কে কথা কয় PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের মাস্ট রিড বই এর তালিকা জানতে, তাহলে তার ভেতরে কে কথা কয় বইটি হবে। তাই আপনারা যারা হুমায়ুন প্রেমী আছেন, তারা যদি কে কথা কয় বইটি পড়ে না থাকেন তাহলে আজকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে বইটি পড়ে ফেলুন। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কে কথা বইটির পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন এবং খুব সহজ উপায়ে ডাউনলোড করতে পারবেন।

কে কথা কয় বইটি অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়ে মুদ্রিত মূল্য ধারণ করেছেন বর্তমান বাজারে 600 টাকা। এ বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 296 টি এবং এই বইটি একটি সমকালীন উপন্যাস। সমকালীন চরিত্র মতিন এর মাধ্যমে বিভিন্ন গল্প উঠে এসেছে এবং সমাজে তার অবস্থান এবং তার জীবনের ভেসে যাওয়া স্রোতের সঙ্গে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই বইটি পড়তে হবে।

কে কথা কয় বইটির কাহিনী সংক্ষেপ

কে কথা কয় বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র যদি আপনি জানতে চান তাহলে বইটি পড়ে যতোটুকু বুঝতে পেরেছি এই বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো মতিন নামের এক যুবক। মতিন কোন কাজ গুরুত্বসহকারে করে না এবং প্রত্যেকটি কাজে তার গা ছাড়া স্বভাব। একদিন সে হঠাৎ করে পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেখে এবং বিজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকে যে একজন বড়লোকের সন্তানের জন্য গৃহ শিক্ষক প্রয়োজন।

তার একটি কাজের প্রচণ্ড প্রয়োজন এবং সে এই কাজের জন্য ইন্টারভিউ দিতে সেই বাড়িতে যাই। ইন্টারভিউ যে সকল প্রশ্ন করা হয় সে সকল প্রশ্ন মতিন কিছুটা খাপছাড়া ভাবে দেয়। যদিও সে উত্তর ঠিকমতো দিতে পারেনি তার কিছুদিন পরে তাকে ডাকা হয় চাকরির জন্য। তবে মতিন যখন কাজের জন্য যায় তখন সে অন্য একটি বিষয় উপলব্ধি করে।

তাকে বলা হয়েছিল গৃহ শিক্ষকের প্রয়োজন অথচ সে বড় লোকেরা একজন অটিজমের শিশুর দেখভাল করার জন্য সঙ্গী খুঁজছেন। অর্থাৎ একজন অটিজম শিশুকে মতিনের দেখাশোনা করতে হবে এবং এটিই তার চাকরি। যদিও মতিন এই কাজটিকে প্রথম থেকে অগ্রাধিকার দেয় নি এবং কাছ থেকে তার ভাল লাগত না, তারপরও একটা সময় শেষ কিছুর সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সে তার কাজ মন দিয়ে করতে থাকে।

মতিনের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এবং বিভিন্ন স্রোতে গা ভাসিয়ে। সে যেমন মিশুকে পছন্দ করে এবং তাকে বিয়ে করতে চাই, তেমনি তাকে তৌহিদা নামক একটি মেয়ে পছন্দ করে। কার সঙ্গে মতিনের জীবনের বাকি দিনগুলো কাটবে তা জানতে হলে আপনাকে পুরো উপন্যাসটি পড়তে হবে। কারণ এখানে যদি তা বলে দিই তাহলে উপন্যাসের মজা শেষ হয়ে যাবে।

মতিন এর একটি বিশেষ গুণ হলো সে একজন লেখক। ছদ্মনাম এসে লিখতে পছন্দ করে। তবে তার বন্ধু আশরাফ জানে যে মতিন একজন লেখক এবং মতিনের লেখা আসে মাঝে মধ্যে পড়ে। তাই সে মতিনকে উৎসাহ যোগায় এবং তার এই লেখা ছাপানোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে। তার লেখা যদি ছাপা হয় তাহলে মতিন শ্রীলেখা উৎসর্গ করবে কমলের মামুনাকে। এভাবে বিভিন্ন চরিত্র এই বইতে উঠে আসে। কমল একটি চরিত্র যার এপিলেপটিক সিজার ও ছবি আছে। এ সমস্যায় সে দিনের-পর-দিন ভুগতে থাকে। তবে তার বিচার বুদ্ধি অবিবেচনা ভালো এবং সে গণিতে যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষ।

একসময় কমল আবিস্কার করে যে ইমরান তার বাবা না। তবে এর পিছনে জোরালো শক্তি বা প্রমাণ দ্বারা করানোর জন্য সে এই কাজটি মতিন এর ওপরে আরোপ করে। মতিনের জীবনের সঙ্গে যে সকল চরিত্রগুলো জড়িত আছে সেসকল চরিত্রের সঙ্গে মধ্যে কিভাবে খাপ খাইয়ে নিবে এবং কমল এর আসল বাবা ইমরান কিনা তা কিভাবে বের করবে তা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে। তাই বইটি পড়ে আপনারা আনন্দ লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন যে রহস্য রয়েছে সে রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করুন।

কে কথা কয় PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top