অরিজিন PDF Download ড্যান ব্রাউন

‘অরিজিন’ উপন্যাসটির রচয়িতা মার্কিন ঔপন্যাসিক ড্যান ব্রাউন। ড্যান ব্রাউনের বিখ্যাত রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের এটি পঞ্চম বই। বইটির প্রথম প্রকাশকাল ৩ অক্টোবর, ২০১৭। এই সিরিজের অন্য সকল বইয়ের মত এই বইটির ও প্রকাশক ডাবলডে প্রকাশনী। বইটির পটভূমি গড়ে উঠেছে মূলত ইউরোপের স্পেনে এবং সারজাহ ও বুডাপেস্ট এর কিছু অংশ নিয়ে।
 
ড্যান ব্রাউনের রবার্ট ল্যাংডন সিরিজে যে রোমাঞ্চ লক্ষ্য করা যায় তা এই উপন্যাসটিতেও বিদ্যমান। সংকেত, চিহ্ন এসবের ব্যবহার কম লক্ষ্য করা গেলেও বইটি গতানুগতিক আগের বইগুলোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যক্ত করেছেন লেখক। প্রত্যেকটি বইতেই লেখক ধর্মের বিষয়ে কিছু কাহিনী গড়ে তুলেন এখানেও তার ব্যত্যয় হয়নি।
 

অরিজিন রিভিউ 

 
উপন্যাসটির কাহিনী গড়ে উঠেছে এক ধনকুবের এডমন্ড কিয়ার্সকে কেন্দ্র করে। এডমন্ড কিয়ার্স হলেন একজন ধনকুবের, কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং একজন নাস্তিক। যার কিনা কোন ধর্মের প্রতিই নূন্যতম বিশ্বাস নেই। বিশ্বের তিনটি ধর্মের নেতাকে ডাক দেন তার একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবন দেখাবার জন্য। ধর্ম নেতাদের নিয়ে কিয়ার্শের এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো কাতালোনিয়ায়।
 
ধর্ম নেতারা তার এই উদ্ভাবন দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। এর এক মাস পরে কিয়ার্স তার প্রাক্তন শিক্ষক রবার্ট ল্যাংডন সহ আরো অনেক লোককে স্পেনে আমন্ত্রণ জানান, তার উদ্ভাবনটি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। এই সভাটিতে ল্যাংডনের পরিচয় হয় আমব্রা ভিদালের সাথে, যিনি গুগেনহেইম জাদুঘরে কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেন।
 
কিয়ার্স তার সভা শুরু করার পূর্বে রবার্টকে বলেন আজ তিনি এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর সবার সামনে তুলে ধরবেন যার ফলে মানবজাতির শুরুর ইতিহাস ও পৃথিবীতে মানবজাতির কি উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। কিয়ার্স তার ঘোষণার মাধ্যমে এমন একটি যুগের সূচনা করতে চায়, যেখানে মানুষ ধর্মের চেয়ে বেশি বিজ্ঞানের ওপর আস্থা রাখবে।
 
কিন্তু তার এই ঘোষণা দেবার পূর্ব মুহুর্তে এক আততায়ীর গুলিতে কিয়ার্স মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। আততায়ীটি হলো লুইস আলিভা, যে একজন নেভির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পালার্মিক ক্যাথলিক চার্চের হয়ে তিনি এক হত্যাটি করেছেন এবং এর আগে যেই তিনজন ধর্মনেতা কিয়ার্সের উদ্ভাবন সম্পর্কে জানতেন তাদের দুইজনকেও হত্যা করেছেন।
 
হত্যাকাণ্ডের পর লুইস পুলিশের হাত থেকে ফস্কে বেরিয়ে যায়। এরপর রবার্ট এর সাক্ষাৎ হয় আমব্রা ভিদালের সাথে যে রবার্টকে জানায়, অথিতিদের তালিকায় লুইসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় রাজ পরিবারের কারো নির্দেশে। এরপর রবার্ট বুঝে ফেলে রাজ পরিবারের কাউকে আর বিশ্বাস করা চলবে না, বিশেষ করে রাজপুত্র জুলিয়ানকে।
 
এরপর রবার্ট আর আমব্রা দুইজন কিয়ার্সের মুঠোফোনটি নিয়ে সভাস্থলটি ত্যাগ করেন। তারা দুজন পরিকল্পনা করেন কিয়ার্সের উদ্ভাবনটিকে জন সম্মুখে তুলে ধরবেন, যা মুঠোফোনে বন্দী আছে। কিন্তু তার আগে তাদের মুঠোফোনের পাসওয়ার্ডটি যোগার করা লাগবে।
 
হত্যাকারীদের পরিচয় সবদিকে ছড়িয়ে পড়লে সন্দেহ ডানা বাঁধতে শুরু করে বিশপ আন্তোনিও ভ্যালডেস্পিনোকে ঘিরে। বিশপ সেই তিঞ্জন ধর্ম নেতাদের একজন যিনি কিয়ার্সের উদ্ভাবন সম্পর্কে জানেন এবং এখনো জীবিত আছেন আর রাজপুত্র জুলিয়ানের সাথেও তার যোগাযোগ রয়েছে। এভাবেই উপন্যাসের কাহিনী গড়াতে থাকে এবং অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনার সৃষ্টি হয়।

অরিজিন PDF

 
ঘটনায় কিছুক্ষণ পরপরই এমন সব ঘটনার উদ্ভব হয় যে পাঠক চাইলেও বইটি ছেড়ে উঠতে পারবে না। এই উপন্যাসটি এই সিরিজের অন্যান্য উপন্যাসের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, এখানে সংকেত, গুপ্ত সংস্থার কোন উপস্থাপনা না থাকলেও একটি পুরোদস্তুর রোমাঞ্চ উপন্যাস এটি। উপন্যাসটি যে পাঠক সমাজে সিরিজের অন্যান্য বইয়ের মতই সাড়া ফেলবে তা অবশ্যম্ভাবী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top