আপনি যদি মিসির আলি সিরিজের অন্যান্য বইগুলো পড়ে থাকেন তাহলে অন্নভবন বইটি বাদ দিবেন না। কারণ অন্যভুবন বইটি মিসির আলি ছেলেদের একটি অতিপ্রাকৃত বই। তাছাড়া যারা হুমায়ুন আহমেদের বই পড়তে ভালবাসেন তারা অতিপ্রাকৃত গল্প হিসেবে অন্য ভুবন বইটি অবশ্যই পাঠ করবেন। ঘরের বাইরে বের হয়ে যারা সরাসরি হার্ড কপি সংগ্রহ করতে পারছেন না তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে এগিয়ে হুমায়ূন আহমেদের অন্য ভুবন বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সকল ধরনের পিডিএফ ফাইল আপনারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।
অন্যভুবন মিসির আলি
মিসির আলি সিরিজের অন্যান্য বই গুলোর মতই অন্যভুবন বইটির একটি অতিপ্রাকৃত এবং রহস্যেঘেরা বই। এই বইটি পাঠ করলে প্রত্যেকটি পাঠকের মনে আনন্দের সঞ্চার হবে। তাই আপনারা যারা বইটি এখনো পাঠ করেননি এবং পাঠ করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন তারা দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে বইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন। মিসির আলি সিরিজের অন্যভুবন বইটি অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির বর্তমান সময়ের মধ্যে মূল্য 125 টাকা এবং এর পৃষ্ঠা সংখ্যা 64 টি।
অন্য ভুবন pdf
অন্য ভুবন বইটি পাঠ করলে আপনারা গাছ সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। মিসির আলি যেহেতু একজন অনুসন্ধিৎসু মানুষ, সেহেতু তিনি রহস্য উন্মোচন করার জন্য অনেক পড়াশোনা করে থাকেন এবং সেগুলো তার যুক্তি দিয়ে বিচার করার চেষ্টা করেন। তাই চমকপ্রদ এই বইটি পড়তে দেরি করবেন না।
অন্যভুবন বইটির কাহিনী সংক্ষেপ
মিসির আলি নিয়ম করে দুপুর বেলায় ঘুমিয়ে থাকেন। হঠাৎ একদিন দুপুর 2 টা 10 মিনিটে তাকে একজন লোক এসেছে বলে কাজের মেয়ে ডেকে তুলে। অসময় ডেকে তোলার জন্য মিসির আলি কাজের মেয়ের এবার ওপরে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারপরে তিনি সেই লোকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন যে লোক তাঁর বাড়িতে এসেছে। লোকটির নাম বরকতুল্লা এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তবে লোকটি বর্তমান সময়ে ব্যবসা করেন না এবং প্রচুর পরিমাণে ধর্নাঢ্য হওয়াই বাড়িতে বসে সময় কাটানো। তবে তার ভিতরে যে অহংকার রয়েছে তা হলো অর্থের অহংকার। মিসির আলি খেতে যেতে সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার জন্য সম্মানী দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তবে মিসির আলি এসবকে তোয়াক্কা না করে তার সমস্যা কথা জানতে চেষ্টা করেন।
মিসির আলি অনুমান করেন যে আমরা বরকতুল্লা একজন বিপত্নীক মানুষ। তিনি হয়তো তার কোন সন্তানকে নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। বরকতউল্লা তাকে জানায় যে তারা নয় বছরের মেয়ে তিন্নি তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। অর্থাৎ তিনি এমন কিছু কাজ করছে যেগুলো সম্পর্কে বরকতুল্লা ভাবতে পারছে না।
তিন্নি যেকোনো সময় তার বাবা কি ভাবছে তার সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। যে লোকের সঙ্গে তার দেখা হয়নি অথচ সেই লোকের নাম জানা এবং সেই লোক অন্য কি কি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে তার সম্পর্কে বলে দিতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘ 6 বছর পর কথা শিখতে পাড়ার পেছনের কারণগুলো উদঘাটন করতে ভদ্রলোকের বরকতুল্লা অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে। তাই তিনি মিসির আলি সাহায্য প্রার্থী হয়ে এসেছেন।
মিসির আলীকে বরকতুল্লাহ তার বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করলে মিসিরআলি পরের দিন রাতেই ট্রেনের মাধ্যমে বরকতউল্লাহর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তিন্নির সঙ্গে পরিচয় হয়ে তিন্নিকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তিন্নি কিছু কিছু উত্তর দেয় এবং কিছু কিছুর উত্তর দেয় না। তাছাড়া তিন্নিকে কেউ রাগিয়ে দিলে সে সেই মানুষকে কষ্ট দেয় মাথার ভেতরে যন্ত্রণা দিয়ে। অর্থাৎ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তার নেই নয় বছর বয়সে আয়ত্ত করেছে যাকে আমরা বলে থাকি টেলিপ্যাথি ক্ষমতা।
পরবর্তীতে মিসির আলি লক্ষ্য করছে যে, তিন্নি তার সঙ্গে ঘরে বসে টেলিপ্যাথি ক্ষমতার মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তিনি তার বাবার কাছে এই বাড়িটি একান্ত থাকার জন্য দাবি করে। এসকল বিষয় নিয়ে বাবা মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটলেও মিসির আলি সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। পরবর্তীতে মিসির আলি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার অতীত স্মৃতির সে ভুলে যাই।
ভদ্রলোক বরকত উল্লাহ মারা যাবার আগে মিসির আলীকে তার বাড়িঘর দান করে যান। পাঁচ বছর পর মিসির আলী তার স্ত্রী নীলুকে নিয়ে সেই বাড়িতে যাই এবং নিলু সেই বাড়িতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। নিলু আস্তে আস্তে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে। অনেকটাই অসমাপ্তির রেশ ধরে বইটি শেষ হয়ে যায় হঠাৎ করেই। তবে অতিপ্রাকৃত গল্প হিসেবে বইটি আমার চমৎকার লেগেছে। এই বইটি পাঠ করলে এখনই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করুন এবং পড়া শুরু করে দিন।