যে সকল পাঠক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অরণ্য বইটির পিডিএফ ফাইল পেতে চান, তারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে চলে যান এবং সেখান থেকে অরণ্য বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন। হুমায়ুন স্যারের অন্যান্য বই এর পিডিএফ ফাইল পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে সূচিপত্র দেখবেন। তবে আপনাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অরণ্য বইটি চমৎকার লাগবে। বইটির মধ্যে বিভিন্ন ঘটনা এবং সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি চরিত্র আলাদা ভাবে তাদের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে কিনা তা জানতে হলে আপনাদের পুরো বইটি পড়তে হবে। বইটি পড়া শেষ হলে আপনারা বইটি সম্পর্কে যে মন্তব্যটি করবেন সেটি হল, অরণ্য বইটির গভীরতা রয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অরণ্য বইটি অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। 96 পৃষ্ঠার এই বইটির বর্তমানে বাজারে মুদ্রিত মূল্য 250 টাকা। সমকালীন এই উপন্যাসটি আপনাকে সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নির্দেশনা দিবে এবং সুন্দর একটি গল্প উপহার দেবে। তাই নির্দ্বিধায় বইটি আপনারা ডাউনলোড করে নিয়ে পড়া শুরু করে দিতে পারেন।
অরণ্য বইটির কাহিনী সংক্ষেপ
হুমায়ূন আহমেদ স্যার অরণ্য বইটিতে অনেক ধরনের চরিত্র নিয়ে আসলেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সোবহান নামক একজন যুবক। তিনি ঢাকা শহরে এসেছেন চাকরীর চেষ্টা করতে। অবশ্য তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকা শহরে তার এক বন্ধুর সঙ্গে সাবলেট আকারে বাসাভাড়ায় থাকেন। অবশেষে তার চাকরির জোগাড় হয়ে যায়। তার এক বন্ধুর মা তাকে ভালোবেসে এই চাকরিটা ব্যবস্থা করে দেন।
তবে চাকরি পাওয়ার আগে তাকে একটি লোকের সঙ্গে অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। সেই লোকটির নাম হল রহমান। চাকরির উদ্দেশ্যে তিনি কিছুদিন পরে নির্দিষ্ট অফিসে রহমান সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাঁর সঙ্গে তার দেখা হয় না। সুবহান সাহেব পরবর্তীতে সেখান থেকে ফিরে চলে আসেন।
সুবহান সাহেব আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ঢাকা শহরে এসেছেন। তার একজন রুমমেট এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তিনি একই রুমে থাকেন। অবশ্য তারা তিনবার বাসাবাড়ি বদলালেও রুমমেট কখনও বদলায় নি। তবে তার এই রুমমেটকে তার পছন্দ নয়। কারণ এই রুমমেট মাঝেমধ্যেই তার সঙ্গে অশ্লীল কথা বলে যা সে সহ্য করতে পারে না।
বর্তমান সময়ে সোবহান সাহেব এবং তার বন্ধু যে বাসায় বসবাস করে সেই বাসার মালিকের নাম হল মনসুর সাহেব। মাঝেমধ্যেই তার ঘর থেকে কান্নার শব্দ শোনা যায়। তার স্ত্রী একজন পর্দানশীন নারী এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করে তার স্ত্রীর বন্ধুকে। তবে মন্সুর সাহেবের সঙ্গে তার স্ত্রী যুক্তির কোন একটা বিষয় আছে যা এই বইটিতে আমরা দেখতে পাই। যূথীকে তার দুলাভাই বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিতে থাকে। সেই জন্য মন্ত্র সাহেবের স্ত্রী মাঝেমধ্যেই রাতে কাঁদতে থাকে।
এ সকল ঘটনা ঘটার পরে কিছুদিন পরে সোবহান সাহেবের ভাই ফরিদ সাহেব আসেন দেখা করতে মনসুর সাহেবের সঙ্গে। মনসা সাহেবের শ্যালিকার সঙ্গে সোবহান সাহেবের বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে কথাবার্তা বলতে থাকেন। সোবহান সাহেবের একজন বন্ধু আছেন যিনি সব সময়ই অসুখে আক্রান্ত। এখন মারা যেত তখন মারা যায় অবস্থা।
এভাবে লেখক হুমায়ূন আহমেদ বইটির বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছেন। সুবহান শাহেব শেষ পর্যায়ে তার চাকরি পাবে কিনা? যুথির সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়ে উঠবে কিনা? সোবহান সাহেবের বন্ধু বেঁচে থাকবে না মারা যাবে এ সকল প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে পাঠকদের।