ইতিহাসের বিখ্যাত একজন বিখ্যাত লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তিনি দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চকর উপন্যাসের স্রষ্টা। তিনি তার লেখার মাধ্যমে সবার মন খুব তাড়াতাড়ি জয় করে নিয়েছেন। তার লেখায় বরাবর বাস্তবের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। তিনি তার বিভিন্ন জ্ঞানের নিদর্শন তাঁর উপন্যাসে লিখে গিয়েছেন। তিনি চাকরি সূত্রে বিভিন্ন দেশে অনেক সময় কাটিয়েছেন।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জ্ঞান তার উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে তার বিভিন্ন উপন্যাসে আফ্রিকা মহাদেশের অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যায়। তিনি আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক অজানা তথ্য তাঁর উপন্যাসে খুব সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস এর মধ্যে “কুইন অফ দ্য ডন” অন্যতম। এই উপন্যাসটি খুব সহজেই পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছে। ছোট থেকে বড় সবাই খুব সাদরে গ্রহণ করেছে লেখক এর লেখা কে।
“কুইন অফ দ্য ডন” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি উল্লেখযোগ্য রহস্য, গোয়েন্দা,ভৌতিক ও অ্যাডভেঞ্চারমূলক উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে সেবা প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2017 সালে। বটে প্রচ্ছদ করেছেন রণবীর আহমেদ বিপ্লব। উপন্যাসটি হিস্টোরিক্যাল নোভেলের ঘরানাতে লেখা। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন সায়েম সোলায়মান। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 368 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 114 টাকা। আপনারা কেউ যদি বইটি পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে খুব সহজে ডাউনলোড দিয়ে পড়ে নিতে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
ভয়াবহ এক যুদ্ধে নিহত হন মিশরের ফারাও খেপেররা। একটি বর্বর জাতি দখল করে নেয় পুরো মিশর সাম্রাজ্য। সেই বর্বর জাতি টির নাম হল আটি। তারা তাদের গায়ের জোরে দখল করে নেয় সিংহাসন। সিংহাসনে বসে আটিদের অধিপতি আপেপি। সিংহাসনে বসার পর তিনি নিজেকে ফারাও হিসেবে দাবি করে। ফারাও খেপের ও রানী রীমার সদ্যোজাত কন্যার নাম হল নেফরা।
আপেপি সিংহাসনে বসার পর থেকেই ফারাও কন্যা ও স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করতে লাগে। চারদিক থেকে তাদেরকে কোণঠাসা করার অনেক চেষ্টা করতে লাগে আপেপি ও তার অনুগত দল। অদৃষ্টের পরিহাসে তারা মিশর থেকে পালিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে সঙ্গী হয় সাহায্যকারী টাও, অনুগত রক্ষক, দৈত্যাকৃতি রু ও দাইমা কেম্মাহ। তারা এগিয়ে চলে মেমফিস এর পবিত্র সমাধিভূমির দিকে।
সেই পবিত্র ভূমিতে বাস করছে অনেক বছর ধরে সিক্রেট কাল্টের সদস্যরা। এই কাল্টের নাম হল ব্রাদারহুড অফ ডন। ব্রাদারহুড অফ ডন এর প্রতিষ্ঠাতা সাধনায় প্রতিজ্ঞা করেন রাজকন্যাকে যেভাবেই হোক রক্ষা করবে। আপেপির ষড়যন্ত্রের জাল ক্রমশ আরো জটিল হতে থাকে। তার মনে ওৎ পেতে আছে লোভ, ঘৃণা, ঈর্ষা আর বিশ্বাসঘাতকতা।
শেষ পর্যন্ত ব্রাদারহুড অফ ডনের প্রতিষ্ঠাতা সাধু রয় ও তার অনুগত দল কি মিশরের রাজকন্যা ও ফারাওয়ের স্ত্রীকে রক্ষা করতে পারবে? জানতে হলে পুরো বইটা একবার হলেও পরে দেখতে হবে। এই উপন্যাসটি মিশরীয় ব্যাবিলনীয় প্রেক্ষাপটে লেখা। এটা একটি চিত্তাকর্ষক কাহিনী। যারা এখন পর্যন্ত বৈধ করেননি আমি বলবো যারা বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের একবার হলেও বইটা পড়ে দেখা উচিত। আশা করি কিছুটা সময় অন্য জগতে বিরাজ করবেন এবং অনেক ভালো কাটবে সময়টা।
ai vai, download option e to kujey pai na