মৃত সৈনিকের বনবাস PDF Download রফিকুল ইসলাম প্রিন্স

মৃত সৈনিকদের বনবাস বইটি লিখেছেন রফিকুল ইসলাম প্রিন্স। মৃত সৈনিকের বনবাস ব‌ইটি প্রকাশিত হয়েছে কিংবদন্তি পাবলিকেশন থেকে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 96 টি। যারা চমৎকার এই বইটি পড়তে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে মৃত সৈনিকের বনবাস বইটির কাহিনী সংক্ষেপ ও রিভিউ প্রদান করা হলো।

কাহিনী সংক্ষেপঃ মানুষ আদিম কাল থেকেই কৌতূহলী। অজানাকে জানার এক অদম্য কৌতূহল জন্ম থেকেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। আর এই কৌতূহল স্পৃহা থেকেই প্রকৃতির এক একটি রহস্য মানুষ উদঘাটন করে চলেছে। “মৃত সৈনিকের বসবাস” বইটিও এমন কয়েকজন রহস্য প্রিয় মানুষের গল্প। যারা রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে হাজির হয় ঐতিহাসিক কালের ঘটে যাওয়া ঘটনার মুখোমুখি। উন্মেচিত রহস্য তাদের সমাধান না দিয়ে বরং আরো রহস্যের গভীরে ঠেলে দেয়। বইটি শুরু থেকেই লেখক সবাইকে রহস্যের মধ্যে রেখেছেন। আদৌ কি রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে তা বইটি শেষ পর্যন্ত পড়া পাঠকই বলতে পারবে।

রিভিউঃ এই বইটির কাহিনী শুরু হয়েছে মূলত দুই দম্পতিকে ঘিরে। যারা একটি রিসোর্টে গিয়ে সম্মূখীন হয় অদ্ভুত সব ঘটনার। আর এই ঘটনার প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়ে সুস্মিতার স্বামী ভাস্করের উপর। সে বারবার একটি নারী মূর্তিকে দেখতে পায়। যার নাম শুক্লা। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই শুক্লা চারশ বছর আগের এক সৈনিক কুলদীপ যাদবের স্ত্রী।

কুলদীপ যাদব, চাঁদ বর্মণ এবং বল্লাল সেন তিন জন ব্রিটিশ সৈনিক। এই রিসোর্টের জায়গায় চারশ বছর আগে তারাও এসেছিলো। সেদিন ঘটেছিলো ভয়ংকর ঘটনা। বল্লাল সেনকে চাঁদ আর কুলদীপ হত্যা করে তাদের সহধর্মিনীদেরকে খুন করার দায়। অথচ এর কিছুই সে জানতো না। কোনো অপরাধ না করেই চারশ বছর আগে খুন হয় সে। কিন্তু এতবছর পর ভাস্কর কেন শুক্লাকে দেখছে?

এই প্রশ্ন মাথায় নিয়েই কৌশিক-কল্পনা এবং সুস্মিতা-ভাস্কর দম্পতি ফিরে আসে “ভূতের বাড়ি” নামক রিসোর্ট থেকে। ফিরে এসেও শান্তি নেই। তাদের জীবনে ঘটে চলে একের পর এক অঘটন। কৌশিক চাকরির প্রয়োজনে চলে আসে শমশেরনগর। সাথে কল্পনাকেও নিয়ে আসে। প্রথমদিন তাদের ভালোই কাটছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই কৌশিকের জেলের কয়েদিরা নৃশংশভাবে খুন হতে থাকে। খুনের কোনো হদিশই কৌশিক করতে পারছিলো না। অন্যদিকে তাদের বাসার সামনে থাকা বুড়ি ভানুলতার কাছে চারজন ছেলে মেয়ে আসে একটা চাবির খোঁজে৷ অমৃতা, শেখর, দিলীপ আর মহেশ।

এই চারজন আসে অতৃপ্ত আত্মা বন্দি করে তাদের বস হাও হাবেলির কাছে নিয়ে যাবে বলে। এতে তাদের সকলেরই কোনো না কোনো লাভ রয়েছে। সেই চাবি দিয়ে কার্যসিদ্ধি হবে হাও হাবেলি এবং রানী সাহেবার। মুক্তি পাবে চারজন ছেলে মেয়ের কারো না কারো প্রিয়জনের অতৃপ্ত আত্মা।

কিন্তু আসলেই কি তারা মুক্তি পাবে? আর হাও হাবেলি এবং রানী সাহেবার সাথেই বা চাবির কিসের সম্পর্ক? চারশো বছরের রহস্যটা কি ছিলো? বল্লাল সেনের সাথে কিসের সম্পর্ক দুই দম্পতির? বল্লাল সেনের সাথে সেদিন কি ঘটেছিলো? প্রকৃত খুনী কে? আপনাদের মাথায় নিশ্চয়ই এখন এই প্রশ্নগুলো ঘুরছে। আর এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে পড়তে হবে ৯৬ পৃষ্ঠার এই বইটি!

বরাবরের মতো আমি রহস্য অনেক ভালোবাসি। আর তা যদি হয় অতিপ্রাকৃত, তাহলে তো কথাই নেই। “মৃত সৈনিকের বনবাস” বইটি এক বসায় শেষ করার মতো। বইটি পড়তে পড়তে মনে হয়েছে আমি হারিয়ে গেছি ঐতিহাসিক কালের অমীমাংসিত রহস্যময় গল্পে।

প্লাটঃ বইটি দারুন একটি প্লট মাথায় রেখে লেখা হলেও মাঝে মাঝে মনে হয়েছে লেখক প্লট থেকে সরে গেছেন। একটু এলো মেলোও লেগেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে খুব একটা খারাপ হয়নি।

যাই হোক, শেষে একটা কথায় বিলবো, যারা থ্রিলারের সাথে ভৌতিকতারও স্বাদ নিতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত একটি বই! মাস্ট রিড!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top