জোছনা রাতের জোনাকি মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। লেখক তার রচনাতে বরাবর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সকলের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “জোছনা রাতের জোনাকি”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে। তিনি একাধারে বিভিন্ন জনারের বই লিখেছেন।

“জোছনা রাতের জোনাকি” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2019 সালে। বইটির প্রকাশিত হয় আনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 159 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 257 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোশতাক আহমেদের বিভিন্ন জনারের বই লিখলেও দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন প্যারাসাইকোলজি ও ভ্রমণকাহিনী থেকে। বইটি পড়লে অনেক অজানা রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে।

শাহেদ মাধবীর দিকে তাকিয়ে আছে। শাহেদ মাধবীকে দেখছে কারণ মাধবী দেখতে অপূর্ব সুন্দর। মাধবী সে যখন নিজে দেখে তখনও অবাক হয়ে যায়। তার যেন নিজের উপর থেকে চোখ সরাতে ইচ্ছা করে না। শাহেদের জল্পনা-কল্পনা,আশা ভালবাসায় শুধু মাধবী মাধবী। কিন্তু আসল কথা হল কে এই মাধবী ? 200 বছর আগে শাহেদ আর মাধবীর পরিচয় হয়।

একসময় মাধবীর কথা সব সত্য প্রমাণিত হতে থাকে শাহেদ জন্মেছিল 200 বছর আগে ঠিক মাধ্যমিক পাশে মাধবীর ভালোবাসার পরশে। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তি আর সমাজের যাঁতাকলে এক সময় হারিয়ে যায় শাহেদ। শাহেদ হারানোর আগে চিৎকার করে বলে যায় সে ফিরে আসবে ফিরে আসবে তার অতি প্রিয় ভালবাসার মানুষের কাছে। সে আরো বলে কোন এক জোছনা রাতে জলে জলে জোনাকি হয়ে ফিরে আসবে মাধবীর কাছে। সেই কথা শুনে আজও অপেক্ষায় মাধবী।

দীর্ঘ অনেকদিন চলে যায় তারপর সত্যিই আবার তাদের দেখা হয়। তাদের আবার দেখা হয় নীরবে-নিভৃতে ,সংগোপনে এবং শুধুই অন্ধকারে। প্রকৃতি যে কতটা নিষ্ঠুর কতটা নির্মম সেটা তাদের দেখলেই বোঝা যায়। ভয়াল রূপে আবির্ভূত হয় দুজনের মাঝে তারপর গ্রাস করতে থাকে শত বছর ধরে কেমন নির্মল পবিত্র ভালোবাসার অপূর্বসুন্দর মাধবীকে। শাহেদ আর সহ্য করতে পারে না,সে চিৎকার করতে থাকে মাধ্যমে ছাড়ায়। শাহেদ কিছুতেই মাধবীকে হারাতে চায় না কিন্তু সে পেরে ওঠে না এবং ছুটতে ছুটতে একসময় তার প্রিয় ভালবাসার মাধবীর কাছে পৌঁছায়।

শেষ পর্যন্ত শাহেদ কী পেরেছিল মাধবীকে বাজাতে? কী ঘটেছিল তাদের দুজনের সঙ্গে?‌ সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই বইটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। অসাধারণ এই গল্পটি যারা এখনো করেননি তারা আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি গল্পটি পড়ে ফেলুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top