কৃষ্ণকান্তের উইল PDF Download বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

কৃষ্ণকান্তের উইল PDF Download বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “কৃষ্ণকান্তের উইল” বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর বিখ্যাত ত্রিকোণ প্রেমের রোমান্টিক উপন্যাস। তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের অবৈধ প্রেম, সম্পত্তি, ভুলবোঝাবুঝি, দাম্পত্য প্রেম, কলহ, বিধবা মেয়েদের আকাঙ্খা সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে লেখা উপন্যাস কৃষ্ণকান্তের উইল।

কৃষ্ণকান্তের উইল সারাংশ

প্রধান চরিত্রসমূহ হলো গোবিন্দলাল, ভ্রমর গোবিন্দ লালের গুনবতী অর্ধাঙ্গিনী, রোহিনী বিধবা পরমা সুন্দরী। এছাড়াও কিছু পার্শ চরিত্র রয়েছে যেমন কৃষ্ণকান্ত, ভ্রমরের পিতা, নিশিকর ইত্যাদি। এটি একটি প্রেমের গল্প হলেও উপন্যাসের নামকরণটা কিছুটা অযৌক্তিক মনে হয়, তবে কৃষ্ণকান্ত যখন নিজের বখে যাওয়া সন্তানকে বাদ দিয়ে ভাইয়ের যোগ্য পুত্র গোবিন্দলাল তার সমস্ত সম্পত্তি উইল করে দেয় ঘটনার সুচনা সেখান থেকে।

ভ্রমর এক বালিকা বধু যে নিজ স্বামীর সাথে খুব সুখে দিনযাপন করছিল। অপরদিকে রোহিনী একই গ্রামের বিধবা সুন্দর মেয়ে, যে তার বৈধব্য কে মানতে নারাজ। প্রথমে সে হরলালকে তার আকাঙ্খার সঙ্গী বানাতে চায় পরে ব্যর্থ হয়। সে গোবিন্দলালের বানানের পুকুরে জল আনতে গেলে রোজ গোবিন্দলাল কে দেখে তার প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে যায়।

কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা

সে খুব চালাক হওয়ার নিজের প্রেম চেপে রাখলেও পরে ব্যর্থ হয়। উইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সে কৃষ্ণকান্তের হাতে। গোবিন্দলাল তাকে রক্ষা করে। সে প্রায়ই রোহিনী কে পুকুড় পাড়ে কাঁদতে দেখে অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় অসহায় বিধবার প্রতি।গোবিন্দ লাল রোহিনীকে রক্ষা করতে চাইলে কৃষ্ণ বিরক্ত হয়। ভ্রমর কিছুটা সন্দেহ করে।

ভ্রমর যদি সেই সময় থেকেই সতর্ক থাকত তার জীবনে করুণ পরিণতি আসত না কখনো। রোহিনীকে গোবিন্দ কলকাতা পাঠাতে চাইলেও সে যায় না। সে গোবিন্দর সান্নিধ্য পেতে চায়। দুইজনই বুঝতে পারে তারা একে অপরের প্রতি কামুক। গোবিন্দ রোহিনীকে মন থেকে মোছার জন্য অন্যত্র গিয়ে বসবাস করতে থাকে। এদিকে কুৎসা রটে যায় রোহিনী আর গোবিন্দ কে নিয়ে।

কৃষ্ণকান্তের উইল এর উক্তি

রোহিনী ভাবে সব ভ্রমরের কাজ, সে রাগে ভ্রমরের কাছে এসে শাড়ী আর গহনা দেখিয়ে বলে গোবিন্দলাল তাকে দিয়েছে, সন্দেহ সত্যি হয় তার। সে গোবিন্দকে উপহাস করে চিঠি পাঠায় এবং এতে হতভম্ব হয়। বাড়ি ফিরে এসে দেখে ভ্রমর বাপের বাপি চলে গেছে। একপ্রকার অভিমান করেই সে রোহিনী কে গ্রহণ করে। হটাৎ সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় গ্রাম থেকে।

নিজের মাতাকে কাশি রেখে কোথায় সে যায় কেউ জানে না। এদিকে রোহিনীও গোবিন্দর কাছে চলে যায়। ধীরে ধীরে ভ্রমর সব বুঝতে পারে। সে দিনদিন এরুপ শোকে অসুস্থ হতে শুরু করে। দিনদিন খারাপ অবস্থা হয় ভ্রমরের। তখন কৃষ্ণ রেগে অর্ধেক সম্পত্তি ভ্রমরের নামে দিয়ে যায় । তারপরই কৃষ্ণকান্ত মারা যায়।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস PDF Download

এই ঘটার জন্য গোবিন্দলাল ভ্রমরের ওপর আরও রেগে যায়। এদিকে ভ্রমর মৃত্যু সজ্জায় পতিত হয়। ভ্রমরের পিতা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যশোর জেলায় সে রোহিনী কে নিয়ে এক কুঠিবাড়িতে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। সে নিশিকরকে পাঠায় সেখানে। সে গোবিন্দর সাথে দেখাকরতে চাইলে গোবিন্দ তাকে ফিরিয়ে দেয়।

বহুদিন পর ভ্রমরের কথা শুনে গোবিন্দ নিজ কক্ষে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে ভ্রমর কে সত্যি ভালবাসত কিন্তু শুধু অভিমান তাদের মধ্যে এতবড় ব্যবধান গড়ে দেয়। এদিকে নিশিকর কে দেখে রোহিনী প্রেমে পড়ে যায়, সে যে এক কলঙ্কিত নারী, পুনরায় সে গোবিন্দলাল কে ঠকিয়ে নিশিকরের সাথে প্রণয়ে আবদ্ধ হতে যায়, গোবিন্দলাল সবই দেখে ফেলে।

সে রোহিনী কে প্রহার করে আর বলে স মৃত্যুর মরতে পারবে কিনা তার জন্য, গোবিন্দ যে সত্যি তাকে খুন করতে পারে সে বুঝতে পারেনি। সত্যি গুলি করে সে রোহিনীকে। মারা যায় সে। এদিকে তাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যায় এটা ভ্রমর জানার পর পিতাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে গোবিন্দলাল কে বাঁচাতে বলে।

কৃষ্ণকান্তের উইল PDF

কিন্তু গোবিন্দ লাল লজ্জায় ভ্রমরের কাছে না এসে পুনরায় নিরুদ্দেশ হয়। এবার ভ্রমর সত্যি অন্তিম সজ্জায় সায়িত হয়।নিদারুন কষ্টে পৃথিবী ত্যাগ করে। গোবিন্দ ফিরে আসে নিজের বাড়িতে। সে সমস্ত ভুল বুঝতে পারে। তবে তার জগৎময় রোহিনী আর ভ্রমরের সৃতিতে বিজরিত হয়ে পড়ে।

কমলাকান্তের উইল pdf download

কৃষ্ণকান্তের উইল প্রশ্ন

কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাস অবলম্বনে

কমলাকান্তের দপ্তর pdf

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top