জংলীর দেশে- লো০০৩ মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। লেখক তার রচনাতে বরাবর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং সকলের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করেছেন। লেখক বরাবর তার উপন্যাসগুলোতে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া দেখিয়েছেন। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “জংলীর দেশে-লো ০০৩”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে। তিনি একাধারে বিভিন্ন জনারের বই লিখেছেন।

“জংলীর দেশে-লো০০৩” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2017 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 103 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 75 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

লেখক মোস্তাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সম্মান অর্জন করেছেন তাঁর সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকদের পড়ার উপযোগী। তার উপন্যাস গুলো পড়লে জ্ঞান চক্ষু আরো সুদৃঢ় হয়।

নিমি খুব অস্থির হয়ে আছে। কারণ নিমির ভালো লাগেনা স্পেসশিপ নিউজারে। তার ইচ্ছে হয় আফ্রিকার জঙ্গলে অভিযানে যেতে। কারণ নিমি অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসে। সে সবসময় অন্যরকম কিছু করতে চায়। কিন্তু আফ্রিকার জঙ্গলে যেতে রাজি হয় না লো,ডিডি,টম। কিন্তু নিমি নাছোড়বান্দা সে যে করেই হোক আফ্রিকার জঙ্গলে যাবেই যাবে। তাই সে একটা নতুন পরিকল্পনা করে। সে গোপন টাইম মেশিনে আফ্রিকার জঙ্গলে পৌঁছে যায়।

সেখানে গিয়ে বুঝতে পারে সে কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘটনাক্রমে আটক হয়ে পড়ে ভয়ঙ্কর জংলীদেরদের হাতে। বাস্তবতা যে কত কঠিন সেটা নিমি বুঝতে পারেনি। কারণ জোংলিরা নিমি কে হত্যা করে তার মাংস ভক্ষণ করতে চাই। এদিকে লো আর টম নিমিকে উদ্ধার করতে পৌঁছে যায় আফ্রিকার জঙ্গলে। এখানে জীবন যে কতটা বিপদসংকুল না এলে বুঝতে পারত না নিমি।

এখানে পদে পদে বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদেরকে। এক বিপদ কাটিয়ে শেষ না করতেই অন্য বিপদ এসে হাজির হয়ে যাচ্ছে তাদের সামনে। সেই সব বিপদ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা পৌঁছে যায় জংলীদের গ্রামে। তাদের সাথে তাদের ভাগ্য সহায় হচ্ছে না। ‌নিমিকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্দি হয়ে পড়ে লো। তার হাত থেকে খুলে ফেলা হয় ডিজিটার। এখন আর চাইলেও সে স্পেসশিপে ফিরে যেতে পারবে না।

টম অবশ্য পরিকল্পনা করেই যাচ্ছে কিভাবে তাদেরকে ওখান থেকে উদ্ধার করা যায়। তাদের কাছ থেকে আগে প্রথম উদ্ধার করতে হবে ডিজিটার। তারপর মুক্ত করতে হবে লো কে। শেষ পর্যন্ত টম কী পারবে আর নিমি আর লো কে উদ্ধার করতে? নাকি ভয়ঙ্কর মৃত্যুবরণ করতে হবে সবাইকে? জানতে হলে অবশ্যই পুরো উপন্যাস টা একবার হলে পড়ে দেখবেন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top