বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ পুতুল ‘। হুমায়ুন আহমেদের প্রতিটা উপন্যাস অত্যন্ত চমৎকার। তার মধ্য এটি অন্যতম। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে। বইটির ৮তম সংস্করণ হয়েছে ২০১২ সালে। বইটির প্রকাশনা করেছে প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা। বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ঃ৫৬ টি। বইটির বাংলাদেশি মুদ্রিত মূল্যঃ ১০০ টাকা। এই বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ০৩ এমবি।
বইটি সাধারণত শিশু- কিশোরদের উপন্যাস। বইটি মূলত একটি ১১ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে লেখা। এই সুন্দর উপন্যাসটি পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি বা পড়ার সুযোগ পাননি, তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া আছে। যদি বইটি পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিন এবং আপনার অবসর সময়ে বইটি পড়ে ফেলুন।
পুতুল উপন্যাসের মূল কাহিনী
এই উপন্যাসের কাহিনী মূলত শুরু হয়েছে ১১ বছরের একটি কিশোর বাচ্চাকে নিয়ে। এই বইটির কাহিনী অনেক বড়ো না হলেও অত্যন্ত মজার। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র পুতুল নামের একটি বাচ্চা। তার সাথে আছে আরো দুজন সহ চরিত্র অন্তু আর তার বোন মরিয়ম। পুতুল হল বড়লোক বাবার একমাত্র সন্তান। বাবা মায়ের আদরের দুলালী সে। পুতুলের বাবা মায়ের কর্পোরেট জীবনে তারা সব সময় অনেক ব্যস্ত থাকে। তারা বাবা মা পুতুলকে একদম সময় দিতে পারেনা। সে কাজের লোকের কাছে বড়ো হয় আর তাদের কাছেই থাকে। তার একটা খুব বড়ো ধরণের অসুখ রয়েছে। কিছুদিন পর তাকে সিংগাপুর নিয়ে যাওয়া হবে চিকিৎসার জন্য।
পুতুল সারাদিন বাসার ভেতরে থাকে। তার দোতালার শিড়ি বেয়ে ছাদে ওঠাও নিষেধ। তার বাসার সামনে সুন্দর একটি বাগান রয়েছে। সেখানে রয়েছে রেইনট্রি আর দুটো বিশাল কদম গাছ। কিন্তু পুতুলের মায়ের এইসব গাছ একদম পছন্দ নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এইগুলো কেটে ফেলার। এইজন্য পুতুলের খুব মন খারাপ। কারণ একমাত্র এই বাগানই তার সঙ্গী।
একদিন পুতুল খুব ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কাউকে সে জানিয়ে যায়না। সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে সে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় অন্তু নামের একটি টোকাই ছেলের সাথে। ঘুরতে ঘুরতে অন্তুর সাথে তার বন্ধুত্ব বেড়ে যায়। অন্তুর সাথে সে বিভিন্ন রকম খেলা করে। কুকুর নিয়ে খেলা করে, রিক্সার পাম ছেড়ে দেয়, লেকের পানিতে মাছ ধরে, সিগারেটের প্যাকেট কুড়ায় এইসব বিভিন্ন কাজ করে। তারপর তার সাথে যেয়ে পরিচয় হয় অন্তুর বোন মরিয়মের। অন্তুর বোন মরিয়ম স্টেশনে পানি বিক্রি করে।
বইটি মূলত অবহেলিত শিশু কিশোরদের জীবনধারা কেমন হয় সেইসব চিত্র নিয়ে। লেখক সাধারণত এই উপন্যাসে দেখিয়েছেন ধনী -গরীবের শ্রেণীর পার্থক্য নিয়ে। বইটি পড়লে বোঝা যাবে সমাজে ধনী- গরীবের পার্থক্য কীভাবে হয়। এরপর কাহিনী এগিয়ে যায়, পুতুল অন্তু আর তার বোন মরিয়মের সাথে চট্টগ্রামে যায় যেখানে তার বাবা মা থাকে। ট্রেনে যেতে যেতে পুতুল অনেক মজা করে।
এদিকে পুতুলের বাবা মা পুতুলের চিন্তায় পাগলপ্রায়। শহরের সবচেয়ে বড়ো পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে তার বাবা মা। এরপর অন্তুরা জানতে পারে পুতুল অনেক বড়ো পরিবারের সন্তান। তখন তারা ঢাকা শহরে ফিরে আসে। পুতুলের বাড়ির সামনে এসে তারা অবাক হয়ে যায়। পুতুল তাদের ভিতরে নিয়ে যেতে পারেনা। তারা মনের ভিতর চাপা কষ্ট নিয়ে ফিরে যায়।