আপনারা যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নবনী বইটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনারা যাতে হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর সকল বই খুব সহজভাবে পড়তে পারেন তার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে উনার সকল বইয়ের পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া আছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গেলে এক ক্লিকের মাধ্যমে খুব সহজ উপায়ে নবনী বইটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
নবনী বইটির প্রকাশনা সংস্থা হল সময় প্রকাশন এবং এই বইয়ের পৃষ্ঠায় রয়েছে 128 টি। বইটির বর্তমান বাজারে মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে দুইশত টাকা। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 1993 সালে। চমৎকার এই বইটি আপনারা পড়ে উপভোগ করতে পারবেন বলে মনে করি।
নবনী কাহিনী সংক্ষেপ
প্রধানত নবনী বইটিকে আমরা রোমান্টিক বই হিসেবে ভাবলেও পরের দিকে নবনীর কষ্টে আমরা অনেক কষ্ট পাই। হঠাৎ করেই একদিন নবনী দুপুরে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি আজকে তার বিয়ে। বিয়ে সম্পর্কে একজন মেয়ের যতটা বিচলিত এবং ভয় পাওয়ার কথা নবনী ঠিক সেই ভয়টা পাচ্ছে না। নবনীর বিয়ে উপলক্ষে তার বাড়িতে আনন্দের সীমা নেই।
পাত্রের নাম নোমান। নবনীর বিয়ের জন্য যিনি পাত্র ঠিক করেছেন তিনি হলো নবনীর মামা। নবনীকে বিয়ে দিয়ে ভোরের ট্রেনে ঢাকায় ফিরে যাবে ছেলে এবং বউ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালোভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবার ফলে পরের দিন ভোরবেলায় নবনী তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকাতে চলে যাই। নবনী খুব ইচ্ছা তার অতীত সম্পর্কে তার স্বামীকে জানাতে যেন ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোনো কথা না উঠে।
নবনীড় স্কুলে একজন অল্প বয়সেই ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন। তিনি মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেন এবং কলেজে উঠে পরবর্তীতে স্কলারশিপ পেয়ে যান। তলে তলে নবনী ইতিহাসের শিক্ষককে জালালেও সে তার শিক্ষককে ভালোবেসে ফেলে। এই শিক্ষক একসময় নবনীকে ভালোবেসে ফেলে এবং তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সামান্য একজন ইতিহাসের শিক্ষকের এ ধরনের প্রস্তাবের নবনীল বাবা রেগে যায় এবং নবনির বাড়ি থেকে তাকে বের করে দেন।
এলাকার লোক যখন এ বিষয়ে জানাজানি হয়ে যায় তখন সেই ইতিহাসের শিক্ষককে প্রচুর মারধর করে এবং ইতিহাসের শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে ঘুরিয়ে দেয়। শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাস্তার মধ্যে এই শিক্ষক মারা যায়।
পরবর্তীতে যখন নবনীর বিয়ের জন্য পাত্র দেখাতে হয়, তখন কোনো না কোনোভাবে সবগুলো বিয়েই ভেঙে দেয়। তবে এবারের পাত্র নোমান যাতে ভেঙে না যায় তার জন্য তার মামা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ঢাকাতে চলে আসার পর তারা খুব ভালভাবে সংসার করতে থাকে। কিন্তু একদিন নবনী তার ইতিহাস বলে দেয়। এতে সংসারে ঝামেলা শুরু হয়। নবনী সেই শিক্ষকের জন্য পাগল ছিল এবং ঢাকায় এসে মানসিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছিল তা উল্লেখ করে।
এ ধরনের স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করা যায় না বলে নোমান তার বান্ধবী অহনার সঙ্গে সান্নিধ্য করে তোলে এবং এক সময় তাকে বিয়ে করে। সত্য কথা বলার জন্য নবনীর সুখের সংসার ভেঙে যায়। বইটি পড়লে আপনারা যেমন রোমান্টিকতা পাবেন তেমনি দুঃখ-বেদনা পাবেন। হুমায়ূন আহমেদের চরম রোমান্টিক উপন্যাস হলো এটি। সময় পেলে বইটি পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে নিয়ে পাঠ করে ফেলুন।