নিশীথিনী PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের বইগুলো পড়তে পছন্দ করেন তাহলে আপনার কাছে নিশীথিনী বইটি অনেক ভালো লাগবে। মিসির আলি সিরিজের দ্বিতীয় বই হল নিশীথিনী। এই বইটি আপনারা পাঠ করলে অনেক আনন্দ পাবেন। যারা মিসির আলি সিরিজের সঙ্গে পরিচিত তারা অবশ্যই এই বইটি পড়লে সাহিত্যরস এবং আনন্দ পাবেন।

আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এই বইটির পিডিএফ ফাইল দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পাঠক যাতে খুব সহজ উপায় এবং ফ্রিতে বইটি পাঠ করতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা কোনো কারণে বইটি সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন।

নিশীথিনী পিডিএফ ডাউনলোড 

মিসির আলি সিরিজের দ্বিতীয় বই হল নিশীথিনী এবং এই বইটি লিখেছেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। এ বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা মোট 101। বইটি প্রকাশিত হয়েছে প্রতীক প্রকাশনা সংস্খা থেকে। মূলত এই বইটির বর্তমান মুদ্রিত মূল্য 180 টাকা। তবে বিভিন্ন লাইব্রেরীতে আপনারা বিভিন্ন ছাড়ে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই বইটি একটি অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস ধারণের। মিসির আলি যাদের পাঠক মনে নন্দিত এবং সাহিত্যের সুধা পান করাতে সক্ষম হয়েছে, তাদের কাছে এই বইটি অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে এবং ডাউনলোড করে নিই।

নিশীথিনী বইটির সারসংক্ষেপ

নিশীথিনী বইটিতে আমরা মিসির আলির পাশাপাশি নিলু চোখে দেখতে পাই। মিসির আলির প্রথম বই দেবীতে আমরা নিলু চরিত্রের আবির্ভাব দেখেছিলাম। এখানে এই চরিত্রটি মিছির আলীর প্রতি ভালোবাসা দেখায় এবং দেবী বয়স থেকে কিছু অতিপ্রাকৃত বিষয়গুলো এই চরিত্র ধারণ করে থাকে। নিলু চরিত্রটি আসন্ন বিপদ আপদ বুঝতে সক্ষম হয় এবং মিসির আলির সামনে আসন্ন বিপদ রয়েছে তা অনুমান করতে পারে। সেজন্য তিনি তার ভালবাসার মানুষকে এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।

মিসির আলির এই বইয়ে সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হল ফিরোজ নামের এক কেন্দ্রীয় চরিত্র। ফিরোজ প্রধানত ডাক্তারি পড়াশোনা করছে। সে তার বন্ধুর আগমনে বন্ধু আজমল এর বাড়িতে যাই। আর ছেলের বাড়ি ময়মনসিংহের মোহনগঞ্জ। আজমলের বাপ-দাদারা ছিলেন জমিদার। সেখানে বিভিন্ন পুরাতন ঘরের মধ্য থেকে ফেরত এমন একটি ঘরে প্রবেশ করে যে ঘর থেকে সেই বাড়ির ছোট বাবুর আত্মা ফিরোজ এর মধ্যে প্রবেশ করে। ফিরোজ অস্বাভাবিক হয়ে যায় এবং ঢাকায় ফিরে আসে। তার সমস্যা নিয়ে মিসির আলির কাছে আসা হয় এবং মিসির আলি তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।

ফিরোজের এই অবস্থা নিয়ে তিনি অনেক চেষ্টা তদবির করেন এবং যুক্তি দেখাতে চেষ্টা করেন। এদিকে মিশির আলীর বাড়িতে একটি কাজের মেয়ে আছে যে মেয়েটি মাঝে মাঝে ইংরেজী কথা বলে। কোন একদিন ঘুমের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলে উঠলো মিসির আলি বুঝতে পারে এই মেয়ে অনেক উচ্চ ঘরের। কোন ঘটনা ক্রমে সে হারিয়ে গিয়েছে এবং ঘটনাচক্রে এ বাড়িতে এসে কাজ করছেন। মিসির আলি এই সমস্যার সমাধান চাই তার কমিশনার বন্ধুর কাছে। কমিশনের বন্ধু থাকে ব্যাপারে সাহায্য করে এবং গল্পের শেষে আমরা দেখতে পাই যে কাজের মেয়েটি তার সঠিক মা-বাবার সন্ধান পেয়েছেন।

এদিকে নীলুর ভেতরে দেবী বইয়ের গান ও চরিত্রের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ্য করতে পারি। রানুর ভেতরে যে অতিপ্রাকৃত ব্যাপার গুলো ছিল নিলুর ভেতরেও সেই অতিপ্রাকৃত ব্যাপারগুলোর থেকে গিয়েছে। কিন্তু মিসির আলীর মতো একজন যুক্তিবাদী মানুষ এ ধরনের অতিপ্রাকৃত ব্যাপার গুলো কখনোই মেনে নেবেন না। তিনি প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনে যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করবেন।

তাছাড়া নিচে থেকে আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটায় যেগুলো একেবারেই বাদ দেওয়া যায় না। শহরে একজন বদ্ধ উন্মাদ পাগল খালি গায়ে হাতে ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। রাস্তায় যাকে পাই তাকে আঘাত করে এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পুলিশের লোক জনেরা এ নিয়ে ব্যস্ত এবং তৎপর হয়ে ওঠে।

নিলু আন্দাজ করতে পারে যে আততায়ীর হাতে এবার হয়তো মিসির আলির জীবননাশ হতে পারে। তবে নিল আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করে মিসির আলিকে বাঁচাতে সাহায্য করে। তাহলে আপনারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ বইটি এখনই ডাউনলোড করে নিন এবং পাঠ করা শুরু করে দেন

নিশীথিনী PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top