ক্রমান্বয় জাবেদ রাসিন PDF download (থ্রিলার)

বর্তমানের স্বনামধন্য একজন লেখকের নাম হলো জাবেদ রাসিন। বেশ অনেকগুলো বই লিখেছেন এ পর্যন্ত। মূলত হরর, থ্রিলার আর সাইন্স ফিকশন লিখে থাকেন। তার একটা সিরিজ তমিস্রা ভুবন, যার মাধ্যমে অসংখ্য পাঠকের মন জয় করেছেন। লেখক আরও একটি সাইন্স ফিকশনের মিশ্রনে অসাধারণ থ্রিলার হলো ‘ক্রমান্বয়’। ছোট কলেবর। কিন্তু দুর্দান্ত! যারা এখনো বইটা থেকে বঞ্চিত তারা দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপঃ আলো আঁধারিতে ঢাকা করিডোর পার হয়ে হেঁটে চলেছে ছোটোখাটো একটি মানুষ, তার নাম বিওম সু— চমৎকার এ লাইনটি দিয়ে শুরু হয়েছে কাহিনি। বিওম সু নামক বেঁটে মানুষটি তার লিডারকে জানায় ড্রাইডেক্স তৈরি হওয়ার বিষয়। কিন্তু ড্রাইডেক্স কী? এ প্রশ্নটি মনে আসার সাথে সাথে বইয়ের পৃষ্ঠা বদল করে যেতে হবে প্রথম অধ্যায়ে, যেখানে দেখা যায় আনিসুল হকের ছোট্ট একটি পরিবার।

কম্পিউটার পরিচালনায় অদক্ষ আনিসুল হক কাজ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকে। একদিন তার অফিসের প্রিন্টারে যখন গোলযোগ দেখা দেয়, তখন সেটি ঠিক করতে গিয়ে জানা যায় কেউ তাদের ব্যাংক সিস্টেম হ্যাক করেছে। এরপর তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায় সেটি আনিসুল হকের কোনো এক সূত্রে হয়েছে। কিন্তু সে কীভাবে জড়িত? সে তো কম্পিউটার চালাতে অতটা চৌকস নয়!

হ্যাক হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে মাঠে নামে সিআইডি অফিসার নাহিম আশরাফ এবং তার দুজন সঙ্গী। তদন্ত করে নাহিম জানতে পারে ব্যাংক থেকে আশি মিলিয়ন টাকা চুরি হয়েছে! কিন্তু এত টাকা চুরি হলো? কে করল চুরি? আর কে হ্যাক করেছে ব্যাংক সিস্টেম? নাহিম কি হ্যাকার অবধি পৌঁছাতে পেরেছিল চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করতে? এ প্রশ্নই তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে একদম বইয়ের শেষ পর্যন্ত।

বইয়ের শুরুটা কিছু অপরিচিত শব্দ দিয়ে। খুবই খটমট শব্দগুলো। এই যেমন ধরেন বিওম সু, ড্রাইডেক্স, ফ্যাং ইত্যাদি পড়ে মনে হয়েছিল বইটি আমার পক্ষে পড়া কষ্টকর। এবং ব্যাপারটা অস্বাভাবিক না। কিন্তু অধ্যায় এক-এ যখন পরিচিত শহরের রূপ দেখতে পাবেন তখন মনে হবে বইটি পড়া মোটেও কষ্টকর নয়।
গোয়েন্দা কাহিনি এমনিতেই সুখকর মনে হয়। বইটি পড়তে পড়তে কাহিনিতে প্রবেশ করে ফেলেছিলাম বলে টের পাইনি; কখন বইটি শেষ হয়ে গেছে।
বইয়ের কাহিনীটা খুব শক্ত পোক্ত। কিন্তু কিছু জায়গায় বর্ণনায় লেখকের একটু গাফিলতি চোখে পড়বে। তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না অবশ্য। লেখনী দিয়ে মাতিয়ে রাখবে পুরোটা সময়!

লেখকের লেখার মাঝে নতুন কিছু লেখার চেষ্টা আছে যা এই বইটি পড়ার পর মনে হয়েছে। তবে সৃষ্টি করার আগে সাধনা করার প্রয়োজন। বইও সাধনা করে সৃষ্টি করতে হয়; অনেক সময় দিতে হয়। লেখক সেটা পর্যাপ্ত দিয়েছেন, যদিও কাহিনী আরও বাকি আছে!

চরিত্র বিশ্লেষণঃ বইয়ের একটা দারুণ বিষয় হলো এর চরিত্রায়ন। খুব সুন্দর করে বিশ্লেষণ আর বিল্ডআপ করা।

প্রধান চরিত্রগুলোর মাঝে রয়েছে, ব্যাংক কর্মকর্তা আনিসুল হক। তিনি দু সন্তানের জনকও বটে।

আছে আনিসুল হকের বড মেয়ে নিশাত। বুয়েট থেকে পড়াশোনা করেছে সে।

এছাড়াও কয়েকটা অদ্ভুত নাম যেমন— বিওম সু, বাও, সুপ্রিম লিডার, কিম। কেন এই নাম আর এসবের উত্তর পেতে হলে অবশ্য বইটা পড়ে ফেলতে হবে।

সি আই ডি অফিসার নাহিম আশরাফ, আর নাহিমের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু ইমতিয়াজ এরা তো ছিলই।
তাছাড়া কাহিনীর প্রয়োজনে আরও কিছু চরিত্রের অবতারণা ঘটেছে।

সবশেষে বলবো, ছোটখাটো অসাধারণ একটা বই। বলা যায় এক বসাতেই পড়তে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top