আত্মা মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সমসাময়িক যুগের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি অনেক দিক দিয়ে বাংলার সাহিত্য ভান্ডার কে অনেকাংশেই সমৃদ্ধ করেছেন। তার নাম বাংলা সাহিত্য জগতের চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। মানুষ বই পড়ার জন্য যেমন আনন্দ উপভোগ করে তেমনি বাস্তবতার অনেক ধারণাও লাভ করে। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “আত্মা” অন্যতম।

সৃষ্টিকর্তা যখন মানুষকে পৃথিবীতে পাঠায় তার মধ্যে অনেকগুলো গুণাবলী দিয়েই পাঠায়, যেটার কারনে মানুষ চির স্মরনীয় হয়ে থাকে সারা জীবন। তেমনি আমাদের লেখক পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তিনি লেখালেখি দ্বারা মানুষের মনে এক অন্যরকম জায়গার সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে ভ্রমণকাহিনী, থ্রিলার, রহস্য, ভৌতিক উপন্যাস, প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস ও সাইন্স ফিকশন লিখে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন।

“আত্মা” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে 2014 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 104 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 131 টাকা।

 

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মোশতাক আহমেদ সাহিত্য জগতে এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ। তিনি কিশোর উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েন্স ফিকশন অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস গুলো খুব জনপ্রিয়তার সহিত রচনা করেছেন। তার রচিত ভৌতিক উপন্যাস গুলো যেমন উত্তেজনাপূর্ণ হয় তেমনি রোমান্টিক হয়।

বশির আলী রাশেদ সাহেবের গ্রামের লোক। একবার তার গ্রামে তাকে পথে ডাকাত ধরেছিল,তখনই বশিরই রাশেদ সাহেব এবং তার স্ত্রী লায়লা আর কন্যা পূর্বাকে প্রাণে বাঁচিয়েছিল। হঠাৎ এক প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির রাতে এই বশির আলী এসে উপস্থিত হয় রাশেদ সাহেবের বাড়িতে। পরিবার এখন আরো অনেক বড় স্ত্রী, দুই সন্তান, শালা, শালার বউ আর কাজের লোক।

বশির সাহেবের হাত কাটা ছিল। তার একজন আত্মাসাধক ছিল। একদিন হঠাৎ করে এসে এর রাশেদ সাহেবের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সে যেহেতু একজন আত্মা সাধক তাই সবাই তাকে এক আত্মাকে ডেকে নিয়ে আসতে অনুরোধ করে। সবার কৌতুহলবশত বসে সাহেব ডেকে নিয়ে আসে এক বিশেষ অশরীরী আত্মাকে। যখন সে ওই আত্মাকে ডেকে আনে তখন কেউই বুঝতে পারেনি সে আত্মা কতটা নিষ্ঠুর আর ভয়ঙ্কর হতে পারে।

আস্তে আস্তে সবাই বুঝতে পারে আত্মাটা অনেক ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর। তার মনের আশা পূরণ করতে সে সব কিছুই করতে পারে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ভয়ঙ্কর আর নিষ্ঠুর আত্মার হাত থেকে বসে সাহেব নিজেও রক্ষা পাননি। সবাই যখন ভয় আর আতঙ্কে দিশেহারা ঠিক তখনই আত্মা দাবি করে রাশেদ সাহেবের বাড়ির অন্য যে কারো আত্মা তার চাই ই চাই।

আর সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাশেদ সাহেব নিজেকেই। সে ডিসিশন নেবে কাকে উৎসর্গ করবে। অন্যথায় অসম্মেলী আত্মাটা রাশেদ সাহেবের বড় মেয়ে পূর্বার আত্মা নিয়ে নেবে। সবাই নিশ্চিত যে নিষ্ঠুর আর করুন মৃত্যু ঘটবে সবার প্রিয় পূর্বার। হাজার চেষ্টা করেও কেউ কোনো রাস্তা বের করতে পারছিল না এই সমস্যা সমাধানের।

শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হবে রাশেদ সাহেবের পরিবারের? অশরীরি ও ভয়ঙ্কর আত্মার হাত থেকে তার মেয়েকে কী রক্ষা করতে পারবে? আর শেষ পরিণতি বা কী হয়েছিল সেই ভয়ংকর আত্মার ? জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের এই বইটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। তাই আর দেরি না করে অবশ্যই পড়ে ফেলবেন অসাধারণ উপন্যাসটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top