ফুল লাগলে চেয়ে নিবেন (বেলা দুই ঘটিকা হইতে) PDF Download নসিব পঞ্চম জিহাদী

বর্তমানের একজন জনপ্রিয় থ্রিলার লেখকদের একজন এই ‘নসিব পঞ্চম জিহাদী’ বড়সড় নামের এই লেখকের বইগুলোও হয় বড়সড় নামের। তবে পরীধিতে ছোট! তবে সে ছোট পরীধির বইয়ে ধারন করে অনেক কিছু! সেরকমই একটি বই হলো– ‘ফুল লাগলে চেয়ে নিবেন (বেলা দুই ঘটিকা হইতে)’ অদ্ভুত নাম বটে! লেখকের প্রথম বই হলো– ‘মাঝরাতে একটা গল্প শুনিয়েছিলেন’। মূলত সেটারই সিকুয়েল এই বইটা। বরাবরই অসাধারণ লিখনী। ছোট্ট কিন্তু দারুন এই বইটা যারা পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

পুরান ঢাকার জনসন রোডে নষ্ট হয়ে যাওয়া পানির পাইপ লাইন মেরামত করতে ম্যানহোলে নামলেন রকিব উদ্দিন। ঢাকার ভূগর্ভস্থ স্থানে অদ্ভুত একটি জিনিস দেখে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে উঠেন তিনি। এরকম একটি অদ্ভুত জিনিসের রহস্য কোনোভাবেই সমাধান করতে না পেরে নিজ চোখে দেখা সেই ঘটনার বর্ণনা করেন সুপারভাইজারকে। তিনি সঙ্গেই সঙ্গেই বললেন, “যা দেখেছো, ভুলে যাও”। একপ্রকার বাধ্য হয়ে ভুলে যেতে হলো রকিব উদ্দিনের দেখা বিস্ময়কর জিনিসটি। কি ছিল সেটি?

অন্যদিকে, ফারাবি নামের এক বিজ্ঞাপন নির্মাতা অ্যাওয়ার্ড সাবমিটের জন্য ফিল্ম বানাচ্ছে। সেই ফিল্মের জন্যই তার প্রয়োজন ডায়ালঅলা এক টেলিফোন। ভাগ্যের জোরে জোগাড়ও হয়ে যায় কোনোভাবে। ফিল্মের কাজ করতে করতেই এক অজানা মায়া অনুভব করে ফারাবী সেই ডায়ালঅলা টেলিফোনের প্রতি। বাসায় ল্যান্ডলাইন আবার ফিরিয়ে এনে সেটটায় কানেকশন দিয়ে ফেলল। আর এরপরই ঘটল বিপত্তি।

রাত দুইটার পর রিসিভার কানে নিলে অদ্ভুত ও বিচিত্র সব আওয়াজ শোনা যায় সেখান থেকে। ফিসফাস করে বলে চলা সেসব শব্দের মর্মার্থ বের করাটাও হয়ে পড়ে কথা কষ্টসাধ্য। টেলিফোনের এই রহস্য উদ্ধারে একদিন লাপাত্তা হয়ে গেল ফারাবী।

নিখোঁজ ফারাবীকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ল তার দুই বন্ধু। ঘটনাচক্রে, সেই দুই বন্ধু পেল একটি হলদে হয়ে আসা পুরোনো কাগজ। টাইপরাইটের পুরোনো হরফে লেখা, ‘ফুল লাগলে চেয়ে নিবেন’ (বেলা দুই ঘটিকা হইতে)

সব রহস্য এসে এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। এই রহস্যের সমাধান এবং প্রশ্নের উত্তরগুলো জানতে পড়ে ফেলতে হবে বইটি। বইটার কাহিনী সংক্ষেপ বেশ রহস্যময়। সাথে বইটার শুরুটাও কিছুটা এলোমেলো। লেখকের লেখার সাথে পরিচিত না হলে বিরক্ত হতে পারেন। তবে লেখকের লেখনশৈলী ও গল্প বলার ধরন বরাবরের মতোই অসাধারণ। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে আরকি। বলে না সবুরে মেওয়া ফলে!

বইটা একটা বিষয় খেয়াল করেছি, যিনি কথক হিসেবে ছিলেন উপন্যাসের তার নামটাই কোথাও উল্লেখ পাইনি। এমনকি কোনো কথোপকথনেও তার নামটা আসেনি! অদ্ভুত ব্যাপার একটা চরিত্র হিসেবে তার একটা নাম থাকা নিশ্চয় দরকার ছিল।

লেখকের গত বইটার মত এই বইটাতেও একটু ঐতিহাসিক ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ইতিহাস নিয়ে যার বিন্দুমাত্র কৌতুহল আছে সে এই বিষয়টা উপভোগ করবে নিশ্চিত। আর এজন্য লেখককে বাহবা দেওয়াই যায়।

বইয়ের সমাপ্তিটা মনে ধরেছে। অনেক সময় পুরো বই টানটান উত্তেজনার হলেও দেখা যায় শেষটা হতাশাজনক। বিশেষ করে নতুন লেখকদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হয়। তবে এই লেখক সেটা করেন নি। সুন্দর উপযুক্ত একটা সমাপ্তি দিয়েছেন। সাথে নতুন একটা বই আসতে পারে সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

সবশেষে বলবো, বইটা মাস্ট রিড। অন্তত একটা ভালো বই উপভোগ করতে চাইলে এই বইটা পড়তে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top