নিষাদ PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

নিষাদ বইটি লিখেছেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। বইটির মিসির আলি সিরিজের একটি বই। আপনারা সকলেই মিসির আলি সিরিজের সঙ্গে পরিচিত রয়েছেন। মিসির আলি এমন একটি চরিত্র যিনি যুক্তির উপর বিশ্লেষণ করে কোন সমস্যার সমাধান করে থাকেন।

আপনারা যদি নিষাদ বইটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ বইটির জটিলতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর বৈচিত্র সম্পর্কে সকল তথ্য প্রদান করায়, তা কতটা চমকপ্রদ এবং যুক্তিসঙ্গত তা আপনারা পাঠ করলে বুঝতে পারবেন। যারা এখনও করেননি তারা অবশ্যই পাঠ করে নেবেন। যারা হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারছেন না, তারা পিডিএফ ফাইল আকারে সংগ্রহ করতে পারেন।

তার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের নিষাদ বই পিডিএফ ফাইল দেওয়া আছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে যান। আর সেখান থেকে হুমায়ূন আহমেদের নিসাব বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন।

হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের নিষাদ বইটির পিডিএফ ফাইল আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন। এই পিডিএফ ফাইলের আকার খুবই ছোট এবং বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭২ টি। বইটি অবসর প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য ১৫০ টাকা।

নিষাদ হুমায়ূন আহমেদ কাহিনী সংক্ষেপ

মিসির আলী সাহেবের কাছে একজন লোক আসে। লোকটি নাম টুনু। তার বয়স হিসেবে তার চেহারায় বয়সের ছাপ এর আধিক্য অনেক বেশি। অর্থাৎ সেই লোকটি অল্প বয়সেই বড় মানুষের মত হয়ে গিয়েছে। তিনি মিসির আলি সিরিজের সঙ্গে তার সমস্যা নিয়ে দেখা করতে চান। মিসির আলীকে তার সমস্যার কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন।

প্রথম দিন মিসির আলীকে না জানিয়ে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে তাকে সে এসে ঘটনাগুলো জানান। অর্থাৎ তার জীবনে ঘটে যাওয়া জটিলতাগুলো মিশে যায়। যা ঠিক হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। পরে যখন তার সঙ্গে মিশে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তখন তার সমস্যার কথা বলতে থাকে।

টুনুর আসল নাম মুনির হোসেন। ছোটবেলায় বাবাকে হারাই বাবার সহ্য পেটের ব্যথা থেকে অপারেশন করা হয়। আর পেটের ব্যথায় অর্থাৎ এপেন্ডিসাইড তার পিতা মৃত্যু বরণ করে। তারপরে তার পিতার অনেক ঋণ থাকায় বাড়িঘর বিক্রি হয়ে যায়। তারা মানবেতর জীবন-যাপন করতে থাকে। একসময় নিজের চেষ্টায় শহরে চাকরি জুটিয়ে নেয়। কিন্তু তার জীবনে বেশ কিছু জটিলতা থেকে যায়। তার বোন ফুলেশ্বরীর এর বিয়ে হয়ে যায়। মা মারা যায়। তার একার জীবন অনেক কষ্টের হয়ে ওঠে।

তার জীবনের সমস্যা হচ্ছে একই সাথে দুইটি জীবনের চলমান অবস্থা। মুনির খান যে জীবনে বসবাস করছেন, তার চাইতেও তার আগের একটি জীবন রয়েছে। সে জীবন কি তার অতীত জীবন? মুনির খান শহরের একটি চিলেকোঠা বাসায় ভাড়া থাকেন। তিনি একদিন লক্ষ্য করেন যে, তার ঘরের পাশেই আরেকটি ঘর রয়েছে এবং সে ঘর থেকে বেশ কিছু শব্দ হচ্ছে।

সেই শব্দকে কেন্দ্র করে সে পাশের ঘরে প্রবেশ করে। কিন্তু সেখানে সে অন্য একটি জগত আবিষ্কার করে। যেখানে তার অতীত তার বর্তমান জীবনের সঙ্গে চলমান রয়েছে। সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একই সঙ্গে বেড়ে উঠছে। এভাবে সমস্যা দিনে দিনে আরও প্রকট হতে থাকে।

মুনির হোসেন শহরের একটি ব্যাংকের টাইপিস্টের কাজ করেন। সেখানে তার সঙ্গে পরিচিত হয় রইসউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে। সে তার বাড়ির সাথে যাই। সেখানে তার মেয়ে মিনুর সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখানেও সে তার একটি জীবন আবিষ্কার করে। সে লক্ষ্য করা যায় তার সঙ্গে বিনুর অনেক আগের পরিচয়।মিনুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।

এভাবেই মনির হোসেন একাধিক জীবনের সঙ্গে চলমান অবস্থায় রয়েছে। এক সময় তিনি খুব অসুস্থ হয়ে যান। রইসউদ্দিন সাহেবের সহায়তায় শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপরে ডাক্তার আবিষ্কার করেন যে তার মাথার ভিতরে বড় ধরনের একটি টিউমার হয়েছে। যার কারণে সে অনেক সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।

অবশেষে মনির হোসেন মৃত্যুবরণ করে। এভাবেই একটি মানুষের একাধিক জীবন থাকে বলে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এ বিষয়ে তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের এক শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন। মনির হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে অনেক সত্যতা যাচাই করেন। এভাবেই হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের শেষ হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top