মনসা PDF Download শাহনাজ পান্না

সাহিত্যজগতে শাহনাজ পান্না এক অতি পরিচিত মুখ। তাঁর রচিত সবগুলো থ্রিলার উপন্যাসই অনেক জনপ্রিয়। তিনি খুব সহজেই পাঠকদের কাছে তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। তার লেখনীর মাধ্যমে পাঠকরা অনেক আনন্দের সহিত বই পড়ে এবং অনেক নতুন পাঠকদেরও বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তিনি সবসময় পাঠকদের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেন যাতে পাঠকরা ভালো বুঝতে পারে। শাহনাজ পান্নার জনপ্রিয় একটি উপন্যাস হলো “মনসা”।

“মনসা” শাহনাজ পান্নার একটি থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 190 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 140 টাকা। আপনারা যারা এই বইটির হার্ডকপি এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসটি মূলত একটি হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার। এই গল্পটা বিখ্যাত কাব্য “মনসামঙ্গলের”সাথে অনেক মিল পাওয়া যায়। এই বইয়ের মূল প্রেক্ষাপট হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার জোড়াদিঘি গ্রামে। প্রায় 1300 বছরের আগে এক জমিদার তার সম্পদ রক্ষার জন্য বলিদান একজন নিষ্পাপ শিশুকে। তারপরেই শুরু হয় অভিশাপ। সেই শিশুকন্যাটি নাকি পরবর্তীতে সাপে রূপান্তরিত হয়েছিল।

সাভারের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলে একটি নদী। যার নাম হল বংশী নদী। সে নদীর তীর ঘেঁষে ছিল সাপুড়ে পল্লী। সেখানেই বিষাক্ত চন্দ্রবোড়া সাপের খুঁজে আসে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহমার পিএইচডি গবেষক হার্পেটোলজিস্ট অনুরতা লারা আর তার ভাই হাসান শাহরিয়ার রুমি। ওখানকার একজন সাপুরে হানযালের মুখে এক অদ্ভুত কাহিনী শুনে তারা।

ইংরেজদের থেকে লুকিয়ে জমিদারির সমস্ত ধনরত্ন এক বিশাল কলস এর মধ্যে যোগেশ্বর হরেকৃষ্ণ গঙ্গাধর রেখে আসে মা মনসা দেবীর মন্দিরে। সেই সাথে সে একটি নিষ্পাপ শিশুকে বলে দিয়েছিল। তারপর থেকে ওই নিষ্পাপ শিশুটি মা মনসার রূপ নেয়। একে একে গঙ্গাধরের পরিবারের সব সদস্য মারা পড়ছিল আবার তার তিন সন্তান মারা গিয়েছিল সেই অভিশাপে।

গঙ্গাধর নিজেও বুঝতে পারে না যে সে কত বড় বিপদ থেকে এনেছে। লারা ও রুমি সেই গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তারা বুঝে উঠতে পারেনা যে এই কাজটা করা কতটা কঠিন হবে। তারা সবকিছু শোনার পরে সিদ্ধান্ত নেয় এই রহস্যের সমাধান তারাই করবে ‌। গ্রামবাসীকে অভিশাপ এর হাত থেকে রক্ষা করবে।

বুড়ো সাপুড়ের মুখে গল্প শুনে সেই রহস্যের পেছনে ছুটে লারা এবং রুমি। তারা শুরু করে তেরো শত বছরের পুরনো রহস্যের সমাধান। তারা ছুটে চলে প্রাচীন কিংবদন্তীর দিকে। লারা ওর রুমে না চাইতেও আটকা পড়ে সে কিংবদন্তীর ফাঁদে। তারা যত গভীরে যাচ্ছিল তা তো সবকিছু জানো বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। চারপাশের মানুষগুলো কেমন যেন পাল্টাতে শুরু করছিল। তারা যেন এক মায়াবী জালে জড়িয়ে পড়েছিল।

শেষ পর্যন্ত কি শত বছর ধরে শক্তিশালী জাল পেতে যে বসে আছে তার থেকে কি বেঁচে আসতে পেরেছিল? তারা কি পেরেছিল হারিয়ে যাওয়া গুপ্তধন উদ্ধার করতে? তারা কি মনসা দেবীর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পেয়েছিল? এই সব কিছুর উত্তর লুকিয়ে আছে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তাই আপনারা যারা প্রাচীন ইতিহাস পছন্দ করেন তারা আর দেরি না করে বইটি চটপট করে পড়ে ফেলুন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top