পিপলী বেগম PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আমাদের ওয়েবসাইটে হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর বিভিন্ন বইয়ের পিডিএফ ফাইল আছে। আপনি যদি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের পিপলী বেগম বইটির পিডিএফ ফাইল খুঁজে থাকেন, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ভালো করেছেন। এই পোষ্টের নিচে গেলে আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের পিপলী বেগম বইটির পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন বিনামূল্যে।

পিপলী বেগম বইটি অবসর প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে এই বইটির মুদ্রিত মূল্য 170 টাকা এবং এই বইয়ের পৃষ্ঠা রয়েছে মাত্র 55 টি। শিশুতোষ ধরনের বই হলেও যেকোনো বয়সের পাঠক এই বইটি পড়ে মজা পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি রিডিং ব্লক কাটিয়ে উঠতে চান তাহলে এ বইটি আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করবে।

পিপলী বেগম কাহিনী সংক্ষেপ

মতিন সাহেব পেশায় একজন ডাক্তার। পরিবারে রয়েছে তার স্ত্রী এবং তিন মেয়ে। তিন মেরে নাম হল যথাক্রমে নিলু, বিলু এবং তিলু। বড় দুই বোন স্কুলে পড়লেও ছোট মেয়ে স্কুলে সুযোগ পাইনি বলে ভর্তি হয়নি। তাই মতিন সাহেব ছোট মেয়েকে ঘরে পড়ানোর ব্যবস্থা করে। তবে মতিন সাহেবের পেশাদারিত্বের কারণে ছোট মেয়েকে পড়ানোর সুযোগ পাইনা। তবে তার মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। তার স্ত্রীর আবদার এ দুই দিন ছুটি নেয় এবং মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটায়। ছুটির একদিন রাতের বেলা তারা বসে থাকে এবং সেই সময়ে ইলেকট্রিসিটি চলে যাই।

ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়ার কারণে তাদের সময় আর কাটতে থাকে না এবং তিন মেয়ে আবদার করে তাদেরকে গল্প শোনাতে হবে। মতিন সাহেব বিপাকে পড়ে যান এবং ভাবতে থাকেন তাদের মেয়েকে কি গল্প শোনানো যায়। যেহেতু তিনি কোন গল্প জানেন না সেহেতু তিনি একটি গল্প তৈরি করেন এবং মেয়েদেরকে শোনান।

গল্পের বিষয়বস্তু একটি মেয়েকে নিয়ে। এই মেয়ে টি হল একটি পিঁপড়া। তার নাম পিপলী বেগম। স্বাভাবিকভাবে সে পড়াশোনায় ভালো ছাত্রী হয়ে থাকলেও অংক এবং ভূগোলের খুবই কম নাম্বার পেয়ে যাই। উল্লেখ্য যে, মতিন সাহেব যে গল্প বলতে চাচ্ছেন সেই গল্পে তিনি উল্লেখ করেছেন যে পিঁপড়াদের সকল কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবন যেমন ঠিক পিঁপড়াদের দৈনন্দিন জীবন একই ভাবে তিনি সাজিয়েছেন তার গল্পে।

তারেই কম নম্বর পাবার জন্য স্কুলের ম্যাডাম স্থানীয় রানীকে ঘটনাটি জানাতে চান। কারণ সেখানকার নিয়ম হলো এটি। এদিকে পিপলী বেগম বাড়িতে চলে আসে এবং ভয় পাই। কারন সে ভাবতে থাকে রানীর সঙ্গে দেখা হলে তাকে নিশ্চিত ও শাস্তি পেতে হবে। তবে তার পিতা একজন পিঁপড়া হওয়াই খাবারের জন্য কাল পিঁপড়াদের সঙ্গে যুদ্ধে মারা যায়। তবে এ বিষয়টিকে না ভেবে সে তার স্বীয় অপরাধের জন্য পিঁপড়াদের রানীর সঙ্গে দেখা করতে চলে যাই।

সেখানে পিঁপড়াদের রানী তাকে সাদর সম্ভাষণ জানাই এবং তাকে বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে দেয়। পিপলি এ ধরনের অনাকাঙ্খিত আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং অবাক হয়ে যাই। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো যে, মতিন সাহেব গল্পের শেষে পিপলী বেগমকে সেই পিঁপড়া রাজ্যের রানী বানিয়ে দেয়। যদিও বইটি অবাস্তব এবং বাচ্চাদের গল্পের মতো শোনায়, তার পরেও লেখক গল্পটিকে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে যেকোন বয়সের পাঠক এই গল্পটিকে সাদরে গ্রহণ করবে।

পিপলী বেগম PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top