কপালকুণ্ডলা PDF Download বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

“কপালকুণ্ডলা” বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। শুধু তাই নয় নারী প্রধান চরিত্রের এক বলিষ্ঠ ও অসাধারণ এক উপন্যাস এটি। উপন্যাসটি সাধু ও সংষ্কৃত শব্দের ব্যবহারে বেশ কঠিন ভাষাশৈলী তবে পাঠকরা একটু ধৈর্য্য রক্ষা করে পড়লে এক অনবদ্য সৃষ্টি কপালকুণ্ডলা।

মোঘল সম্রাট বা তাদের কিছু ঘটনা সংযোজন এর কারণে কিছু আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার রয়েছে উপন্যাসটিতে। তবে এত সুন্দর শব্দ শৈলী, বলিষ্ঠ চরিত্র, স্থান, কাল সব মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক ও পরিপূর্ণ উপন্যাস কপালকুণ্ডলা। উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো হল নবকুমার, কপালকুণ্ডলা, নবকুমারের প্রথম পত্নি পদ্মাবতী।

কপালকুণ্ডলা সারাংশ

ঘটনার শুরু হয় নবকুমার এক নৌভ্রমণে যায়, সেখানে বন থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার জন্য নবকুমার নৌকা থেকে বনে যায়।লৌকার লোকজন তাকে ফেলে চলে যায়। এক সাধু কাপালিক তান্ত্রিক নবকুমার কে বন্দি করে দেবীর উদ্দেশ্য বলি দেবার জন্য। তখন কাপালিক তান্ত্রিকের মেয়ে কপালকুণ্ডলা নবকুমার কে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।

নবকুমার কপালকুণ্ডলা কে বিয়ে করে নেয়, ফেরার পথে দেখা হয় নবকুমারের প্রথম পত্নী পদ্মাবতীর সাথে। মুলত বহুকাল আগে পদ্মা ও নবর বিবাহ হয় কিন্তু পাঠানদের হাতে পড়ে মুসলিম হতে হয় পদ্মাকে। তাই পত্নীর মর্যাদা হারায় পদ্মা। বহুকাল পরে নব কে দেখে প্রেমে বিগলিত হয় পদ্মার মন।নিজ স্বামীকে সে কাছে পেতে চায়।

কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের বিষয়বস্তু

সে মোঘল রাজপ্রাসাদ ছেড়ে নবকুমার কে হাসিল করার জন্য ফিরে আসে গ্রামে।পদ্মাবতী সুন্দরী ও প্রখর বুদ্ধিমতী মেয়ে। রাজপ্রাসাদে তার যথেষ্ট পসার রয়েছে। সে নবকে পাওয়ার জন্য সব রকমভাবে চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু নবকুমার কিছুতেই তাকে গ্রহল করতে চায় না।

কপালকুণ্ডলা তো বনে বড় হয়েছে তাই সভ্য সমাজে এসে সে অনেক কিছু শিখে সুখে বসবাস শুরু করে কিন্তু সেই কাপালিক তান্ত্রিক ফেরত আসে কপালকুণ্ডলা কে নেওয়ার জন্য, পদ্মাবতী নবকুমার কে হাসিল করার জন্য গোপনে হাত মেলায় কাপালি ঠাকুরের সাথে। কপালকুণ্ডলার ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে দুইজন মিলে।

নানা ভাবে নবকুমার এর কাছে কপাল কে খারাপ প্রমাণিত করার চেষ্টা করে। এবং এক পর্যায়ে তারা সমর্থ হয় নব কুমার কে ভুল বোঝাতে। পদ্মাবতী ছদ্মবেশে আসে কপালকুণ্ডলার কাছে, নিজের স্বামীকে প্রার্থনা করে। এ দৃশ্য নবকুমার দেখে ফেলে এবং ভুল বোঝে কপালকে।

কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের সারমর্ম

নবকুমা সন্দেহ করে কপালকে, সে নিজে কাপালিকের হাতে তুলে দিতে যায় কপালকে। সবকিছু জেনে অভিমানে কপালকুন্ডলা পানিতে ঝাপ দেয়। সেইসব নবকুমারের সমস্ত ভুল ভেঙে যায় এবং কপালকুণ্ডলাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও সলিল সমাধি হয় কপালকুণ্ডলার সাথে। 

নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে ভালবেসে বিয়ে করে আনলেও তার মধ্যে বিশ্বাসের যথেষ্ট অভাব থাকে। কপালকুণ্ডলা তার জীবন বাঁচায় কাপালি ঠাকুরের হাত থেকে, অথচ পদ্মবতীর ঠুনকো চক্রান্তে বিভ্রান্ত হয় নবকুমার। নবকুমার এক প্রেমময়ী স্বামী হলেও কপালকুণ্ডলাকে অবিশ্বাস করে সে নিজের নিজের চরম ক্ষতি করে।

কপালকুণ্ডলার মত প্রেমময়ী, বিশ্বস্ত,সুন্দরী, পরোপকারী এক বধুকে বিসর্জন দেয়। উপন্যাসের নায়ক হিসেবে নবকুমারের একটি দুর্বল একটা দিক এটি। নবকুমার যখন বনের মধ্যে হারিয়ে যায় তখন লেখকের এক বিখ্যাত উক্তি হলো, “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছো” এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাসের উক্তি।

অপর দিকে কপালকুণ্ডলা এক বলিষ্ঠ নারী চরিত্র। সে রুপসী, বনবাসী, প্রেমময়ী, নিষ্পাপ। শুধু চক্রান্তের স্বীকার হয়ে, নিজের ভাগ্যের কাছে সে অসহায় হয়ে পড়ে। তবে যখন নবকুমার তাকে অবিশ্বাস করে পৃথিবীর সব অভিমান নিয়ে সলিল সমাধি বরণ করে নেয় । বাংলা সাহিত্যের এক অমর নারী চরিত্র কপালকুণ্ডলা।অপরদিকে পদ্মাবতী এক খল চরিত্র।

কপালকুণ্ডলা PDF

সেও নিয়তির স্বীকার, তবে সে মোহে পড়ে অসম্ভবের পেছনে ছুটে কপাল ও নবকুমারের দাম্পত্য জীবন বেদনাময় করে তুলে সে। যদিও নব কুমার কখনই তাকে সে স্থান পায়নি। উপন্যাসের আরও কিছু পার্শ চরিত্র উপন্যাস কে অন্য আবহ দিয়েছে, যেমন মোঘল সম্রাট শাহ সুজা ও মেহেরুন্নেসার প্রেমের এক উপাখ্যান বর্ণনা করা হয়েছে উপন্যাসটিতে।

কপালকুণ্ডলা সারাংশ

নবকুমার কে

কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের কাপালিক চরিত্র

রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে কপালকুণ্ডলা

কপালকুণ্ডলা pdf

নবকুমার কোন নাটকের চরিত্র

কপালকুণ্ডলা এর চরিত্র

কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top