নিখোঁজ কাব্য PDF Download সালমান হক

সালমান হক বাংলাদেশের একজন তরুণ থ্রিলার লেখক। তিনি তার লেখা শুরু করেন অনুবাদ কর্মের মাধ্যমে। তার অনুবাদকৃত জনপ্রিয় অনুপাত হল হেনরি বিনস সিরিজ। তার বিখ্যাত একটি থ্রিলার উপন্যাস হলো “নিখোঁজ কাব্য”। তার সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। কার রচিত প্লট ও সুন্দর উপস্থাপনের জন্য মানুষ খুব সহজেই তাকে বা তার লেখাকে আপন করে নিয়েছেন।

“নিখোঁজ কাব্য” লেখক সালমান হকের একটি জনপ্রিয় থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশ হয় 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সিরাজুল ইসলাম নিউটন। বইটি হার্ডকভার ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 176 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 154 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

উপন্যাসটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এখানে লেখক রোমান্স জিনিসটাকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এটা মূলত একটা রহস্যধর্মী উপন্যাস। লেখক এই উপন্যাসটির নাম খুব ভেবে চিন্তে নিয়েছেন। বইটির নামের মধ্যেই আসল আকর্ষণ লুকিয়ে আছে।

গল্পটা শুরু হয় উত্তরবঙ্গের একটা এলাকা থেকে। গ্রামটির নাম হল রতনপুর। গ্রামটি অনেক শান্ত ও সিমসাম একটা মফস্বল। ছোট এই গ্রামেতে সবাই খুব শান্তিতে বসবাস করছিল। এখানকার সবাই সবার সাথে খুব পরিচিত। হঠাৎ করেই রতনপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কমবয়সী তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

যে তিন তরুণী নিখোঁজ হয়েছে তারা সবাই রতনপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত বংশের মেয়ে। গ্রামের সেই তিন ফ্যামিলির অনেক ডাকনাম আছে। প্রথম যে দুই তরুণী নিখোঁজ হয় তারমধ্যে একজন ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার রহমতউল্লাহর মেয়ে। তারপর নিখোঁজ হয় আপ্যায়ন হোটেলের মালিকের মেয়ে অদিতি।

প্রথম দুইজন নিখোঁজ হওয়ার পরে সবাই অনেক চিন্তার মধ্যে পড়ে যায় যে কি করে এটা থামানো যাবে। তার কিছুদিন পরেই আবার একজন নিখোঁজ হয় আর সে হল উকিল মোজাম্মেল আলমের মেয়ে বিথী। জাহিদ হাসান এই গ্রামের থানার দায়িত্বে ছিল। এই গ্রামে শুরু থেকেই দুই একটা চুরির কেস ছাড়া তেমন কিছুই ঝামেলা হয়নি। জাহিদ এই গ্রামের ছেলে। এখানে এসে জয়েন করার পরে খুব আরামে দিন কাটছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করেই সে অনেক বড় কেসের মধ্যে আটকা পড়ে।

পরপর তিনজন নিখোঁজ হওয়ার পরে সবার মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। পুরো এলাকা জুড়ে সবার মনে একটা ভীতি কাজ করতে থাকে। ইন্সপেক্টর জাহিদ অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও এই কেসের কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না। এরই মাঝে একদিন এক তরুনীর লাশ পাওয়া যায়। জাহিদ রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলো এই কেসের ব্যাপারে।

পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে তখন তদন্তের জন্য ডাকা হয় স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদ আল নিয়াজকে। নাবিদ রতনপুরে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সে কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না। সে ভাবছিল এটা কোন সিরিয়াল কিলারের কাজ কিনা? রীতিমতো নাবিদের টিম অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতই তদন্ত করছিল। কেসটা এতটাই জটিল যে নাবিদ কোন ক্লু খুঁজে পাচ্ছিল না।

নাবিদ কি পারবে এই কেসের সমাধান করতে? শেষ পর্যন্ত কি তরুণীদের উদ্ধার করতে পারে নাবিদ? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে বইটা পড়তে হবে। তার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে যাবেন এবং সেখানে এই বইয়ের লিঙ্ক পেয়ে যাবেন, তারপর ডাউনলোড দিয়ে বইটি খুব সহজেই পড়ে নিতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top