আপনি যদি মিসির আলি সিরিজের মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। প্রত্যেকটি পাঠক-পাঠিকা যেন বই পড়তে পারে, তার জন্য হুমায়ূন আহমেদের প্রত্যেকটি বইয়ের পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে সংগ্রহ করা আছে। তাই আপনি যদি এই বইটি পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে চলে যান এবং সেখান থেকে বইটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিন।
মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য বইটি সময় প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা 107 এবং এই বইটির বর্তমান মুদ্রিত মূল্য 175 টাকা। রকমারি সহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বুক শপ এর পাশাপাশি আপনার আশেপাশের যে কোন লাইব্রেরীতে আপনারা এই বইটি পেয়ে যাবেন।
মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য কাহিনী সংক্ষেপ
মিছিলের সামনে একটি খাটো এবং স্বাস্থবান লোক বসে থাকেন। লোকটির নাম হল ওসমান গনি। তিনি মিসির আলিকে ভুত-প্রেত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের গল্প শোনাতে থাকেন। তবে মিসির আলি যেহেতু ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে না সেহেতু তিনি এই গল্প শুনতে আগ্রহ বোধ করলেন না। তিনি ওসমান গনিকে তার গল্প সংক্ষেপে বলার জন্য অনুরোধ করলেন।
তার পরেও ওসমান গনি তাকে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে গল্প বলা শুরু করল এবং গল্পের যে পরিণতি দাঁড়াল তা হল সেই ভদ্রলোক দুইটি ছোট ভূতের বাচ্চা সব সময় দেখে থাকেন। ভূতের বাচ্চা দুইটা তাকে মামা বলে রাখে এবং তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এ ধরনের অহেতুক গল্প বলে এবং মিসির আলির থেকে একটি চিরকুট লিখে নিয়ে ওসমান গনি মিসির আলির বাসা থেকে চলে যান। মিসির আলির বাড়ির বাইরে বের হন এবং তার পার্কিং করা গাড়িটি দেখতে না পান তখন নিজের মানসিক অসুস্থতার কথা প্রকাশ পায়।
পরের দিন সকালে যখন মিসির আলি প্রাতঃভ্রমণে বের হবেন তখন তার বাড়ির সামনে একজন পুলিশ আসেন এবং তার সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে অনুরোধ জানান। কিন্তু মিসির আলি পুলিশকে অপেক্ষা করতে বলেন এবং তিনি প্রাতঃভ্রমণ সেরে এসে পুলিশের লোকের কাছে জানতে পারেন যে ওসমান গনি খুন হয়েছে। পুলিশের লোক মিসির আলীকে নিয়ে ওসমান গনির বাড়িতে পৌঁছায় এবং সেখানে গিয়ে দেখায় গত রাতের লোক আর এই লোক সম্পূর্ণ আলাদা।
যেহেতু দেশের একজন স্বনামধন্য মন্ত্রী এই মৃত্যুর পেছনে আগ্রহ দেখিয়েছেন সেহেতু তিনি মিছির আলীকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপার দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। প্রকৃতপক্ষে মিছির আলীকে কেউই কাজ দিতে চায় না। কিন্তু যখন মিসির আলির বুদ্ধিমত্তা এবং অনুমানকে শক্তিশালী মনে করে তখন সকলেই মিছির আলীকে ভরসা করতে শেখে। তাই মন্ত্রী ও তাকে 1st ইনভেস্টিগেট করার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করেন।
তিনি ওসমান গনির বাড়িতে আসেন এবং ওসমান গনির মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। ওসমান গনির মেয়ে নাদিয়া গনি তাকে এই বাড়িতে এসে থাকার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইনভেস্টিগেট করতে বলেন। মিসির আলি একে একে বাড়ির সকলের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন এবং আস্তে আস্তে তার যুক্তি শক্ত করতে থাকেন। এইবারের একজন লোক আছেন যিনি ওসমান গনির সকল ধরনের গানের সংগ্রহ দেখাশোনা করতেন এবং তাকে সময় দিতেন। এই লোকটির নাম আব্দুল মজিদ। ওসমান গনির বাড়িতে আশ্রিত এক বৃদ্ধ মহিলা হলো আব্দুল মজিদের মা।
আব্দুল মজিদ মিসির আলিকে জানাই যে এই বাড়িতে ভৌতিক কোনো ব্যাপার আছে। মাঝ রাতে বাথরুমে ঢুকলে অনেকের বাথরুমের দরজা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই দরজা খুলে না। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে সে একটি চমৎকার ঘটনা শুনে। ওসমান গণির বাড়িতে তাদের সন্তান না হয় একটি পালক পুত্র সন্তান নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পালক পুত্র সন্তানের প্রতি ওসমান গনি মিস্ত্রি আগ্রহ হারায় এবং শাস্তিস্বরূপ তাকে বাথরুমে বন্ধ করে। ছেলেটি ভয় পেয়ে মৃত্যুবরণ করে।
প্রথমদিকে মিসির আলি নাদিয়া গনিকে সন্দেহ করে থাকল বৈঠক শেষে আপনারা অন্য কোন আড়াল এর হত্যাকারীর সন্ধান পাবেন। তবে মিছির আলীর সঙ্গে তার বাড়িতে প্রথম রাতে যে লোক দেখা করেছিল সেই লোক অম্বিকা বাম্বু নামক এক লোক। তিনি কীভাবে ওসমান গনির সঙ্গে জড়িত এবং তিনি কেনইবা মিসির আলীর সঙ্গে দেখা করলেন এ বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটি পড়তে হবে।
আশা করছি যে এই বইটি পড়লে আপনারা অনেক রহস্যের জট খুলতে পারবেন এবং চমৎকৃত হবেন। ওসমান গনির মৃত্যুর পেছনের কারণ কি এবং অন্যান্য ঘটনার যোগসুত্র কিতা পুরোপুরিভাবে মিসির আলি মীমাংসা করেননি। তাই এই বইটির নাম জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ দিয়েছেন মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য।