জীবিত ও মৃত PDF Download রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – জীবিত ও মৃত গল্পের প্রশ্ন উত্তর

জীবিত ও মৃত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অসাধারণ ছোটগল্প গল্পগুচ্ছ হতে সংগৃহীত। জীবিত ও মৃত গল্পটি রবি ঠাকুরের আর সব ছোটগল্প থেকে একেবারেই আলাদা ও পাঠকসমাজে অত্যন্ত সমাদৃত একটি ছোট গল্প। রবি ঠাকুরের নারী চরিত্রগুলো সত্যিই অসাধারণ তবে কিছু চরিত্র রয়েছে যারা কিছুটা ব্যতিক্রম।

কাদম্বিনী নামের একটি গ্রামের সরল গৃহবধূর জীবনী নিয়ে লেখা রবি ঠাকুরের ছোটগল্প জীবিত ও মৃত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ছোট গল্প। বাংলা সাহিত্যের হয়তো এমন কোন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা রবি ঠাকুরের এই অসাধারণ গল্পটি পড়েনি। এই ছোটগল্পটি বিখ্যাত লাইন হল “কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই”।

কাদম্বরী বিধবা রমণী শ্বশুরবাড়িতে দেবর ও জায়ের সাথে বসবাস করত। হঠাৎ করে কঠিন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় কাদম্বিনীর। মৃতের সৎকারের জন্য শ্মশান ঘাটে নিয়ে গেলে কাদম্বিনী জেগে ওঠে কারণ সাময়িকভাবে শুধু তার শ্বাস চলাচল বন্ধ ছিল কিন্তু বেঁচেছিল কাদম্বিনী। শশান ঘাটে যারা মরা পোড়াতে গিয়েছিল, তারা কাঠ আনতে চলে যায় কাদম্বিনীকে একলা ফেলে।

জ্ঞান ফিরে কাদম্বিনী ভাবে যে সে সত্যিই মারা গেছে এবং সেখান থেকে চলে যায়। লোকজন ফিরে এসে কাদম্বিনীর লাশ না পেয়ে ভাবে হয়তো শিয়ালে টেনে নিয়ে গেছে। কথাটা ছাড়া আর কাউকে জানায় না। শব ঠিকঠাক দাহ করা হয়েছে সবাইকে জানিয়ে দেয় তারা।

এদিকে কাদম্বিনী নিজেকে মৃত মানুষের আত্মা মনে করে। সে অনেক সন্ধান করে তার বাল্য সখীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তার বাল্য সখি তাকে সাদরে গ্রহণ করে। যেহেতু কাদম্বিনী নিজেকে মৃত মনে করে তাই সে সবসময় নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা মনে করে আবার নিজেই নিজেকে ভয় পায়। ধীরে ধীরে সেই বাড়ির পরিবেশ অনেকটাই খারাপ হয়ে যায় কাদম্বিনীর কারণে। অনেক দিন কেটে গেলেও কাদম্বিনী ফিরে যাচ্ছে না কেন এতে বেশ বিরক্ত হয় তার সখি। সুখী তার স্বামীকে সন্ধানে পাঠায় কাদম্বিনীর শ্বশুরবাড়ি।

সেখানে গিয়ে জানতে পারে যে কিছু করার পূর্বেই কাদম্বিনীর মৃত্যু হয়েছে। ফিরে এসে সমস্ত যখন সখীকে কে জানায় তার স্বামী, তখন তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। প্রচুর ভয় পেতে থাকে তারা এই ব্যাপারটা নিয়ে। তৎক্ষণাৎ স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন শুনতে পেয়ে কাদম্বিনী নিজের শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যায়। ততক্ষনে এসে বোঝা যায় সে আসলে মৃত্যুবরণ করে নি।

শ্বশুরবাড়ির সবাই কাদম্বিনী কে দেখে অত্যন্ত ভয় পায়। শত চেষ্টা করেও কাদম্বিনী তাদের বোঝাতে পারে না যে আসলে তার মৃত্যু হয় নি। কোন উপায় না পেয়ে কাদম্বিনী দিঘির জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে ডিজে কাদম্বিনী আসলে মরেনি। এভাবেই এক করুন পরিণতির শিকার হতে হয় কাদম্বিনী কে।

রবি ঠাকুরের অসাধারণ উপন্যাসটি পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যখন খুশি ডাউনলোড করে নিন রবি ঠাকুরের অসাধারণ ছোটগল্প জীবিত ও মৃত এর পিডিএফ ফাইল আর শেয়ার করুন বন্ধু বান্ধবদের সাথে।

জীবিত ও মৃত PDF

জীবিত ও মৃত গল্পের জমিদারের নাম কি

আপনি যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবিত ও মৃত গল্পের জমিদারের নাম জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে তা জেনে নিতে পারবেন। জীবিত ও মৃত গল্পের জমিদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এখানে রয়েছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবিত ও মৃত গল্পটি 1892 খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন। এই গল্পটির প্রধান চরিত্র হলো কাদম্বিনী এবং এই কাদম্বিনী সন্তানহীনা একজন বিধবা নারী।

