রক্তনেশা মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তার উদ্ভাবনী লেখনীর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের মনের মনিকোঠায় পৌঁছে গিয়েছেন। তার লেখাগুলো ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকরাই আনন্দের সহিত পড়তে পারে। তিনি যেমন তাঁর উপন্যাসে অনেক মজার কাহিনী তুলে ধরেছেন তেমনি তার উপন্যাস গুলো পড়লে হৃদয়ে প্রশান্তির অনুভূতি হয়। তার উপন্যাসগুলো এতটাই মর্মস্পর্শী চেয়ে কিছুক্ষণ পর্যন্ত সেই পড়ার রেশটা থেকেই যায়। তার উপন্যাসগুলো বরাবরই সহজ, সরল,সাবলীল হয়। বিভিন্ন উপন্যাস গুলোর মধ্যে “রক্তনেশা” তার অন্যতম একটি লেখা।

লেখক মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু তিনি বরাবরই বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ দেখিয়েছেন। তার সেই আগ্রহ থেকেই মূলত লেখালেখির শুরু। তার রচিত প্যারাসাইকোলজিকাল উপন্যাস, ভৌতিক উপন্যাস, থ্রিলার ও সাইন্স ফিকশন উপন্যাসগুলো অধিক সমাদৃত পাঠকদের কাছে। তিনি হুমায়ূন আহমেদ এর পরের স্থানটি দখল করে নিয়েছেন তার সৃজনশীল লেখনির দ্বারা।

“রক্তনেশা” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2019 সালে। বইটি প্রকাশ করে আনন্দ প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ লিখেছেন নজরুল ইসলাম। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 96 টি। বর্তমান বাজার মূল্য হল 128 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোশতাক আহমেদ খুব সুন্দর ভাবে এই উপন্যাসটি উপস্থাপন করেছেন পাঠকদের কাছে। উপন্যাসটির পুরোটা সময় জুড়ে এক চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। পাঠকদের ধৈর্য বই শেষ পাতা পর্যন্ত আটকে থাকার মত একটি উপন্যাস।

চরিত্র: লুবনা, আকিব, দবীর চাচা, মমতা,দিদু ওঝা।

গ্রামের নাম নীলপুর। সদ্য মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে বের হয়েছে লুবনা। মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে বের হওয়ার পর একটি ক্লিনিকে ডাক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝতে পারে ক্লিনিকে একটি অশরীরী আত্মা আছে। তার সাথে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে। সে বুঝতে পেরেছে ওই আত্মাটি দিদু ওঝার।

ওই আত্মাটি জেগে উঠেছে প্রায় 100 বছর পর। সাপরূপে ঘুরে বেড়ায় গ্রামের আনাচে-কানাচে। মানুষের রক্ত পান করা ওই ওঝার নেশা। একে একে মারা যেতে থাকে একজনের পর একজন। ও লুবনা নিজেও বুঝতে পারে না কখনো তার প্রতি নজর দিয়েছে ওই অশরীরী আত্মা। শুধু সেটা নয় তাকে পাওয়ার জন্য তার পছন্দের মানুষ আগে কেউ দংশন করে ঐ সাপরূপি ওঝা। তারপর একদিন বন্দি করে লুবনাকে। আমাকে বন্দী করে রাখে ভূগর্ভস্থ গোপন কক্ষে। সেখান থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে পালানোর লুবনা।

কিন্তু শত চেষ্টার পরেও রোগ না পেরে ওঠে না ওই আত্মার সাথে। আস্তে আস্তে ওই অশরীরী আত্মা রক্তপান শুরু করে লুবনার দেহ থেকে। ওই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লুবনা প্রার্থনা করতে থাকে। ওই আড্ডাটা লুবনার রক্ত পান করার জন্যই অপেক্ষা করেছে শত বছর।

শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি হয়েছিল লুবনার? সে কী মুক্তি পেয়েছিল ওই নরক যন্ত্রনার হাত থেকে? কেউকি রক্ষা করতে এসেছিল সেই রহস্যময় কক্ষ থেকে? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের বইয়ের প্রথম থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত পড়তে হবে। অসাধারণ রহস্যময় গল্পটি যারা না পড়ে আছেন তারা অনেক কিছু মিস করে গেছেন। তাই বলব একবার হলেও গল্পটি পড়ে দেখুন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top