পথের দাবী PDF Download শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

পথের দাবী PDF Download শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, “পথের দাবী” উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সবচেয়ে সমালোচিত ও বিখ্যাত রাজনৈতিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক নবজাগরণের নতুন দিশা। উপন্যাসটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে অনেক সমালোচনা ও বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।

পথের দাবী সারাংশ

উপন্যাসটি প্রথমে লেখক হতে ছাপাতে চাননি কিন্তু পরে বিভিন্ন কারণে বাধ্য হয়ে তিনি উপন্যাসটি ছাপান এবং কিছুদিন পরেই উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ততদিনে পাঠকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। উপন্যাসটি যেন নতুন করে মুক্তিকামী মানুষের চেতনায় আঘাত করেছিল।

গল্পের প্রধান চরিত্র গুলোর মধ্যে রয়েছেন সব্যসাচী মল্লিক তিনি যেন শরৎচন্দ্রের প্রতীকী রূপ । তিনি ছিলেন মূলত পথের দাবী এবং স্বাধীনতার নায়ক। তিনি একদিকে যেমন স্বাধীনতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে চায় তেমনি পুরাতন ধ্যান-ধারণা সামাজিকতার থেকেও তিনি পুরোপুরি মুক্ত নয়।

ত্যাগের এক অপূর্ব চরিত্র হলেন সব্যসাচী মল্লিক তিনি স্বাধীনতার জন্য যেরূপ ত্যাগ-তিতিক্ষা সহ্য করেছেন সত্যি তা অতুলনীয়। আর ছিল এক সাহসী সুন্দরী বুদ্ধিমতি নারী সুমিত্রা যারা কিনা পথের দাবী নামে একটি স্বাধীনতা আন্দোলনের গোপন সংগঠন পরিচালনা করেন।

পথের দাবী দশম শ্রেণী

গল্পের নায়ক অপূর্ব সে মূলত নায়ক নয় বরং উপন্যাসের নায়ক হবার মত সমস্ত গুণাবলী বিবর্জিত। সে একসময় পথের দাবীর সদস্য হয় কিন্তু নিজের স্বার্থের জন্য দলের সাথে বেইমানি করতে পিছুপা হয়না। অপূর্ব আর কেউ নয় তিনি বরং ভারতীয় জনগণের প্রতিচ্ছবি যারা ব্রিটিশ শাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না বরং তাদের অন্যায় অবিচার কে মুখ বুঝে সহ্য করে।

আর ছিল বিমলা যে অতি সাধারন ঘর থেকে উঠে এসে যোগ দেয় একজন মুক্তিকামী মানুষ হিসেবে। বিমলাই অপূর্বকে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করে। উপন্যাসটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে যে তোলপাড় ও নতুন সংগ্রাম এর সূচনা হয় তাতে বিরোধিতা করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।

পথের দাবী সারমর্ম

তিনি প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে লেখক শরৎচন্দ্র কে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কথা না বলাই উত্তম। পথের দাবী উপন্যাসটির পথ চলা যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের মতই কঠিন ও সংগ্রামী ছিল। তবে অনেক আন্দোলন এবং সমালোচনার মধ্যে দিয়ে উপন্যাসটি আজওপাঠকসমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য।

উপন্যাসটিতে প্রথমে আমরা দেখতে পাই অপূর্ব ও বিমলার অতি সাধারন কথাবার্তা এবং সামাজিক ধ্যান-ধারণা কিন্তু ঘটনার বিবর্তনে ধীরে ধীরে পাঠকের নিকট পথের দাবী সংগঠন মুক্তির চেতনা এবং উদ্দেশ্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে। উপন্যাসটি সুদীর্ঘ উপন্যাস তবে এর প্রতিটি লাইনে যেন স্বাধীনতার প্রতি ভালোবাসা সংগ্রাম ত্যাগ তিতিক্ষা মায়া-মমতা ঝরে পড়েছে লেখকের।

শরৎচন্দ্রের উপন্যাস PDF

ব্রিটিশ শাসন আমলের অধীনে বর্ণ তাদের জন্য সাদা মানুষরা এদেশের মানুষের সব রকম ভাবে নিগৃহীত করে এমনকি রেললাইনে অপূর্ব একজন ব্রিটিশ সাদা মানুষের দ্বারা লাঞ্ছিত হয় তেমনি ব্রিটিশদের শাসন এবং অত্যাচার এদেশে অতিমাত্রায় যেন মানুষের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতাকে হরণ করেছিল।

এদেশের মানুষকে মুক্তির সাত থেকে বঞ্চিত করেছিল ব্রিটিশ শাসন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মাস্টারদা সূর্য সেন কে প্রকৃত মুক্তিকামী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন তৎকালীন সময়ে। সব্যসাচী মল্লিক কে নিয়ে না বললেই নয় তিনি উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ আন্দোলনের একজন অগ্রগামী পথিক।

পথের দাবী প্রশ্ন উত্তর

তাকে দেখতে অতি সাধারণ হলেও তিনি ছিলেন শিক্ষিত এবং রুচিশীল। তবুও শুধু স্বাধীনতার জন্য তাকে সব রকম কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। উপন্যাসটিতে যখন বিমালা একটি জঙ্গলের মধ্যে অজ্ঞাতবাস সব্যসাচী কে দেখতে যায়, তখন বিমলা আবিষ্কার করে কি নিদারুণ কষ্ট যন্ত্রনা মধ্যে সে দিন অতিবাহিত করছে। তার দুঃখ কষ্ট দেখে চোখে জল এসে যায় তার।

এসব কিছুই তিনি করেছেন কেবল দেশ স্বাধীন করার জন্য।যখন অপূর্ব নিজের স্বার্থের জন্য তাদের প্রাণের সংগঠন পথের দাবী কে শত্রু পক্ষের নিকট প্রকাশ করে দেয় তখন সেই সংগঠনকে নিদারুণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল। সব্যসাচী কে ধরা পড়তে হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের কাছে।

তবুও নানা বাধা-বিপত্তির ও ত্যাগের মাধ্যমে পথের দাবী সংগঠন কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অন্যান্য সদস্যরা চেষ্টা করতে থাকে।
পথের দাবী উপন্যাসটি সেই সময় ব্রিটিশ সরকারের বিপক্ষে একটি বড় দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। নব জাগরণের সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে।

পথের দাবী PDF

নানারকম ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে, নানা সরকারি নির্দেশনা ও চাপের মধ্য থেকেও বারবার সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও উপন্যাসটিকে ব্রিটিশ সরকার বাতিল করতে পারেনি। তাই প্রতিটি বাঙালির উচিত এই উপন্যাসটি পাঠ করা এবং শরৎচন্দ্রের মত একজন মহান স্বাধীনতাকামী উপন্যাসিকের স্বাধীনতার চেতনায় নিজেকে সমর্পিত করা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top