জয়জয়ন্তী PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত ‘ জয়জয়ন্তী ‘ একটি অসাধারণ উপন্যাস। হুমায়ুন আহমেদের রচনা গুলোর মধ্যে এটি একটি অসাধারণ উপন্যাস। অসাধারণ এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। বইটির ৪র্থ তম সংস্করণ হয়েছে ২০১৬ সালে। বইটি প্রকাশনা করেছে মওলানা ব্রাদার্স প্রকাশনী বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০২ টি। বইটির মুদ্রিত বাংলাদেশি মূল্যঃ ২০০ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ১৯ এমবি।

জয়জয়ন্তী বইটি একটি সমকালীন উপন্যাস। বইটি শুরু করে পড়া শেষে একটা চমৎকার অনুভূতি তৈরি হবে। চমৎকার এই বইটি পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। বইপ্রেমী পাঠকরা যারা বইটি পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে নিন।

জয়জয়ন্তী উপন্যাসের মূল কাহিনী

এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম হল রাত্রি। সে একজন ডিভোর্স প্রাপ্ত মহিলা। সে নিজের ইচ্ছায় তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্স দেওয়ার পর সে তার বাবার বাড়িতে থাকে। যেখানে তার বাবা ও ২২-২৩ বছরের একটি ভাই থাকে। তার ভাইয়ের নাম হল বাবলু। সে তার জীবনে উশৃঙ্খল ধরণের ছেলে।। সে কোন কাজকর্ম বা চাকরি কিছুই করেনা। রাত্রির মা মারা গেছে আট বছর হল। সেই থেকে তার বাবা আর ভাই একাই থাকে। কারণ রাত্রিরও বিয়ে হয়ে যায়।

রাত্রির স্বামীর নাম হল মামুন। মামুন একজন বাস্তববাদী মানুষ। সবকিছুতেই সে বাস্তবতা খোঁজে। রাত্রির আবেগ অনুভূতি সে কিছুই বোঝে না। আবার তার কাছে রাত্রির আবেগের কোন মূল্য নেই। মামুন সবকিছুকেই বাস্তবতার আলোকে দেখার চেষ্টা করেন। রাত্রির বিয়ে হয়েছে তিন বছর হল। তার একটা ছেলে আছে নাম টুকুন। টুকুনকে নিয়েই রাত্রির সব জল্পনা কল্পনা। কিন্তু রাত্রি তার স্বামীর মতো তিন বছর সংসার করেও বাস্তববাদী হতে পারেনা। এজন্য তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে। মামুন তার ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।

সেখানে তাকে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছে। টুকুনের মায়ের সাথে কোন সম্পর্ক সে রাখতে দিতে চায়না টুকুনকে। এ করাণেই বিদেশে পাঠিয়েছে। এরপর রাত্তি মামুনকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। তবুও রাত্রি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে মামুন আর সে রিক্সা করে ঘুরতে যাচ্ছে। তারপর তার শাড়ির আচল রিক্সায় আটকে যাচ্ছে। রাত্রি চিৎকার করে উঠে। তার ঘুম ভেঙে যায় ভয় পেয়ে। এভাবেই তার দিন কাটে।

রাত্রির ভাই বাবলুও সবসময় চিন্তিত থাকে। সে ইন্টারে তিন বার ফেল করেছে। সে রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে। তার বাবার রাতে ঘুম হয়না। তিনি সারা বাড়ি পায়চারী করেন রাতে। বাবলু ঘুমের মধ্য দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ংকর আওয়াজ করে। মনে হয় খাট থেকে পড়ে যাবে। মাঝে মধ্য তার বাবা শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন।

বাবলুকে নাম ধরে ডেকে জাগানোর চেষ্টা করেন। বাবলু দরজা খুলে দিলেও স্বাভাবিক হতে পারে না। তার মাকে ডাকে আর পানি খেতে চায়। কিন্তু সে ঘোরের মধ্য বুঝতেই পারেনা তার মা পানি নিয়ে আসবে না কারণ তিনি আট বছর আগে মারা গেছেন। এইভাবেই তাদের জীবন যাপন অতিবাহিত হয়।

আরো একটি জুটি নাজমুল সাহেব আর পান্না ভাবির গল্প দেওয়া আছে উপন্যাসটিতে। সব কিছুর বিস্তারিত জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ুন আহমেদের চমৎকার উপন্যাস ‘ জয়জয়ন্তী ‘।

জয়জয়ন্তী PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top