রাত্রি শেষের গান PDF Download শরীফুল হাসান

বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন থ্রিলার লেখক হলেন শরীফুল হাসান। তার লেখা সবগুলো উপন্যাসে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে। তার সুন্দর উপস্থাপনের জন্য খুব সহজেই পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তার লেখাগুলো এতটাই হৃদয়স্পর্শ হয় যেটা খুব তাড়াতাড়ি পাঠকরা পছন্দ করে। তেমনই এক জনপ্রিয় উপন্যাস হলো “রাত্রি শেষের গান”। তার জনপ্রিয় সব থ্রিলারের মধ্যে এটিও অন্যতম।

“রাত্রি শেষের গান” শরীফুল হাসানের এক অনন্য থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটি প্রথম প্রকাশ হয় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে। বইটি হার্ডকভার ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 168 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 105 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসটিতে লেখক মানুষের বাস্তব জীবনের কিছু চিত্র তুলে ধরেছেন। বইটি পড়তে লাগলে আপনার চোখের সামনে এমন কিছু বাস্তব চিত্র ফুটে উঠবে যেটা আপনি চোখের সামনে দেখেও দেখতে পান না। লেখক তার লেখার মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন পাঠকদের সামনে।

একটা কথা আমরা ছোট বড় সবাই জানি সেটা হল, মানুষের অভাবে নাকি স্বভাব নষ্ট হয়। আসলে কথাটা একদম ঠিক। মানুষ যখন অভাবে পড়ে বা কেউ যখন অভাবের তাড়নায় তার পরিবারকে সঠিকভাবে চালাতে পারেনা, তারা তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অনেক কিছু করে আবার অনেক সময় খারাপ কাজের সাথেও যুক্ত হয়ে যায়। তেমনই এক বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা লেখক তার কলমের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

গল্পটা মাইনুল ও তার মেয়েকে নিয়ে। মাইনুল শারীরিকভাবে অসুস্থ, তার এক পা খুঁড়া। মাইনুলের মেয়ে ও অসুস্থ। তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যেটা জোগাড় করা মাইনুলের পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু কোন বাবা কী চায় তার মেয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যাক? একদিন রাতের আঁধারে মাইনুল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।

সে ভাবছিল কিভাবে তার মেয়ের চিকিৎসা করাবে? এই কথা চিন্তা করতে করতে তার চোখ দিয়ে কষ্টের টপটপ করে পানি পড়ছিল। কষ্টে তার বুক ফেটে যাচ্ছিল। তার মনে হচ্ছিল পৃথিবীতে তার চেয়ে দুঃখী আর কেউ নেই। এসব কথা ভাবতে ভাবতে মাইনুল জোরে চিৎকার করে উঠলো। সে কিভাবে তার রাগকে প্রকাশ করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছিল না।

এমন সময় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটা লোক মাইনুল কে পাগল বলল। এই কথা শুনে মাইনুল ওখানে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং একসময় মাইনুল লোকটার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। মাইনুল সজোরে লোকটিকে ঘুষি, লাথি দিতে থাকলো। মাইনুলের মনে হচ্ছিল পৃথিবীর যত শক্তি আছে সবকিছুই তার ওপর ভর করেছে।

শেষ পর্যন্ত মাইনুল লোকটিকে খুন করে বসে। এই খুনের দায়িত্ব গিয়ে পড়ে পুলিশ অফিসার আরিফুল হক ও হাফিজ সরকারের ওপর। এদিকে এমপির ছেলে তাকেও কারা যেন খুন করেছে। সেই খুনের দায়িত্ব আরিফের উপর পড়ে। উপরমহল থেকে আরিফকে চাপ দেয়া হচ্ছিল খুনের তদন্ত করার জন্য। কিন্তু আরিফ এই খুনের কোন আগামাথা বুঝতে পারছিল না।

আরিফ মাইনুল এর খুনের তদন্ত করতে করতে কি সত্য খুঁজে বের করল? এছাড়াও এমপির ছেলেকেই বা কারা খুন করল? অচেনা লোকটির আসল খুনি কী মাইনুল? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। আপনারা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড দিয়ে পড়তে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। কথা দিতে পারি কিছুটা সময় আপনাদের অনেক ভালো কাটবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top