জিন PDF Download এম. জে. বাবু

বর্তমানে একজন থ্রিলার লেখক বেশ নাম করেছেন এম. জে. বাবু। থ্রিলার জগতেই বেশি পরিচিতি তাঁর। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ টি ভিন্ন ভিন্ন থ্রিলার উপন্যাস লিখেছেন তিনি। সবগুলোই জনপ্রিয়। শুধু জনপ্রিয় বললে ভুল হবে, একটু বেশিই জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাঁর বইগুলো। আসলে জনপ্রিয় হওয়ার মতই। খুব ভালো লিখেন তিনি।

সম্প্রতি নতুন একটা বই লিখেছেন তিনি। বইটার নাম ‘জিন’। প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে এ বইটাও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। হওয়ার মতই। বইটা মূলত অকাল্ট থ্রিলার। অনেকটা হরর সিনও রয়েছে। যা ভয় পাওয়াতে বাধ্য। এই বইটা লিখতে তিনি বেশ পরিশ্রম করেছেন। তাঁর এই অসাধারণ বইটা যারা পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপঃ নোয়াখালী-২ আসনের এমপি সাজেদ বিবাহিত হলেও অনেকদিন ধরে সন্তানহীন। তার স্ত্রী তারিন। বিভিন্ন চিকিৎসার পর ও যখন সন্তান হয়নি। তখন তারা এতিমখানায় এসেছেন বাচ্চা দত্তক নিতে।
তারা কতিপয় বাচ্চার মাঝে একজন বোবা মেয়ে বাচ্চা পছন্দ করে,সাথে নিয়ে আসেন।

তবে তাদের যদি অদৃশ্য সৃষ্টি দেখার শক্তি থাকতো তবে দেখতে পেত- ছোট্ট বাচ্চা কে গাড়িতে চড়িয়ে রওনা দেওয়ার সাথে সাথে তারা একটি কালো ছায়া ও নিয়ে গেলো সাথে করে। যার পরিণতি তাদের বেশ ভোগাবে।

তারপর আগমন ঘটে রফিক, আসলান, শহীদ, জাফর, হাফেজ মিয়া, জনু কবিরাজ এবং হুজুর ইমরানের।
মাহার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পর ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পরে তারিন।
কিন্তু নিজের অসুস্থতার কথা সে জানেনা।

ধীরে ধীরে তার অসুস্থতা মানসিক ভারসাম্যহীনতা হিসেবে ধরা দেই সবার চোখে।ধীরে ধীরে সমস্যা প্রকট হতে থাকে আর স্ত্রীর চোখের বিষ হতে থাকে সাজেদ। রফিক বাড়ি থেকে একজন পির বাবার কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলে নিয়ে আসে একজন হুজুর কে।
হুজুরের আগমনের পর পাল্টে যায় চিত্র।সামনে চলে আসে জ্বীনের অস্তিত্ব। আর ঘটতে থাকে ভয়াবহ সব ঘটনা।

এই গল্পটা সাজেদ আর তার অসুস্থ স্ত্রী তারিনেরতারিন অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সাজেদের ঘরে ঘটতে থাকে অদ্ভুত সব ঘটনা। ঘটনা চক্রে এর সাথে জড়িয়ে তাদের গৃহ শিক্ষক আসলান।
এই গল্প একজন নাস্তিকের আস্তিক হওয়ার ও গল্প।

বেশ অনুভব করেছি বই টি পড়তে গিয়ে, যেহেতু আমি বিশ্বাসী মানুষ তাই অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। ছোট খাট ভুল থেকে কত বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে তা আমাদের অজানা। ভালোর বিপরীতে খারাপ যতই শক্তিশালী হোক না কেন ভাল’র উপর আল্লাহ তায়ালার রহমত সবসময় বর্ষিত হয়। এবং সবসময়ই, কিছুটা দেরি করে হলেও ভালোটাই জয়ী হয়।
হরর থ্রিলার বই হিসেবে একটা রোলার কোস্টার একটা রাইড ছিল বলা যায়। বেশ উপভোগ করেছি।

চরিত্র বিশ্লেষণঃ বইয়ে বেশ কয়েকটা চরিত্র রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে যে চরিত্রটাকে সেটি হলো ‘জাফর’ নামের চরিত্রটা। যদিও বইয়ের প্রায় অর্ধেকে সে এসেছে তবুও বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এই জাফর সাহেব। এবং লেখক বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁকে। অন্যদিকে এম পি সাজেদ চরিত্রটাকে কিছুটা নির্জীব মনে হয়েছে। তার উপস্থিতি পুরো বই জুড়ে হলেও কথোপকথন কম ছিল। আমার মনে হয় সে কারনেই।

এছাড়াও আছে সাজেদ এবং তারিনের দত্তক নেওয়া বোবা মেয়েটি ‘মাহা’
আছে মাহার শিক্ষক ‘আসলান’। এছাড়াও গ্রামের দিকে আছে মসজিদের মুয়াজ্জিন, হাফেজ মিয়া।
আছে একজন হুজুরও। আর আছে একজন জানু কবিরাজ…!

সবশেষে বলবো, যারা একটু অন্যরকম থ্রিলার ভালোবাসেন। ভয় পেতে চান, তাদের জন্য মাস্ট রিড একটা বই। না পড়লে মিস, এরকম টাইপ। সুতরাং রেকমেন্ড থাকবে বইটি পড়ার।