অভিশপ্ত আত্মা মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সমসাময়িক যুগের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি অনেক দিক দিয়ে বাংলার সাহিত্য ভান্ডার কে অনেকাংশেই সমৃদ্ধ করেছেন। তার নাম বাংলা সাহিত্য জগতের চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। মানুষ তার কিডনির মাধ্যমে সবাইকে মনে রাখবেন তেমনি ভাবে পাঠকরা মোশতাক আহমেদ কে মনে রাখবে তার সুন্দর উপস্থাপনার কারণে। লেখক তার জনপ্রিয় সব উপন্যাস গুলোর মাধ্যমে পাঠকদের মন খুব সহজেই জয় করে নিয়েছেন অনেক আগেই। মানুষ বই পড়ার জন্য যেমন আনন্দ উপভোগ করে তেমনি বাস্তবতার অনেক ধারণাও লাভ করে। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “অভিশপ্ত আত্মা” অন্যতম।

সৃষ্টিকর্তা যখন মানুষকে পৃথিবীতে পাঠায় তার মধ্যে অনেকগুলো গুণাবলী দিয়েই পাঠায়, যেটার কারনে মানুষ চির স্মরনীয় হয়ে থাকে সারা জীবন। তেমনি আমাদের লেখক পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তিনি লেখালেখি দ্বারা মানুষের মনে এক অন্যরকম জায়গার সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে ভ্রমণকাহিনী, থ্রিলার, রহস্য, ভৌতিক উপন্যাস, প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস ও সাইন্স ফিকশন লিখে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন।

“অভিশপ্ত আত্মা” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে 2019 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 144 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 214 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মোশতাক আহমেদ সাহিত্য জগতে এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ। তিনি কিশোর উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েন্স ফিকশন অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস গুলো খুব জনপ্রিয়তার সহিত রচনা করেছেন। তার রচিত ভৌতিক উপন্যাস গুলো যেমন উত্তেজনাপূর্ণ হয় তেমনি রোমান্টিক হয়।

একদিন শাহেদ ধীরে ধীরে চোখ খুললো। সে চোখ খোলার পর যা দেখল তা এক কথায় ভয়ঙ্কর। সে যা দেখেছে সেটা তার কাছে অবর্ণনীয়। তখন সে শুয়ে আছে তাদের এই মেডিকেল কলেজের এনাটমি ল্যাবের ডিসেক্টিং টেবিলের উপর। যে টেবিলে মানুষের শরীর ব্যবচ্ছেদ করা হয়, কাটা ছেঁড়া করা হয়। সেই সময় শাহেদের মাথার উপর উজ্জ্বল আলোর কতগুলো বাতি জ্বলছে।

আর সেই আলোতে সে তার ডানপাশে মতি কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। মতির হাতে ছুরি কাঁচি ফরসেপসহ লাশ কাটার নানা রকম অস্ত্রপাতি রয়েছে। শাহেদ মুখে কিছু বলতে চেষ্টা করল কিন্তু পারলো না। আর গলা যেন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিল, গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছিল না। শরীরের শক্তিও নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। সে কোন মতে মাথাটা তুলতে পারলেও শরীরের অন্য কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াতে পারছিল না।

এমনকি তার হাত পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত নাড়াতে পারছিল না তার মনে হচ্ছিল শক্তিশালী কোন চেতনা নাশকের সাহায্যে তার গলার উপরের অংশ ছাড়া সমস্ত শরীরকে অবশ করে রাখা হয়েছে অথচ সে অনুভূতি বুঝতে পারছে ঠিকই। তা না হলে সে কখনো ঠান্ডা অনুভব করত না। আর এই অনুভূতি থাকার কারণে শরীর ব্যবচ্ছেদের ভয়ঙ্কর নারকীয় যন্ত্রণাটা তাকে ভোগ করতে হবে।

মতি যখন তার শরীরে ছুরি চালাবে তখন অনুভূতি থাকার জন্য ব্যাথাটাকে সে কোনভাবেই উপেক্ষা করতে পারবে না। এরকম ভাবতে ভাবতেই শাহেদের বমি বমি ভাব এল কিন্তু সে বমি করতে পারল না। কারণ ততক্ষণে মতি শরীরের উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝুকে এসেছে। শেষ পর্যন্ত শাহেদ কী পারবে নিজেকে বাঁচিয়ে আনতে? জানতে হলে ভয়ংকর ও রহস্যময় গল্পটি একবার হলেও পড়ে দেখুন অবশ্যই ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top