কালো জাদুকর PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

কালো জাদুকর”জনপ্রিয় উপন্যাসটির লেখক হল কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। এই বইটি তার সৃষ্ট অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম।যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখার সাথে পরিচিত তাদের জন্য বইটি অসাধারণ লাগবে।যারা “কালো জাদুকর” বইটি এখনো পড়েন নি অথবা বইটির হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি বিনামূল্যে পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গিয়ে সেখান থেকে বিনামূল্যে চমৎকার বইটি ডাউনলোড করে নিন।

এই বইটি একটি সমকালীন উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশ করা হয় 1998 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা হল:96 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য 132 টাকা। সমকালীন ধারার এই উপন্যাসটা আপনাকে শেষ পর্যন্ত পড়তে উৎসাহিত করবে। কারণ গল্পের বিষয়বস্তুটা অসাধারণ।

হুমায়ূন আহমেদ সব সময় সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে সব ধরনের পাঠকদের বই পড়তে উৎসাহিত করে থাকেন। এই বইটি ও ঠিক তেমনি। না পড়লে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে।তাই নির্দ্বিধায় আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

গল্পটির প্রধান চরিত্র মবিন উদ্দিন। তার ছোটখাটো একটা বইয়ের দোকান আছে যার নাম বিউটি বুক সেন্টার। সে ছিল মধ্যবিত্ত। তার ছিল ছোট পরিবার যেখানে ছিল তার স্ত্রী,ও তার মেয়ে সুপ্তি। অবশ্য তার একটি ছেলে সন্তান ও ছিল।কিন্তু বছর পাঁচেক আগে জ্বরে মারা গিয়েছেন। মারা যাওয়ার সময় সে তার ছেলে মুখটা দেখতে পারেননি। তার ছেলের নাম ছিল টুনু। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। সে অসুস্থ হলে তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে তার বাবা ছুটে আসে তাকে দেখার জন্য।

সে সময় ডাক্তার বলে তার ছেলে এখন ভালো আছে জ্ঞান ফিরতে একটু দেরি হবে তাই সে যেন চা খেয়ে আসে।ফিরে এসে সে তার ছেলেকে আর জীবীত দেখতে পায় না।সেদিনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সে কোনদিন আর চা খায় না। এখন চলে আসি গল্পের বর্তমানে। একদিন সকালে মবিন উদ্দিন তার বোনের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে যাওয়ার সময় দেখছিল একজায়গায় কিছু মানুষ ভিড় জমিয়ে আছে। শীতকালে এই জিনিসটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।

তারপরেও সে সেখানে যায় এবং দেখে একটা ছোট ছেলে ম্যাজিক দেখাচ্ছে।তখন তার মনে হয় ছেলেটাকে যদি 5,10 টাকা দেয়া যেত ?পরক্ষণেই আবার মনে হয় তার মত মানুষের 5 টাকাই অনেক। পরে তার বোনের বাড়ি থেকে ফেরার সময় স্টেশনে আবার ওই ছেলেটাকে দেখতে পায়।তখন ছেলেটাকে নিয়ে তার বাড়ি আসে।পরে জানতে পারে ছেলেটার নাম টুনু।ছেলেটা দেখতে হুবহু তার নিজের ছেলের মতো।

ছেলেটা খুবই অদ্ভুত। সে কিভাবে যেন সবার মনের কথা আগেই বুঝতে পারত। মবীন সাহেবের মেয়ে সুপ্তি ছিল অন্ধ।কিন্তু তাকে দেখে বোঝা যেত না।সুপ্তি সে ম্যাজিশিয়ানকে গাছ ভাই বলে ডাকত।ছোট্ট ছেলেটি ও নিজেকে গাছ মনে করত। বইটাতে লেখক এই ছেলেটা কি কালো জাদুকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ছেলেটি সবার মন জয় করে ফেলেছে।

আস্তে আস্তে মবিন সাহেব ও মানুষের মনের কথা বুঝতে পারে।এখানে লেখক কিছু কাল্পনিক জিনিসের কথা উল্লেখ করেছেন। পরিশেষে আমরা দেখতে পাই দেনার দায়ে মবিন সাহেব তার বাড়ি ও দোকান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় আর সে কথাটিও কালো জাদুকর জেনে যায়। মবিন সাহেবও ধীরে ধীরে কালো জাদুকরের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

উপন্যাসটিতে আরো অসাধারণ কিছু ঘটনা আছে যেগুলো বিস্তারিত পড়তে হবে আর সেজন্য অবশ্যই বইটা শেষ করতে হবে। এখানে মূলত লেখক মধ্যবিত্ত পরিবারের নানান দিক ও মানুষের মনের মধ্যে কাল্পনিক কিছু চিন্তাধারার বিষয় তুলে ধরেছেন যেগুলো আমাদের জীবনযাপনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই আমার মনে হয় বইটি পড়লে আপনারা নিরাশ হবেন না একবার হলেও বইটি সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন। হার্ডকপি না থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ডাউনলোড করে বইটি পড়তে পারেন।

কালো জাদুকর PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top