প্রজেক্ট হাইপার মোশতাক আহমেদ pdf download

বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম হল মোশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সে তার প্রতিভা দিয়ে খুব সহজে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু বরাবরই লেখার প্রতি আগ্রহ তার অনেক আগে থেকেই। তিনি সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন বই গুলো লিখেছেন। বাংলা সাইন্স ফিকশন জগতের তার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তার বিভিন্ন সাইন্স ফিকশনের মধ্যে “প্রজেক্ট হাইপার”এটি একটি অন্যতম বই।

মোশতাক আহমেদকে সাহিত্যাঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়। তিনি সাইন্স ফিকশন এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ভৌতিক, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্লাসিক ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে অনেক উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি একটি বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ না থেকে অনেক বিষয়ের উপর লেখালেখি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ লেখক।

“প্রজেক্ট হাইপার” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন। বইটি প্রকাশ করেছে অন্য প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2015 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 183 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 225 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

লেখক মোশতাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখলেও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো রচনার মাধ্যমে। তিনি খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের কাছে খুব সহজে সমাদৃত হয়েছেন। সব বয়সের অনায়াসে পড়তে পারে।

হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল ইটো। জ্ঞান ফিরে আসার পর সে দেখল শিউটন তার বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ইটো শিউটনকে কিছু একটা বলার চেষ্টা করল। কিন্তু সে বলে উঠতে পারল না। কারণ তার বেডের সাথে হাত-পা বাধা আছে।

তার হাত পা বেঁধে রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করতে গিয়েও বাধা প্রাপ্ত হয় সে। প্রফেসর শিউটন তার মুখ বেঁধে রেখেছেন একটু বুঝতে পারল সে প্রফেসর শিউটনের ষড়যন্ত্রের শিকার। সে হাজার চেষ্টা করলেও কিছুই বলতে পারবে না। এখন প্রফেসর শিউটন ইটোর শরীরে লাল হাইপার প্রবেশ করাবে। আর এই লাল হাইপার মানুষকে শিম্পাঞ্জিতে রূপান্তর করে।

এটা এগুলো জানে কারণ ঠিক তার মতই অবস্থা করেছিল তার বান্ধবী ইলিরও। তাকেও এরকম ভাবেই আটকে রাখা হয়েছিল। ইলির শরীরে এতক্ষণে লাল হাইপার প্রবেশ করাতে শুরু করেছে। ইলি প্রচন্ড যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেছে। কিন্তু কিছুতেই কোন লাভ হচ্ছে না। ইটো ইটো এটা খুব ভালো করে বুঝে গেছে তাকেও ঠিক একই রকম ভাবে যন্ত্রণা দেয়া হবে। তাই সে প্রফেসরকে অনুরোধ করছে তার শরীরে যেন লাল হাইপার প্রবেশ করা না হয়।

কারণ সে কিছুতেই চায় না মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জিতে পরিণত হতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। রীতিমতো ইটোর শরীরে লাল হাইপার প্রবেশ শুরু হয়েছে। যন্ত্রণাতে তার চোখ দিয়ে গলগল করে পানি বের হয়ে
আসছিল।

শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল ইলি ও ইটোর ভাগ্যে? তারা কী বেঁচে ফিরতে পেরেছিল সেই প্রফেসরের হাত থেকে? লাল হাইপার কী শেষ পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখতে পেরেছিল? জানতে হলে অবশ্যই অসাধারণ ও চমকপ্রদ এই উপন্যাসটি একবার হলেও পড়ে দেখতে হবে আশা করি অনেক ভালো লাগবে এবং অনেক অজানার রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে সবাই।

1 thought on “প্রজেক্ট হাইপার মোশতাক আহমেদ pdf download”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top