জনারণ্যে একা কয়েকজন PDF Download শরীফুল হাসান

শরীফুল হাসান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় লেখক। তিনি সবার কাছেই বেশ পরিচিত মুখ। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে সবার মনের মনিকোঠায় অনেক সহজে পৌঁছে গেছেন। তার সবগুলো উপন্যাসই অনেক বেশি সমাদৃত পাঠকদের কাছে। লেখক যেমন অনেক সুন্দর লিখতে পারেন তেমনি ভাবে সামাজিক গল্প অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে পাঠকদের সামনে। তেমনভাবেই “জনারণ্যে একা কয়েকজন” উপন্যাসটিও অনেক বেশি পরিচিত ও সমাদৃত পাঠকদের কাছে।

“জনারণ্যে একা কয়েকজন” শরীফুল হাসানের একটি বিখ্যাত সমকালীন উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশ হওয়ায় 2018 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট সংখ্যা রয়েছে 239 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 196 টাকা। অসাধারণ এই বইটির হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে খুব সহজ উপায়ে ও বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলতে পারবেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

গল্পটি ছোট হলেও প্রতিমুহূর্তে এই গল্পে পাঠকরা নতুন নতুন অনেক কিছুই খুঁজে পাবে যেটা আগ্রহ বাড়াবে। গল্পটির বিষয়বস্তু দেখে থ্রিলার মনে না হলেও বেশ আকর্ষণীয় লাগবে পড়তে। আমরা বিশ্বাস না করতে চাইলেও এটা জানি আমাদের জীবনটাই তো একটা ননস্টপ থ্রিলার। আসলে লেখক শরীফুল হাসান এখানে দেখাতে চেয়েছেন যে, আমরা এত মানুষের ভিড়ে থেকেও সবাই আসলে কতটুকু একা আর অসহায় সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করেছেন এই উপন্যাসে।

এই উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু হল মানুষ আসলে একা। আমরা প্রথমে যখন অন্ধকারের দিকে তাকাই তখন কিন্তু সবকিছু অনেক বেশি অন্ধকার লাগে। তারপর আস্তে আস্তে সেটা পরিষ্কার হতে থাকে। তেমনি জীবনটা এরকম, গভীর মনোযোগ দিয়ে জীবনকে বিশ্লেষণ না করলে কিছুই স্পষ্ট হয় না।

আসিফ ঢাকা একটা বাসায় সাবলেট হিসেবে থাকে। আফরোজা এবং মঞ্জুরের ছোট্ট সংসার। তাদের একটি সুন্দর মেয়ে আছে। আফরোজা তার ভাইকে তাদের কাছে রাখেন। কিন্তু হঠাৎ করে মঞ্জুরের চাকরি ছেড়ে দেয়ার জন্য সংসার খরচ কমাতে তার ভাইয়ের সাথে সাবলেট হিসেবে আসিফকে উঠায়। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আকবরের ভালো বন্ধু হয়ে যায় আসিফ। আসিফ আফরোজা ও মঞ্জুরকেও অনেক আপন করে নেয়।

আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ভার্সিটিতে ওর বন্ধুবান্ধব তেমন একটা নেই। যে কয়েকজন ক্লোজ তারা হয়তো ওকে অনেক ভালভাবে চেনে বলেই ওর সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। আসিফ নায়লা নামের একজনকে মনে মনে অনেক পছন্দ করে। নায়লার হাবভাব দেখে বোঝা যায় সে হয়তো মনে মনে আসিফ কে পছন্দ করে। শাহেদ ও আসিফের অনেক ভালো বন্ধুত্ব অন্য সবার থেকে। আসিফ একদিন শাহেদের হলে সারারাত থাকে এবং অনেক আনন্দ করে।

হঠাৎ একদিন নায়লার বড় বোন শায়লা অসুস্থ হয়ে যায়। একবার বোনম্যারো ট্রান্সফার করা হয়েছিল। এইসব চিন্তা করার জন্য নায়লা অনেক বিষন্নতায় ভোগে। আবার নাকি অপারেশন করতে হবে। এদিকে আকবর আছে তার রাজনীতি নিয়ে। আকবরের বিশ্বাস ও যদি কোনো ভালো নেতার শেল্টার পায় তাহলে তার ওপরে উঠতে দেরি লাগবে না। আকবর এতটাই সিরিয়াস চেয়ে তার কাজের জন্য সে কাউকে খুন করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

এখানে লেখক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক ঝাঁক উজ্জ্বল চোখের ছেলেমেয়েদের মনের অবস্থা কেমন হয় ও তাদের সময় কেমন কাটে সেসব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আবার আকবরের রাজনীতিতে যাওয়া এবং সে কোনো কাজ করতে পারো না কারন তার মায়ের বাঁধনের জন্য। আবার এদিকে ছোট ব্যবসায়ী মঞ্জুর কিভাবে যেন পা পিছলে তলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের দুনিয়ায়। এই সব কিছুরই বাস্তবতার গল্প তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে। আসলে এই গল্পটা একার নয় সবার। তাই আর দেরি না করে গল্পটি পড়ে ফেলুন অনেক ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top