নুহাশ এবং আলাদীনের আশ্চর্য চেরাগ PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত চমৎকার একটি উপন্যাস হল ‘ নুহাশ ও আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ‘। এটি একটি শিশুতোষ উপন্যাস। এই বইটির ষষ্ঠ সংস্করণ হয় ১৯৯৮ সালে এবং এগারো তম সংস্করণ হয় ২০১৫ সালে। বইটির প্রকাশনা করেছে আফসার ব্রাদার্স পাবলিকেশন্স। বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৬৪টি। এই বইটির বাংলাদেশী মুদ্রিত মূল্যঃ ১১০ টাকা।
এই গল্পটি মূলত ছোটদের উপন্যাস। গল্পটি ছোটদের হলেও বইটি বড়দের চোখের পানি চলে আসবে। বড়োরাও গল্পটি পড়তে পারবেন। মজার এই বইটি পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।
নুহাশ ও আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ উপন্যাসের মূল কাহিনীঃ
গল্পের কাহিনি মূলত নুহাশ নামের ছোট মেয়ে ও তার পরিবার নিয়ে। নুহাশ নামের ছোট মেয়েটা তার বাবা মায়ের সাথে থাকে। বাবা মায়ের সাথে থাকলেও বেশিরভাগ সময় তাকে কাজের বুয়ার কাছে থাকতে হয়। নুহাশ চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। মার চাকরিজীবী জীবনে মেয়ের অসুস্থতার সময়ও পাশে থাকার সুযোগ হয়না। নুহাশের বাবা মিনহাজের তার মেয়ে কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা থাকলেও ভুলে যায়। প্রায়ই বাবা-মার মাঝে মনোমালিন্য হয়। মা ঝগড়া করলেও বাবা শুধু মিটমিট করে হাসে।
নুহাশের বাবা সংসারের প্রতি উদাসীন, বন্ধুপ্রিয়, জোৎস্না ভালোবাসা মানুষটাকে সকলে পছন্দ করে। কিন্তু নুহাশের মা রেবেকার কাছে তার বাবার এই উদাসীন জীবন একেবারে অতিষ্ট। তার বাবা বাড়ি ভাড়ার টাকা বাকি রেখে বন্ধুদের ধার দেয়। মেয়ের অসুখের কথা ভুলে শালবনে জ্যোৎস্না দেখতে চলে যায়।
এইসব দেখে নুহাশের মা সিদ্ধান্ত নেয় তারা আলাদা হয়ে যাবে। এই কথা শুনে নহাশের বাবার খুব মন খারাপ হয়ে যায়। বাবার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকলেও তার বাবা নুহাশের কাছে খুব প্রিয়। বাবা তার সব আবদার রাখে। বেলুন থেকে ঝালমুড়ি সব তার বাবা কিনে দেয়।
রেবেকা মিনহাজকে বাসা থেকে চলে যেতে বলো। অনেক অনুরোধ করার পরও তার বাবা থাকতে পারে না। এই ঘটনায় নুহাশ খুব কষ্ট পেলো। তার কিছু দিন পরই বাসা পালটানোর কারণে আর তার বাবার সাথে দেখা হয়না। একদিন নুহাশের মন খারাপ হয়। রাতে তার মেজো মামার দওয়া আলাদীনের চেরাগের কথা মনে পড়ে। আলাদীনের চেরাগে ঘষা দিতেই এক দৈত্য বের হয়ে আসে। কিন্তু তার মামা বলেছিলেন এটি খেলনা প্রদীপ।
প্রথমে তাকে দেখে নুহাশ ভয় পেলো। কিন্তু দেখলো দৈত্যটি শার্ট প্যান্ট পরা, চোখে চশমা ও পকেটে বল পয়েন্ট কলম নিয়ে দৈত্যটি হাজির হয়েছে। একটু পর নুহাশ বুঝতে পারলো দৈত্যটি খুব ভালো। তারপর নুহাশ আর দৈত্য মিলে ভাবতে বসলো কীভাবে তার বাবা মাকে একসাথে করা যায়। তারপর দুজনে মিলে একটি বুদ্ধি বের করলো। তারপর দৈত্যের সাহায্য নুহাশ তার বাবা মাকে একসাথে করলো এবং শান্তিতে বাস করতে লাগলো।
এই গল্পটি পড়ার সময় পাঠক চরিত্র আর কাহিনির সাথে পুরোপুরি মিশে যাবেন। আর এটাই হলো হুমায়ুন আহমেদের লেখনির ধরণ। মূলত ছোটদের গল্প হলেও বড়রাও এটি পড়ে বেশ মজা পাবেন।