অপার্থিব PDF Download সুস্ময় সুমন

সমসাময়িক যুগে সুস্ময় সুমন এক অতি পরিচিত মুখ। বর্তমান সময়ের থ্রিলার লেখকদের মধ্যে সুস্ময় সুমন অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার লেখা খুব সহজেই মানুষের মনকে জয় করে নিয়েছে। লেখক এই গল্পে প্রত্যেকটি চরিত্র কে খুব সুন্দর ভাবে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। সুস্ময় সুমন তাঁর রচনায় বিষয়বস্তুকে এত দৃঢ় ভাবে উপস্থাপন করে যেটা পাঠকদের খুব প্রিয়। তার সবগুলো উপন্যাসই অনেক সমাদৃত। তেমনি এক উপন্যাস হলো “অপার্থিব”।

“অপার্থিব” সুস্ময় সুমনের অ্যাডভেঞ্চার ও থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সেলিম হোসেন সাজু। বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 143 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 90 টাকা।

প্রধান চরিত্র

মেহেবুব, শায়লা, সারিতা, মাহাতাব উদ্দিন, সফুরা, আজিম, আজিফা, রাসেল, জামশেদ, আসীম,আব্দুল করিম, মালতি, প্রদীপ স্যার, মিনতি, মজিদ মিয়া, জুবায়ের, আর নাম না জানা একটা ছেলে।

কাহিনী সংক্ষেপ

লেখক এখানে ভৌতিক কিছু বিষয় অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। যেটা পাঠকদের মনে দাগ কেটেছে। এছাড়া উপন্যাসটি মূলত পুরোপুরি বর্তমান সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি। আমাদের সমাজে এখন সবার মধ্যে সম্পর্কের টান বা মায়া কমে যাচ্ছে। কারন বেশিরভাগ মানুষ যান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে সময় কাটাচ্ছে। নিজের কষ্ট গুলো কারো সামনে শেয়ার করতেও পারে না। তেমনই এক গল্প এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

মেহেবুব মিলানের হাইয়েস্ট বিল্ডিং এর নবম তলায় ভাড়া থাকেন। সে একদিন ড্রইংরুমে বসে মদ খাচ্ছিল। তার একমাত্র সঙ্গী হল মদ কারণ তাকে সঙ্গ দেয়ার মত কেউ ছিলনা। মেহেবুব এর স্ত্রী বেস্টফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেহেবুব এর স্ত্রী শায়লার বেস্ট ফ্রেন্ডের নাম হল জামশেদ। হঠাৎ করেই মেহেবুব খসখসে আর চাপা হাসি শুনতে পায়। পাশের ঘরে জামশেদ আর শায়লা মেসেজে কথা বলছিল।

ঐ শব্দটা একসময় শায়লাও শুনতে পায়। তখন সে ভয় পেয়ে উঠে। তারপর শায়লা দরজা খুলে বাইরে মেহেবুব কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। শায়লা মেহেবুব কে দেখে চমকে ওঠে কারণ মেহেবুব তখন মানুষ নেই হিংস্র জীব হয়ে গেছে। মেহেবুব হঠাৎ করে কামড় বসালো শায়লার টুটিতে।

গল্পের আরেকটি চরিত্র হলো মাহাতাব উদ্দিন। মাহাতাব তার স্ত্রী সফুরার সাথে একটা মফস্বলে বাস করতেন। মাহাতাবের ছেলে একজন পাইলট। মাহাতাব খুব একটা ঢাকায় যেতে চায়না কারণ তার বউ আর ছেলে দুজনে অনেক ব্যস্ত। মাহাতাব এর বিকেল কাটে মজিদ মিয়ার 1 কাপ চায়ের সাথে। মাহাতাব একদিন মজিদ মিয়ার দোকানে একটা উদ্ভট ছেলেকে দেখতে পায়।

ছেলেটার গা ধুলোবালি, ময়লাতে ভর্তি। ছেলেটার বগলে একটা বেশ পুরোনো ডায়েরি ছিল। সেটা নিয়েই সে জঙ্গলের দিকে উধাও হয়ে যেত। প্রদীপ স্যারের মেয়ে মালতির একটা পোষা বিড়াল ছিল যেটা জঙ্গলের দিকে কি জন্য একটা আকর্ষণে ছুটে যেত। একদিন মাহাতাব উদ্দিন একটা ছায়ামূর্তির পিছনে ধাওয়া করে সে জঙ্গলে পৌঁছায় এবং ওই বইটি খুঁজে পায়। বইটি পড়ার পর মাহাতাব এর কুকুরকে চিবিয়ে খাওয়ার লোভ জাগে।

মেহেবুব এর কি ঘটেছিল সেই দিন? জঙ্গলের দিকে যে ছেলেটা গিয়েছিলো সে কে? এবং ঐ ডাইরিটা কিসের? মাহাতাব কেনইবা কুকুরকে চিবিয়ে খাওয়ার কথা চিন্তা করলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top