ইংরেজি সাহিত্যের একজন বিখ্যাত লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তিনি তার বিখ্যাত উপন্যাসের মাধ্যমে সকলের কাছে দেশ পরিচিতি লাভ করেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। তার লেখায় আমরা বাস্তবতার ছোঁয়া দেখতে পাই। মানুষ কিভাবে কঠিন কিছু জিনিসকে সহজ করে তুলতে পারে সেটারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো হেনরি রাইডারের লেখনি। তার লেখায় তিনি বরাবরই সমাজের কিছু অন্ধ প্রথাকে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস মোটামুটি সমাদৃত হয়েছে সকলের কাছে। তেমনই এক উপন্যাস হলো “নাডা দ্য লিলি”।
হিন্দি রাইডার মূলত বাজি ধরে উপন্যাস অর্থাৎ অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখা শুরু করে। তিনি চাকরির সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থেকেছেন এবং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকমের জ্ঞান অর্জন করেছেন। সবগুলো দেশের থেকে আফ্রিকা মহাদেশের তিনি বেশি সময় কাটিয়েছেন। তারি ফলশ্রুতিতে আমরা তাঁর উপন্যাসে আফ্রিকা মহাদেশের অনেক অজানা তথ্য দেখতে পাই তার উপন্যাসে। ইতিহাসে তিনি একজন বিখ্যাত রোমাঞ্চকর ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসের স্রষ্টা। তিনি তার লেখায় সহজ সরল ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেন। তিনি তাঁর উপন্যাসের জন্য সুন্দর প্লট নির্বাচন করেন যেটা পাঠকদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।
“নাডা দ্য লিলি” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি অনুবাদ উপন্যাস। এটি একটা দুর্ধর্ষ যোদ্ধার অসামান্য প্রেম কাহিনী নিয়ে রচিত। উপন্যাসটির বাংলায় অনুবাদ করেছে ইসমাইল আরমান। বইটি প্রকাশ করেছে সেবা প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ লিখেছেন একটি বিদেশি মুভির অবলম্বনে ইসমাইল আরমান। বইটি প্রকাশ পায় 2021 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 373 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 130 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
হেনরি রাইডারের অন্যান্য উপন্যাসের মতোই এই উপন্যাসও টুইস্ট ও অ্যাডভেঞ্চার এর ভরপুর। যারা অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন তাদের খুবই পছন্দ হবে এই বইটি। কাহিনীর রহস্যের জাল গুলো অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল যা পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখতে খুব বেশি সাহায্য করবে। হেনরি রাইডার উপন্যাসে সব সময় তিনি সাসপেন্স কে অনেক উচ্চমাত্রায় রেখে লেখাগুলো তৈরি করেন। তার কারণে পাঠকরা একবার বই পড়তে লাগলে শেষ না করা অব্দি ছেড়ে উঠতে চাইবেন না।
আমি এখানে উপন্যাসটির সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরব বাকিটুকু জানতে গেলে অবশ্যই আপনাদের বইটা পড়তে হবে। এই উপন্যাসটিতে সবথেকে মজার জিনিস টি হল যখন কোয়াটারমেইন তার আমসলোপোগাস ও ইনকোসিয়াস নামের দুইটি কুঠার কে সঙ্গে নিয়ে যখন অ্যালান এর সাথে পথে নেমেছিল। সেখানে তারা গিয়ে কি করলো? এছাড়াও এই উপন্যাসে কোয়াটারমেইনের অভিযানের টুকরো টুকরো কিছু কাহিনী তুলে ধরেছেন।
এছাড়াও “নাডা দ্য লিলি” উপন্যাসে পাঠকরা সেই পুরনো দিনের হেনরি রাইডারের অনুবাদগুলোর কথা মনে করবে। উপন্যাসটি মূলত নস্টালজিক উপন্যাস। এই বইয়ের কাহিনী মূলত জুলু রাজা শাকারের রাজত্বকালে। এই উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র গুলো হল শাকা, ডিঙ্গান, মপো, আমলাঙ্গানা ও রাজমাতা উনান্ডি। এই চরিত্র গুলো সবই ঐতিহাসিক। জুলু রাজা ও ডিঙ্গানের নিষ্ঠুর আচরণ কিভাবে দেখেছেন লেখক? সেটা জানতে হল বইটা শেষ অব্দি পড়তে হবে।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে পারি বইটি যদি না পড়েন তাহলে অনেক জানা কথা অজানা থেকে যাবে। ঐতিহাসিক ও কাল্পনিক চরিত্রের সংমিশ্রণে দারুণ এক জমজমাট সাসপেন্স তৈরি হয়েছে এই উপন্যাসে। তাই বলব বইটা একবার হলেও সবাই পড়ে নিন আশা করি কিছুটা সময় অনেক ভালোভাবে কাটবে।