অশুভ আত্মা PDF Download মোশতাক আহমেদ

মোশতাক আহমেদ হলেন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক। তার পরিচিতি নিয়ে খুব একটা বর্ণনার প্রয়োজন হয় না। তিনি বাংলাদেশের একজন রত্ন। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস অনেক বেশি পরিচিতি পেয়েছেন অন্যান্য লেখকদের থেকে। তাঁর উপন্যাসের ভাষা গুলো সব সময় সকলের বোধগম্য হয়। তাই ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করে তার উপন্যাস। একটি উপন্যাসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল প্লট। আর সেই ক্ষেত্রে মোশতাক আহমেদ বরাবর সবার উপরে অবস্থান করে। তার বিখ্যাত সব উপন্যাসের মধ্যে “অশুভ আত্মা” অনেক জনপ্রিয়।

পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তার লেখালেখির ক্ষেত্রে আলাদা একটা জনপ্রিয়তা আছে। তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নিয়ে সবার কাছে যেমন পরিচিত তেমনি তাঁর লেখালেখির দাড়াও সবার কাছে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন সাইন্স ফিকশন ও প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস গুলোর মাধ্যমে।

“অশুভ আত্মা” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2015 সালে। বইটি প্রকাশ করে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 107 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 150 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

মোস্তাক আহমেদ এর সবগুলো রচনা এক অন্যরকমের আনন্দ নিয়ে আসে। পড়ার সাথে সাথে মনের ভেতরে অনেক ভালো রকমের অভিজ্ঞতার তৈরি হয়। তার উপন্যাস গুলো পড়লে কিছু সময় মনের ভিতরে স্নিগ্ধতা কাজ করে। এই উপন্যাস ও ঠিক সেইরকম। এই উপন্যাসটি ভৌতিক হলেও পড়ার সময় একটা সাসপেন্স কাজ করবে।

উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র জিনিয়া। মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর। পাভেল নামের একটি ছেলে তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ। জিনিয়াকে সাদা শাড়িতে আরো বেশী সুন্দর লাগে পাভেলের। যে কেউ প্রথম দর্শনেই পছন্দ করে ফেলবে। তবে জিনিয়ার এইরূপ সবার মতো স্থায়ী নয়।

জিনিয়ার এই সুন্দর রুপের মধ্যে লুকিয়ে আছে ভয়ংকর ও আতংক এক রূপ। পাভেল সেটা নিয়েই একটু চিন্তিত। কারণ একটু আগেই জিনিয়াকে সে দেখেছে দারোয়ানের কাটা মাথা হাতে বাসায় ঢুকতে। এ যেন এক ভয়ঙ্কর রূপ জিনিয়ার। যে রূপে জিনিয়া সবাইকে মুগ্ধ করত আবার সেই একই মানুষের রূপে সবাই আঁতকে উঠবে। একটু পরে পাভেল দেখে জিনিয়া নিলার রক্ত খাচ্ছে। তারপর পাভেল লক্ষ্য করে জিনিয়া তার দিকে এগিয়ে আসছে।

পাভেল স্পষ্ট বুঝতে পারে জিনিয়ার হাতে তার মৃত্যু হবে। আর সেই মৃত্যু হবে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাদায়ক। নিজের মৃত্যুর কথা সে ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে যায়। পাভেল কিছুতেই মানতে চায় না তারা ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা। তাই কিছুদিন থেকেই সে চেষ্টা করছিল জিনিয়ার কাছ থেকে দূরে থাকার। কিন্তু সে সেটা পারেনি। জিনিয়া আসলে পাভেলের একটি কাল্পনিক চরিত্র।

কারণ জিনিয়ার এই অস্তিত্বের বিষয়টা কেউ স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু পাভেল এই বিষয়টা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করে। এর মধ্যে অনেক কয়টা খুন হয়ে গেছে আর সেগুলোর সবকয়টা করেছে জিনিয়া। জিনিয়ার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করে পাভেল। কোন এক সময়ে জিনিয়া তার লম্বা নখ দিয়ে পাভেলের বুকের ভেতর থেকে কলিজা বের করে নিবে। এই একটা ভয় সবসময় তাড়া করে বেড়াত।

শেষ পর্যন্ত পাভেল কি পারবে সেই অপূর্ব ভয়ঙ্কর সুন্দরীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে? এই উপন্যাসের ভাষার কারুকার্য এতটাই চমৎকার যে তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। উপন্যাসের চরিত্রগুলোকও খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। তাই বলবো চমৎকার উপন্যাসটি একবার হলেও সবাই পড়ে দেখুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top