প্রজেক্ট ইক্টোপাস মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্য জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত সব পাঠকদের কাছে। বাংলা সাহিত্য ভান্ডার কে সবদিক দিয়ে সমর্থন করেছেন এই লেখক। বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আমাদের প্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ। তিনি ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের কথা চিন্তা করে উপন্যাসগুলো লিখেছেন যেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মনের খোরাক যোগাতে পারে বা প্রশান্তি আনতে পারে। তার অন্যান্য সব বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে “প্রজেক্ট ইক্টোপাস”অন্যতম।

এই লেখকের এর ছোটবেলা থেকে বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সে আগ্রহ থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির সূচনা ঘটে। তিনি যে কোন একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হওয়া সত্বেও তার বেশি পরিচিতি লাভ হয়েছে লেখালেখির দ্বারা। এ পর্যন্ত এই লেখকের সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো দেখে বেশি সমাদৃত হয়েছে। তিনি একাধারে বিভিন্ন জনারের বই লিখেছেন।

“প্রজেক্ট ইক্টোপাস” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটির প্রকাশিত হয় আনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2018 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 160 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 188টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছেন রবার্ট বাইক। তিন মাস পরে পৃথিবীতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে। তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরোধী দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড পিপলস পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি যখন পার্কে হাঁটছিলেন তখন রোবট তার দিকে লেসার গান তাক করলো। সে জানালো তাকে পাঠানো হয়েছে রবাটের মৃত্যু নিশ্চিত করতে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট নেলসন রবার্ট বাইকের মৃত্যুতে স্তম্বিত হলেন।

পৃথিবীর প্রেসিডেন্ট জ্যাক নেলসন সিসিন গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ফিরছিলেন। তার সাথে তার 14 বছর বয়সে একমাত্র ছেলে হ্যারি এবং ছেলের খেলার সাথী রোবট কিকি। মহাশূন্যে ভয়ঙ্কর প্রাণী ইকুটরা হঠাৎই তাদের স্পেসশিপ আক্রমণ করে। জীবন বাঁচাতে ঘটনাক্রমে তারা এসে পড়ে নিটিন গ্রহে। নীটিন গ্রহে অবতরণের ধকল সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারায় হ্যারি। চোখ খুলে দেখে তার বাবা তার ওপর ঝুঁকে আছে।

অনেক কষ্টে উঠে বসে হ্যারি। তখনই সে পাশে তাকায়। বিস্মিত হয়ে দেখে যে পাশেই তার আর একজন বাবা শুয়ে আছে। অর্থাৎ এখন তার দুজন বাবা। একজন তার সামনে আর অন্যজন তার পাশে অর্থাৎ পৃথিবীর প্রেসিডেন্ট এখন দুজন। ভাবতেই হ্যারির মাথাটা গুলিয়ে ওঠে। সে তার আসল বাবা কে কিভাবে চিনতে পারবে এটাই তার মাথায় আসেনা। এরই মধ্যে তার খেলার সাথী রোবট কিকি জানায় গভীর ষড়যন্ত্র চলছে পৃথিবীর প্রেসিডেন্ট কে নিয়ে। যেকোনো সময় তাকে হত্যা করা হতে পারে। এই কথা শোনার পরে হ্যারি অনেকটা ভয় পেয়ে যায়।

কে তার বাবা? আর কেনই বা তারা দুজন? রহস্যের আরো গভীরে পৌঁছায় সে জানতে পারে এখন তারার বাবা পৃথিবীর পরিচালনা করছে না। পৃথিবী পরিচালনা করছে তার বাবার মত দেখতে আরও একজন। যাকে কিনা নির্দেশনা দিচ্ছে ইক্টোপাস নামের এক রোবট। তাহলে তার বাবা কোথায় গেল? সে জানতে পারে তার নকল বাবা এখন পৃথিবীর পরিচালনা করছে।

শেষ পর্যন্ত হ্যারি কী পারবে তার আসল বাবা কে খুঁজে বের করতে? সে কী রোবট ইক্টোপাসকে পরাজিত করতে পারবে? জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের পুরো বইটা পড়তে হবে। এই উপন্যাসে লেখক দেখিয়েছেন মানুষ চাইলে সব কিছুই পারে। কারন মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। রোবট কখনই মানুষের থেকে বুদ্ধিমান হতে পারে না। লেখক এর এই চমৎকার ও টানটান উত্তেজনা মূলক উপন্যাস টি এখনো না পড়ে থাকলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি করে ফেলুন উপন্যাসটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top