নটরাজ PDF Download সিদ্দিক আহমেদ

পূর্বে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ফিকশন আকারে একটু কল্পনা মিশিয়ে সুন্দর ভাবে প্রকাশই হলো ঐতিহাসিক উপন্যাস। সাথে যদি আরও একটু থ্রিল মেশালে তা পড়তে আরও ভালো লাগে। এই জনরাটাকে সমৃদ্ধ করেছেন ‘সিদ্দিক আহমেদ’। ইতোমধ্যে বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। তার আরেক দারুণ বই হলো ‘নটরাজ’। বইটা প্রথম দিকের অথচ তখন থেকেই তিনি এমন দারুণ ভাবে সব উপস্থাপন করেছেন সত্যিই পাঠক মুগ্ধ হবে! সুতরাং এই চমৎকার বইটা পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

পরীক্ষা শেষে কোন ফ্রেন্ড সার্কেলই না ট্রুর এ না যায়? জিতু,সিহাব, নাবিলা ওদের সেমিস্টার শেষ। তাই ওরা টুরে গেলো বান্দরবন। তারপর জিতু একটি বিপদের সম্মুখীন হলো আর বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়ে হঠাৎ দেখে ফেলল একটি নটরাজ এর মুর্তি। খাচাখচ ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তুলে ফেলল কয়েকটা ছবি। তারপর ফেইসবুকে আপলোড দিলো এবং সেই ছবিই তার জন্য কাল হয়ে দারালো।

অন্যদিকে ভারত থেকে আর্কিটেক্ট রমন বালামুরগান পান্ডীয়া আসেন বাংলাদেশে। তার সহকারী বাংলাদেশী বংশভুত জয়িতা।যিনি জিতুর ফেইসবুক এর পোস্ট এ যে নটরাজ মুর্তি দেখেন এবং এরই সাথে রমন এর গবেষনার মিল পেয়ে যান, আর এই সূত্র ধরেই রমন এর বাংলাদেশে আশা। জয়িতা বিষয়টা তার ক্যাম্পাস লাইফের বন্ধু সাংবাদিক রাশাদকে জানায়। রাশাদ পেশায় সাংবাদিক হলেও তার নেশায় সেই আর্কিলজি। রাশাদ তাদের সাথে যোগদেয়।

এভাবেই সেই পোস্টের সূত্রধরে বের হয়ে আসে অজানা সত্যি। বের হয়ে আসে শিব এর প্রতিকি চরিত্র নটরাজ এবং চোল সাম্রাজ্য। তারপর রাশাদ, জয়িতা, রমন এবং অন্যান্য সদস্য মিলে যায় সেই বান্দরবন এর আন্ধারমানিক নামক জায়গায়। উৎঘাটন করতে নটরাজ, পান্ড্যদের কুল দেবতার মুর্তি এবং চোল সাম্রাজ্য এর নির্দশন। আর তারপরেই জঙ্গলের এডভেঞ্চার আর ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্ব এর নিদর্শন।

নটরাজ শিব এর একটি প্রতিকি রূপ। কথিত আছে নৃত্য ও সঙ্গীত শিবের সৃষ্টি।তিনিই নৃত্যনাট্য নৃত্যকলার প্রর্বতক। সহস্রনামে শিবের নর্তক ও নিত্যনর্ত নামদুটি পাওয়া যায়। পুরাণের মতে শিবের স্ত্রী সতীর মৃত্যুর পর শিব তান্তব নৃত্য করেছিল। এই তান্তব নৃত্য পর ধ্বংশ হয়ে পৃথিবী নতুন ভাবে সৃষ্টি হয়। তাই শিবের আরেক নাম নটরাজ।

আপতদৃষ্টি তে যেসকল প্রশ্ন এর উৎঘাটন হয় তা হচ্ছে, তার সাথে নটরাজ এর রহস্য? সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন সিদ্দিক আহমেদ এর নটরাজ বইটিতে।

নটরাজ সিদ্দিক আহমেদ এর প্রথম দিকের বউ। বইটা। বইটা সেই ২০১৬ তে বের হলেও অনেকের মত আমারু দৃষ্টিগোচর হয়নি। কিন্তু ইতিহাসে আগ্রহ থাকায় ঠিকই খুঁজে ফেলি। বইটা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই পড়ে শেষ করে ফেলি। আর পড়ে আমার অনুভূতি, ওয়াও!
তো এবার আসি বইটার গল্পে, প্রথমত্ব বলতে হয় লেখক সিদ্দিক আহমেদ ভাই সুন্দর একটি গল্প সাজিয়েছেন, ইতিহাস প্রত্নতত্ত্ব এর আলোকে চমৎকার একটি গল্পের প্লট দার করিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি ইম্প্রেস।

আবার থৃলার গল্প হিসাবেও লেখক সাকসেস। গল্পের প্রয়োজনে নটরাজ এবং চোল সাম্রাজ্য এর যে ইতিহাস লেখক তুলে ধরছেন তা পাঠক এর জানার পরিধি বাড়াবেই। আবার জঙ্গলের এডভেঞ্চার এবং প্রত্নতত্ত্ব খোঁজের বর্ননা সত্যি অসাধারন লেগেছে। তো সর্বাপরি বলতে হবে বইটা দারুন লেগেছে। তথ্য ইনফরমেশন এ কিছুটা ত্রুটি রয়েছে। তবে সেটা মূখ্য নয়। লেখকের লিখনশৈলী আর ইতিহাসের বর্ণনা আমাকে বুদ করে রেখেছিল। সর্বোপরি এই বইটা আরও অধিক প্রশংসার দাবি রাখে।

সবশেষে বলবো, ইতিহাসের প্রতি যাদের একটু হলেও আগ্রহ আছে তারা অবশ্যই পড়বেন। আশাহত হবেন না মোটেও।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top