আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কুহুরানী বইটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বইটি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির সফট কপি বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রত্যেকটি সাহিত্য পরিষদ জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন লেখকের এর বিভিন্ন বইয়ের পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাই আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বইটি এখনো পড়ে না থাকেন অথবা কোন ভাবে হাতে যদি না থাকে তাহলে বইটির পিডিএফ ফাইল মোবাইলে অথবা ল্যাপটপে ডাউনলোড করে নিয়ে আপনার অবসর সময়ে পড়ে ফেলুন।
আনন্দ প্রকাশনী থেকে কুহুরানী বইটি প্রকাশ করা হয়েছে এবং বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে একশত পঁচাত্তর টাকা। আপনারা যে কোন লাইব্রেরী থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এই বইয়ে রয়েছে মোট 94 পৃষ্ঠা। সমকালীন এই উপন্যাসটি পড়ে আপনারা এক ভিন্নধর্মী গল্প পাবেন এবং যেকোন পাঠককে এ বইটি মজা দিতে সক্ষম।
কুহুরানী বইটির কাহিনী সংক্ষেপ
কুহুরানি বইটিতে উঠে এসেছে নয়াপাড়ার একজন শিক্ষকের কথা। যিনি মায়া পাড়ার আদর্শ বিদ্যালয় এর একজন হেডমাস্টার। এই প্রধান কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম হল মোজাফজল করিম। তিনি তার স্ত্রীকে প্রচুর পরিমাণে ভালোবাসেন এবং তার স্ত্রী যখন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান তখন তিনি খুব কষ্ট পান। তার স্ত্রী কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে মারা যাওয়ার পরে তার সন্তানও কিছু সময় পরেই মারা যায়। তার পরিবার একেবারে ফাঁকা হয়ে যায় এবং তিনি মনে মনে খুব কষ্ট পেয়ে যান। তবে তাদের বিদ্যালয়ের নতুন একজন শিক্ষক আসেন এবং এই শিক্ষক গণিত ক্লাস নিয়ে থাকেন।
নতুন গণিতের ক্লাস নেওয়া শিক্ষকের নাম হল হাসান আলী। মোফাজ্জল করিম এর পরিবারের কোনো সদস্য নেই বলে তিনি হাসান আলীকে নিজের পুত্রসম ভালোবাসেন। হাসান আলীর খোঁজখবর তিনি সব সময় রাখেন। মোফাজ্জল হোসেনের আর একজন বন্ধু রয়েছে। তিনি হলেন অত্র বিদ্যালয়ের আরবি শিক্ষক। মফাজ্জাল সাহেবের এই বন্ধুর নাম হল মাওলানা আবুল বাশার।
নয়াপাড়া এলাকায় একদিন হঠাৎ করেই একটি সার্কাস পার্টি এসে হাজির হয়। এই সার্কাস পার্টির নাম হল বেঙ্গল সার্কাস পার্টি এবং এই দলের সভাপতিত্ব করেন ইয়াকুব আলী নামক একজন ব্যক্তি। তিনি সার্কাস দলের বিভিন্ন সার্কের সদস্য এবং প্রাণীদের নিয়ে বিভিন্ন মজার মজার খেলা দর্শকদের দেখিয়ে থাকেন।
এই দলের চারটি মেয়ে রয়েছে এবং চারটি মেয়ের মধ্যে একজন মেয়ে আছে যার নাম হল কুহুরানী। এই কুহুরানী সার্কাস দলের সাথেই নোয়াপাড়ায় এসে উপস্থিত হয় এবং তার কাজ শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ করে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সার্কাস দলের সঙ্গে থাকতে থাকতে তার ভেতরে খুবই খারাপ লাগতে থাকে এবং অসুস্থ অবস্থায় তিনি সার্কাস দল থেকে পালিয়ে যান।
সার্কাস দল থেকে পালিয়ে কুহুরানী স্থান নেন মোফাজ্জল করিমের ঘরে। মোফাজ্জল করিম কুহুরানী কে ঘরে স্থান দেয় এই কারণে যে কুহুরানীকে দেখতে হুবুহু তার স্ত্রীর মতো। যদিও কুহুরানী মোফাজ্জল করিমের স্ত্রীর মতো দেখতে নেই তবুও মোফাজ্জল করিমের চোখে তেমনি লাগছে। তবে এই কুহুরানি কি কোন রহস্যময়ী নারী? তাছাড়া কুহুরানী হঠাৎ এসে মোফাজ্জল করিমের ঘরে আসবে কেন এবং মোফাজ্জল করিম তাকে নিজের স্ত্রীর মতোই মনে করবে কেন তা জানতে হলে পুরো বইটি পড়ে ফেলুন।