বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হলেন হুমায়ুন আহমেদ। তিনি তার অসংখ্য অসংখ্য লেখনির মাধ্যমে দেশে বিদেশে মানুষের মন জয় করে আছেন। বড়দের জন্য বাদেও তিনি শিশুতোষ অনেক উপন্যাস লিখেছেন। তেমনি একটি জনপ্রিয় শিশুতোষ উপন্যাস হল ‘ নীল হাতি ‘। ছোটদের সাথে সাথে বড়রাও বইটি পড়ে অনেক আনন্দ পাবে। চমৎকার এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।
‘নীল হাতি ‘ বইটি হুমায়ুন আহমেদ রচিত ছোটদের জন্য একটি মজার বই। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এবং এটির ৩য় সংস্করণ হয় ২০১৬ সালে তার মৃত্যুর পর। বইটির প্রকাশক অন্বেষা প্রকাশনী। বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে । বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৫৪ টি। বইটির বাংলাদেশী মুদ্রিত মূল্যঃ ১৩৫ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ০৫ এমবি।
নীল হাতি ছোটগল্পের মূল কাহিনীঃ
নীল হাতি গল্পটি মূলত তিনটি গল্পের কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে। এটি মূলত ছোটদের গল্প। যাদের ছোট বয়সে বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে তারা এই গল্পটি পড়ে মজা পাবে। গল্পটীর কেন্দ্রীয় চরিত্র হল নীলু। যে তার বাবা মায়ের সাথে থাকে। নীলু তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সে তার বাবা-মা আর আত্মীয় স্বজনের খুব আদরের। তার একটি মামা রয়েছে যে আমেরিকায় থাকে। নীলু তাকে কখনো দেখেনি।
কিন্তু তার মামা তাকে চিঠি লেখে। চিঠিতে জানায় তার মামা তাকে খুব ভালোবাসে। নীলুর মামা একদিন চিঠি লিখে নীলুর কাছে। নীলুকে জানায় রুপার ঘন্টা বাধা একটি বাচ্চা হাতি রয়েছে তাদের বাসায়। সে আপনা থেকেই শুড় নাড়ে আর রুপার ঘন্টা ঝুনঝুন করে বাজে। নীলু ভাবে তার যদি এমন একটা হাতি থাকতো তাহলে কতো মজাই না হতো। সে বাড়িতে তার সাথে খেলতে পারতো। তার অবুঝ মনে কতরকম চিন্তা হতো সেই হাতিকে নিয়ে।
আরেকটি গল্প হল নীলু আর একটি মামদো ভূতকে নিয়ে। একবার নীলুর জন্মদিন খুব ধুমধামে পালন করা হল। অনেক আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া হল। সবাই অনেক উপহার দিলো নীলুকে। অনেক রকম খেলনা। তারমধ্য তার মা-বাবা জন্মদিনে তাকে একটি মেম পুতুল কিনে দিলো। গোলাপি উলের ফ্রক পরা পুতুলটার নাম রেখেছিল অ্যানি। একদিন এক কান্ড ঘটে বসলো। সেই মামদো ভূতের ছানার খিদে পেয়ে গেলো। খিদে পেতেই সে গোলাপি পুতুলটার মুন্ডুটা চিবিয়ে খেয়ে নিয়েছিল। তাই দেখে নীলুর সে কি কান্না।
বইটির শেষ গল্পের নাম ছিল আকাশ পরী। নীলুর বাসায় একটি ফুলের বাগান আছে। সেই বাগানে লাগানোর জন্য সেনচুরিয়ান নামক বিদেশি ফুলের চারা নিয়ে আসা হল। সেই চারা নিয়ে এসেছিলেন নীলুর বাবার বন্ধু আজিজ চাচা। আজিজ চাচা একটি ছড়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন, পূর্ণিমা রাতে সেই ফুলের মালা পরে জানালার ধারে বসে মনে মনে সেই ছড়া বললে আকাশ থেকে পরীরা নেমে আসবে। বাগানে এসে তারা খেলা করবে। হুমায়ুন আহমেদের চমৎকার এই শিশুতোষ বইটি পড়লে অনেক মজা পাবেন।