নয়নতারা PDF Download মনোয়ারুল ইসলাম

বর্তমান সময়ের পাঠক প্রিয় তরুণ যুবক লেখকের তালিকায় ‘মনোয়ারুল ইসলামে’র নাম উপরের থাকবে। রসিয়ে রসিয়ে গল্প বলাতে তার জুড়ি নেই। খুব সুন্দরভাবেই গল্প বলে যেতে পারেন। আর এ জন্যই পাঠক মহলে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এ পর্যন্ত ১০টারও অধিক গ্রন্থ বেড়িয়েছে সে সবের মধ্যে আছে ‘নয়নতারা’। লেখকের বইয়ের নামগুলোও সুন্দর। যাই হোক, কিছুটা অতিপ্রাকৃত সামাজিক বর্ণনার এই বইটি না পড়ে থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়তে পারেন অনায়েসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত হাজারো ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এমন কিছু ঘটনা আছে যার কোন যৌক্তিক ব্যাখা আমরা খুঁজে পাই না, যেটাকে আমরা মনের ভুল, কিংবা দেখার ভুল বলে চালিয়ে দেই। আমরা যেসব ঘটনাকে মনের ভুল কিংবা দেখার ভুল বলে চালিয়ে দেই আসলেই কি সেগুলো মনের ভুল? দেখার ভুল? নাকি এর পিছনেও কিছু না কিছু একটা কারণ আছে?

নয়নতারা উপন্যাসটি সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি। নাম তাদের চমন এবং সূচনা। তাদের বাড়িকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে কাহিনী। চমনের সাথে সূচনার বিয়ের পর থেকেই তাদের জীবনটা কেমন বদলে গেলো। মর্মান্তিক নানান দূর্ঘটনার শিকার হতে লাগলো তারা। রহস্য ঘেরা সব ঘটনা ঘটতে লাগলো। যার কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা খুঁজে পেলো না কেউ। চমন আর সূচনার বিয়ের পর থেকেই কি এমন অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলো ঘটছে নাকি অতীতের সাথে এসব ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে? আর যদি অতীতের সাথে কোন যোগসূত্র থেকেই থাকে সেগুলো কি? কি দূর্ঘটনা, কি রহস্য? তা জানতে হলে পড়তে হবে নয়নতারা বইটি।

এই ‘নয়নতারা’ শব্দের অর্থ হলো নয়নের তারা অর্থাৎ চোখের মনি। আবার নয়নতারা একটা ফুলের নাম। উপন্যাসের নাম হিসেবে ‘নয়নতারা’ তার যথার্থতা প্রমান করেছে। নয়নতারা নামের বাচ্চা মেয়েটি কিংবা কার্ণিশে দুলতে থাকে সাদায়-গোলাপি নয়নতারা ফুল দুটোই উপন্যাসের মূল চরিত্র বলা যায়। লেখকের যে কয়টা বই পড়েছি সব জাগাতেই দেখেছি বইয়ের নামই যেন কাহিনী ফুটে উঠেছে! লেখকের অন্যান্য দুটো বই পড়েছি। এই বইটির মাধ্যমে উনি আমার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন নতুন করে।

এটি একটি অতি প্রাকৃত উপন্যাস হলেও আমার কাছে একবারও মনে হয়নি এটি শুধু মাত্র আজগুবি কাহিনী ভরা ভৌতিক উপন্যাস। বইটি পড়া সময় আমার কাছে মনে সাসপেন্সে ভরা থ্রিলার, রোমান্টিক ঘরনার কোন বই পড়ছি। যদিও থ্রিল অতো বেশি পরিমানে নেই। লেখকের শব্দচয়ন আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করবছে। ওনি উপন্যাসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এমন ভাবে বর্ণনা করেছেন যে মাঝে মাঝে গা ছমছম করে উঠতো! তার লেখায় সবচে’ ভালো দিক যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো তার নিজস্বতা।

তার নিজস্বতার মাধ্যমে প্রতিটি চরিত্রকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে একটি চরিত্র ছাড়া অন্যটি অচল। মানব জীবন বৈচিত্র্যময়! আর এই বৈচিত্র্যময় জীবনে স্বাভাবিক – অস্বাভাবিক অনেক ঘটনাই ঘটে। কেউ তা বিশ্বাস করে আবার কেউ হেঁসে উড়িয়ে দেয়। পার্থিব – অপার্থিব এই বিষয়গুলো নিয়েই লেখক তার এই উপন্যাসটি চিত্রায়িত করছেন। গল্পের শেষটা বলে দিচ্ছে এটার পরবর্তী পরবো আসবে!

উপন্যাসে লেখকের ক’টা লাইন আমার খুব মনে ধরেছে,
‘মানুষ যখন একা হয়ে পড়ে, সঙ্গীহীন জীবন যাপনে রপ্ত হয়। তখন সে নিজে নিজে একটা মানুষ তৈরি করে কল্পনায়, আর সেই কল্পনার সাথেই বাতচিৎ করে।’

সবশেষে বলবো, অতিপ্রাকৃত কোনো কাহিনী রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করতে চাইলে বইটি অবশ্যই রেকমেন্ড করবো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top