণিত হয় রূহিনই আসল খুনি,তখন তাকে আইনের হাতে তুলে দিবে। কে এস খান অকালে রিটায়ার্ড করেন ডিবি পুলিশ থেকে। বর্তমানে ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে প্রশিক্ষণ দেন। রুহিন মালিকের কেসটি কে এস খানের প্রিয় ছাত্র আমিনুলের কাছে আসে।

এই উপন্যাসে লেখক মূলত কীভাবে খুনটা করা হয়েছে? সেটার বিষয়ে বেশি কথা তুলে ধরেছেন। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আগের উপন্যাস গুলোতে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে কে খুন করেছে সেই তদন্ত। কিন্তু তার “জাল” উপন্যাসটিতে কিভাবে খুনটা করা হয়েছিল এটা নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে।

তার অন্যান্য থ্রিলার উপন্যাস গুলোর মতই এখানেও টান টান উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। অন্যান্য থ্রিলারের চেয়ে কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। শেষ পর্যন্ত কে এস খান বুদ্ধি বিচক্ষণতা দিয়ে কেসটি সমাধান করেন। লেখক এখানে কেএসের চরিত্রকে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।

এই উপন্যাসটি পড়তে লাগলো অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হবে পাঠকরা। খুনটা কে করলো রূহিন মালিক নাকি মাহবুব? মাহবুব কিভাবে হাসপাতালে শুয়ে থাকা অবস্থায় খুনটা করল? রুহিন মালিক নিজেকে বাঁচানোর জন্য কি মিথ্যে গল্প বলছে?এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে। আশা করি বইটা পড়ে কেউ নিরাশ হবেন না।

জাল PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top