জলেশ্বরী PDF Download ওবায়েদ হক

জলেশ্বরী ‘জলেশ্বরী’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘ওবায়েদ হক’। সমসাময়িক সময়ের বাংলাদেশের অন্যতম তরুণ প্রতিভাবান সাহিত্যিক হলেন ওবায়েদ হক। কোন অতিরঞ্জিত করার চেষ্টা নেই, খাপ ছাড়া অতিরিক্ত বর্ণনা দিয়ে ঘটনাকে দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা নেই এসবই হলো ওবায়েদ হকের লেখার বৈশিষ্ট্য।
অতি অল্প কথায় কিভাবে সবচেয়ে বেশি ভালোভাবে গল্প ফুটিয়ে তোলা যায় সেই চেষ্টাই করে থাকেন লেখক। তাই তো খুব বেশি সময় হয় নাই তার সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ করার অথচ এখনই তরুণ পাঠকদের হৃদয়ের মাঝে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন এই লেখক।
জলেশ্বরী উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে ‘আদী প্রকাশনী’ হতে, পরে উপন্যাসটির দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয় ২০১৮ সালে ‘হৃদি প্রকাশনী’ হতে। বইটি পাঠক চাইলে এক বসাতেই শেষ করে দিতে পারবেন। উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে ৮৮ সালের বন্যাকে কেন্দ্র করে এবং উপন্যাসটির মূল চরিত্র হলো কাজল নামক একজন তরুণ।
যে কিনা কয়েকদিন আগেই আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ফেরত এসেছে। উপন্যাসটির শুরু হয় কাজলের টানা চারদিন ধরে নৌকায় থাকার বর্ণনার মধ্যে দিয়ে। কাজল যেই নৌকাতে করে বের হয়েছিল সেটিতে কোন ইঞ্জিন ছিল না, ছিল দুইজন মাঝি লিয়াকত ও বজলু।
এই দুই মাঝির মধ্যে আবার কোন প্রকার মিল ছিলো না দুইজন সারাক্ষণ শুধু ঝগড়াঝাটি করতো। কাজলের এরকম হঠাৎ করেই আমেরিকা ছেড়ে ভয়াবহ বন্যার মধ্যে দেশে আসার কারণ ছিল তার বাবা। দেশ থেকে হঠাৎ করেই খবর আসে তার বাবা মারা গেছে। ছাদ থেকে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার ফলে মৃত্যু হয় কাজলের বাবার তাই হঠাৎ করেই দেশে ফিরতে হয় কাজলের।
এমন হঠাৎ করেই তার বাবা তাকে একসময় বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছিলো পড়াশোনা করার জন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই কাজলের জীবনের মোড় ঘুরে যায়, যখন সে তার বাবার বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে একটি চিরকুট পায়, যাতে লেখা ছিল, “আর পারছি না, জলেশ্বরী গ্রামের ইব্রাহিম গাজী আমাকে ঘুমাতে দেয় না”।
এটা দেখার পর থেকেই কাজলের মনে হতে থাকে এই ইব্রাহিমের জন্যই তো বাবা আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেননি! তাই এই বন্যার মাঝে ইব্রাহিম গাজীকে খুঁজতে কাজল বেরিয়ে পরে নৌকা নিয়ে। ইব্রাহিম গাজীকে যে করেই হোক খুঁজে বের করতে হবে।
কিন্তু ইব্রাহিম গাজীকে খুঁজে পাওয়া যাবে কী? আর পাওয়া গেলেও ইব্রাহিমের সাথে কাজলের বাবার সম্পর্ক কী? এসব জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। অসাধারণ গল্পের মায়াজালে তৈরি করা হয়েছে এই উপন্যাস একবার পড়তে শুরু করলে সেই মায়াজাল ছিন্ন করে বের হওয়া খুব দুস্কর বিষয়। এত দারুণ গল্পের দেখা কদাচিৎই মেলে।