এক সময় এই কাদম্বিনী মৃত্যুবরণ করলে তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করার সময় সে বুঝতে পারে সে বেঁচে আছে এবং পরক্ষণেই সে হেঁটে তার বান্ধবীর বাড়িতে চলে যাই। তবে সেখানকার সেই জীবনযাপন তার ভালো লাগে না এবং পরবর্তীতে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এভাবে গল্পটি আবর্তিত হয় এবং আপনারা যারা জীবিত ও মৃত গল্পের জমিদারের নাম জানতে চাইছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তার জেনে নিন।

জীবিত ও মৃত গল্পের কাদম্বিনী চরিত্র

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবিত ও মৃত গল্পের কাদম্বিনী চরিত্র সম্পর্কে যারা জানতে চাইছেন তারা এখান থেকে তা জেনে নিতে পারবেন। কাদম্বিনী তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে এবং তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছেন। কাদম্বিনী সন্তানহীনা একজন নারী। ভাসুরের ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকলেও পরবর্তীতে কাদম্বিনী মৃত্যুবরণ করে এবং তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার জন্য শ্মশানে যাওয়ার সময় সে জেগে উঠে। কিন্তু সে তার নিজের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিল এবং সে মনে করে যে সে আসলে তার ভূত।

সে তার বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলেও সেখানকার পরিবেশ তার ভালো লাগে না বলে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে এবং শ্বশুরবাড়িতে এসে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। সবাই তার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং সে মনে করে যে সে আর এই পৃথিবীতে বসবাস করবে না। তাই কাদম্বিনী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এভাবে সে নিজে মৃত্যুবরণ করে প্রমাণ করলো যে সে আসলে বেঁচে ছিল।

জীবিত ও মৃত গল্পের প্রধান চরিত্রের নাম

আপনি কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবিত ও মৃত গল্পটি পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই গল্পটির মধ্যে যে অতিপ্রাকৃত বিষয় রয়েছে তার মধ্যে একটি ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টি প্রদান করা হয়েছে। এখানে একজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে এবং এই মানুষটি হলো এই গল্পের প্রধান চরিত্র। একজন মানুষ যখন বেঁচে থাকে এবং বেঁচে থাকার পরও যখন কারো কাছে সমাদর পায় না তখন সেই মানুষটি বেচে থেকেও যেন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে।

ঠিক জীবিত ও মৃত গল্পের প্রধান চরিত্র হলো কাদম্বিনী এবং এই নারী চরিত্রটি সন্তানহীনা বিধবা নারী। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার পরেও যখন সে মৃত্যুবরণ করেছে বলে তাকে সৎকার করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন সে বেঁচে ওঠে এবং পরবর্তীতে সে তার নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। একসময় সে নিজে আত্মহত্যা করে সকলের মাঝে প্রমাণ করে দিয়ে যায় যে সে আসলে বেঁধেছিল এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়েই সে তার অস্তিত্ব প্রমাণ করে দিয়ে গেছে।

জীবিত ও মৃত গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq

আপনি যদি জীবিত ও মৃত গল্পের প্রশ্নের উত্তর mcq আকার পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তা সংগ্রহ করে নিবেন এবং প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবিত ও মৃত গল্পটি 1982 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় এবং এই গল্পটি অস্তিত্ববাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। একজন মানুষ বেঁচে থাকার পরেও যখন এই সমাজের কাছে অথবা অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের কাছে অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে থাকে তখন তার বেঁচে থাকা এবং মৃত্যুবরণ করা সমান হয়ে ওঠে।

জীবিত ও মৃত গল্পের কাদম্বিনী চরিত্রটি সেই দিক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুবরণ করেছে বলে তাকে সৎকার করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হলেও পরবর্তীতে সে বেঁচে যায় এবং নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ভুগতে থাকে। শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসলে তার অস্তিত্ব নিয়ে যখন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ওঠে তখন সে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে একসময় মৃত্যুবরণ করে এবং এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সে তার অস্তিত্ব প্রমাণ করে দিয়ে যায় সকলের কাছে। গল্পের একটি শেষ লাইন রয়েছে যা সকলের মনে দাগ কাটে। সেটি হল যে কাদম্বিনী মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সকলের কাছে প্রমাণ করে দিয়ে গেল যে আসলে সকলের মাঝেই বেঁচে ছিল।

জীবিত ও মৃত গল্পের প্রশ্ন উত্তর

জীবন ও মৃত গল্পটি যারা পড়েছেন তারা এখান থেকে অস্তিত্ববাদের ধারণা পাবেন এবং একজন মানুষ কিভাবে অস্তিত্বহীনতায় ভোগে তা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবেন। আপনারা যারা জীবিত ও মৃত গল্পটি পড়বেন তারা এই গল্পটি খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করলে তখন এই গল্পের আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

গল্পটি পড়ে আপনার অবশ্যই মন্তব্য জানাবেন এবং এই গল্পটি জায়গায় পড়েননি তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষায় যাতে প্রশ্নের উত্তর করতে সুবিধা হয় তার জন্য জীবিত ও মৃত গল্পের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসা হয়েছে। পরীক্ষায় কমন পড়ে এমন কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর এমনভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন এবং এই গল্প সম্পর্কে মৌলিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top