মন ভাঙা পরি মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তার রচিত বইগুলো যেমন হাসির খোরাক জোগায় তেমনি এই বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তিনি বরাবর তার রচনায় সহজ, সরল, সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করেন। তার লেখা সবগুলো উপন্যাসেই পাঠ করার সময় সহজবোধ্য মনে হয়। লেখক তার সৃজনশীল প্রতিভা এবং পারিপার্শ্বিক জ্ঞান দিয়ে তার রচনাগুলো পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তার জনপ্রিয় রচনার মধ্যে “মন ভাঙা পরি” উল্লেখযোগ্য।

লেখক মোশতাক আহমেদ বরাবরই ভৌতিক, রহস্য, থ্রিলার ও প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস লিখেছেন। এছাড়াও তিনি যে উপন্যাসের মাধ্যমে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন সেগুলোর মধ্যে সাইন্স ফিকশন অন্যতম। পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তাকে বেশি মানুষ চিনেছে তার লেখার প্রতিভা দ্বারা। তার ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার আগ্রহ থেকেই লেখালেখির শুরু করে।

“মন ভাঙা পরি” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্যারাসাইকলজিক্যাল উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মত প্রকাশ করা হয় 2017 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 96 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মূল্য হল 148 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

উপন্যাসটির নামের একটি অর্থ আছে সেটি হল ভাঙ্গা মনের বিক্ষিপ্ত ভালোবাসা জমিয়ে রেখে পূর্ণতা দেয়া। আমরা প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস বলতে বুঝি যে, আমাদের চোখের সামনে এমন অনেক অবিশ্বাস্য জিনিস ঘটে যেটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না অথচ পরে আবার বিশ্বাসও করি নিই কারণ সেইসব ঘটনাগুলো চোখের সামনেই ঘটতে থাকে। এই অবিশ্বাস্য ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে হলে পড়তে হবে প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস।

ইমরান আর পরি ভালোবাসা করে বিয়ে করেছে। পরিবারের কাউকে না জানিয়েই তারা এ কাজটি করেছে। বিয়ের ঠিক পরপর ইমরান পরীকে নিয়ে চলে আসে তার কাজের জায়গায় অর্থাৎ ঢাকায়। তাদের সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ করেই পরীর অসুখ দেখা দিল। দিন দিন তার অসুস্থতা বাড়তেই থাকল। একদিন ইমরান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে পরীর দিকে।

ধীরে ধীরে পরীর সুন্দর চেহারাটা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। সে যেন তার চিরচেনা স্ত্রীকে চিনতে পারছেনা।‌ হঠাৎ করে সে লক্ষ্য করে করে কাপতে শুরু করেছে। চোখের মনি দুটো তার আগের মতো নেই।
বড় চোখের ভিতর চক্রাকারে ঘুরতে শুরু করেছে। এইসব দেখে ইমরান তো ভয় পেয়ে গেছে। কি করবে কিছু বুঝতে পারছেনা। তারপর হঠাৎ হাত পা গুলো নিজেই বেঁকে যেতে শুরু করল পরীর। সেই সাথে মুখ দিয়ে গো গো অদ্ভুত এক রকম শব্দ বের করতে লাগল।

একসময় পরী আর হাত দুটো সামনের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করলো। ইমরান আপ্রাণ চেষ্টা করল পরীকে নিবৃত্ত করতে। কিন্তু ইমরান ব্যর্থ হলো। পরী শরীর যেন অসুরের শক্তি ভর করে আছে। ইমরান ভয় পেয়ে বাড়ির সবার সাহায্য চাইল। সবাই পরী কে দেখে এটাই বুঝতে পারলো যে ভয়ঙ্কর জ্বীনে ধরেছে পরীকে। তাকে বাঁচাতে হলে এই জ্বীন ছাড়াতে হবে। ডাক দেয়া হল জব্বার ফকিরকে। জব্বার ফকিরের অমানুষিক অত্যাচার কিছুতেই মানতে পারলনা ইমরান।

সে পরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসে। একসময় ইমরান জানতে পারে পরী তাকে হত্যা করতে চায়। শেষপর্যন্ত কিভাবে রক্ষা করবে ইমরান নিজেকে? পরীকে কী বাঁচাতে পারবে এই ভয়ঙ্কর যন্ত্রনার হাত থেকে? জানতে হলে অবশ্যই অসাধারণ এই বইটি একবার হলেও পড়ে দেখবেন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top