বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ মেঘের ছায়া ‘। হুমায়ুন আহমেদ রচিত সবগুলো উপন্যাসই অত্যন্ত চমৎকার। ‘ মেঘের ছায়া ‘ বইটির প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে এবং বইটির ১২তম সংস্করণ হয়েছে ২০১৬ সালে। বইটি প্রকাশিত করেছে প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা। বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৮ টি। বইটির মুদ্রিত বাংলাদেশী মূল্যঃ ১৬০ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ০৫ এমবি।
হুমায়ুন আহমেদের লেখনি নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। এই মেঘের ছায়া বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। অসাধারণ এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।
মেঘের ছায়া উপন্যাসের মূল কাহিনীঃ
গল্পের সূচনা হয়েছে শুভ্র নামের একটি ছেলেকে নিয়ে। শুভ্রকে সবসময় শুভ্রতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুভ্র হল ইয়াজউদ্দিন সাহেবের একমাত্র ছেলে। মোটা ফ্রেমের চশমা পরা, মাথায় এলোমেলো চুল তার। তার পড়াশোনা বাদে দুনিয়ার বাইরের হিতাহিত জ্ঞান খুব কমই আছে। ইয়াজউদ্দিন সাহেব সবসময় নজরদারিতে রাখে তার ছেলেকে। তার ছেলে কোথায় যায়, কি করে, কার সাথে মিশে সবকিছুর ই খুটিনাটি খবর রাখে তার বাবা। আবার অন্যদিকে মা রেহানা বেগমেরও ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। একমাত্র ছেলে জন্য সবকিছু তেই মা বাড়াবাড়ি রকমের শাসন আর চিন্তা করেন।
শুভ্র সবসময় পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। বাড়ি থেকে তেমন বের হয়না। মানুষৈর সাথে মেলামেশা খুব কম করে। তাই তার বন্ধু সংখ্যাও খুব কম। তবুও এই কম সংখ্যক বন্ধুর মধ্যে দুজন বন্ধু হল জাহেদ আর তাহের। দুই বন্ধুই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জাহেদ মামার বাড়িতে থাকে। সেজন্য তাকে প্রতিনিয়ত তাদের কাছে তাসিল্য শুনতে।
এরমধ্যেই সে আবার হঠাৎ করেই বিয়ে করে ফেলে। বিয়ে করে বউ মামার বাড়িতে নিয়ে আসে। মামার বাড়িতে কি তার আদৌ জায়গা হবে? নাকি তার বউ নিয়ে আরেক নতুন অশান্তির সূচনা হবে? এই বিষয়ে শুভ্র তাকে সাহায্য করতে চায়। শুভ্র কি আদৌও জাহেদকে সাহায্য করতে পারবে? এইসবের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ুনের মেঘের ছায়া।
আবার শুভ্রর বন্ধু তাহের হঠাৎ করেই মারা যায়। কিন্তু তাহেরের বাবা শুভ্রকে নিজের ছেলের মতো মনে করেই ভালো বাসে। তাহের মারা যাওয়ার পর শুভ্র প্রায়ই তাহেরের বাড়িতে যাওয়া আসা করে। তাহেরের একটা বড় বোন রয়েছে। সেই মেয়েটির নাম মিতু যার এখনো বিয়ে হয়নি। শুভ্র তাহেরের বড়ো বোনকে খুব পছন্দ করে এবং মনে মনে ভালোবাসে।
কিন্তু তাহেরের বড়ো আপা সে বিষয়ে কিছুই জানে না। শুভ্রর বাড়ি থেকেও কেউ জানেনা। তাহেরের মতো একটি মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েকে কি শুভ্রর ধনী পরিবার কি এতো সহজে মেনে নিবে? তাহেরের বোন যখন জানতে পারবে তখন কি পরিণতি হবে সেই সম্পর্কের? তার কি মতামত হবে এই বিষয়ে? শেষ পর্যন্ত কি হবে তাদের? সব কিছু জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ুন আহমেদের ‘ মেঘের ছায়া ‘ উপন্যাসটি।