মিথস্ক্রিয়া PDF Download কিশোর পাশা ইমন

বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য থ্রিলার লেখক হলেন কিশোর পাশা ইমন। তার বিখ্যাত একটি থ্রিলার হল “মিথস্ক্রিয়া”। এটি তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার। তিনি তার প্রথম উপন্যাসের মাধ্যমে সব পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তার এই উপন্যাসটিতে পাওয়া যাবে অনেক শ্বাসরুদ্ধকর টুইস্ট। অসাধারণ এই বইটি যারা এখনো সংগ্রহ করে পড়তে পারেননি, তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

“মিথস্ক্রিয়া” কিশোর পাশা ইমনের একটি বিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে 2016 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। বইটি প্রকাশ করেছেন বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 350 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মূল্য 224 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

মিথস্ক্রিয়া বলতে আমরা বুঝি কোন একটা গুপ্ত সংগঠন,বাস্তবতা,বা প্রাচীন বিশ্বাস সবগুলোর মিশ্রিত ধারণা। এই বইটি থেকে আমরা প্রাচীন বিশ্বাস এবং সেই সময় তাদের রীতিনীতি কেমন ছিল সবকিছু সাথে পরিচিত হতে পারব।

গল্পটা শুরু হয় এক বিখ্যাত বিজ্ঞানীর খুন হওয়ার পর থেকে। হঠাৎ করেই খুন হয় বাংলাদেশের নামকরা বিজ্ঞানী ও কেমিস্ট তানভীর আহমেদ। তার নিজের বাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

সেই খুনের তদন্তের ভার গিয়ে পড়ে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ওপর। কেসটার দায়িত্ব গিয়ে পড়ে বিখ্যাত ইনভেস্টিগেটর আসিফ আহমেদ ও তার সহকারি জিয়ার ওপর। খুনের তদন্ত করতে করতে তাদের পরিচয় হয় তানভীর আহমেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ড: রামিজ খানের সাথে।

রামিজ খান কেমিস্ট্রি নিয়ে আলোচনা করেন না। বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু জানেন। রামিজ খান ইনভেস্টিগেটরদেরকে জানালো তানভীর রহমান শুধু কেমিস্ট ছিলেন না। তিনি আসলে একজন আলকেমিস্ট।

কেসটার ঘটনা প্রবাহ রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, যিশুখ্রিস্টের জন্মের 4000 বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এদিকে আনোয়ার নামের একজন শিক্ষক এবং ক্রিশ্চিনা নামের একজন তরুনী এই জোড়া খুনের ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্বে এসে পড়ে আসিফের ঘাড়ে।

তারা তদন্ত করতে করতে জানতে পারে এই দুইটি খুনের জন্য দায়ী একটা ভ্যাম্পায়ার। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে ভ্যাম্পায়ারের অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করতে পারছে না হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। এছাড়াও তানভীর রহমানের হত্যার পরে তার ছেলে বিজয়কে কেউ কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়।

অনেক পরে তারা জানতে পারে আলকেমি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তানভীর রহমান সাহায্য নেয় শয়তানের। তিনি জড়িয়ে পড়ে গুপ্ত সংগঠন মিথরাসের সাথে। শেষপর্যন্ত হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট এমন কিছু সত্যের মুখোমুখি হয় যার জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না।

একসময় আসিফ খবর পায় কোন এক গুপ্ত সংগঠন বিশ্বকে করায়ত্ত করতে চাচ্ছে। সেটা একদিনের স্বপ্ন নয় তাদের হাজার হাজার বছর ধরে তারা এই স্বপ্ন কে লালন করছে। আসিফ ও তার সহকারীর যতবারই রহস্য সমাধানে আগাচ্ছিল কোন এক অদৃশ্য শক্তি তাদেরকে বাধা প্রদান করেছিল। কি সেই অদৃশ্য শক্তি?কে তানভীর রহমান কে খুন করল? কারা তানভীর রহমানের ছেলেকে কিডন্যাপ করল? এসব প্রশ্ন লুকিয়ে আছে উপন্যাসটিতে। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করল রহস্যের সমাধান যেটা কিনা পুরো বাংলাদেশকে তোলপাড় করে দিবে।

উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। কারণ গল্পের বিষয়বস্তু অনেক আকর্ষণীয়। যে কেউ পড়তে লাগলে গল্পটি শেষ না করে উঠতে পারবেন না। তাই আর দেরি না করে উপন্যাসটি পড়ে ফেলুন। আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top