বাংলাদেশের সাহিত্যজগতে মোশতাক আহমেদ একটি নক্ষত্রের নাম। তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় লেখক। তার লেখায় ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকেরা মোহিত হয়ে যায়। তিনি তার সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠকের হৃদয় তাড়াতাড়ি জয় করে নিয়েছেন। তার রচিত উপন্যাস গুলো কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার কথা বলে। তিনি পাঠকদের মনে এতটাই জায়গা করে নিয়েছেন যে বাংলাদেশের বিখ্যাত সব কবিদের পরেই তার অবস্থান তৈরি করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস গুলোর মধ্যে “রিবিট” অন্যতম।
লেখক বরাবরই বই পড়তে অনেক পছন্দ করতেন। মূলত সেই থেকেই তাঁর লেখালেখির শুরু। তিনি ভৌতিক, থ্রিলার, ভ্রমণ কাহিনী,প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস এছাড়াও সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন উপন্যাসগুলো লিখেছেন। তিনি তার প্রতিভার দ্বারা বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে হুমায়ূন আহমেদের পরের স্থানটি দখল করে নিয়েছে। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হলেও পরিচিত বেশি লাভ করেছেন লেখালেখির দ্বারা।
“রিবিট” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বর্তমান বাজারে মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে 113 টাকা। বইটি আপনারা পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজ উপায় ডাউনলোড দিয়ে পড়ে নিতে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ:
লেখক মোশতাক আহমেদ সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের দ্বারা পাঠকদের কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেছেন। কিশোরদের কাছে তার লেখা রিবিট সিরিজটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমি এই উপন্যাসটির সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরবো। বাকিটুকু অবশ্যই আপনারা বই পড়ে জেনে নেবেন।
দীর্ঘ ত্রিশ বছর পরে গবেষণা শেষে অবসরপ্রাপ্ত বুয়েটের একজন প্রফেসর মানুষের কল্যাণের জন্য ঢাকা শহরে একটি অতি উচ্চ বুদ্ধিমত্তার রোবটকে মুক্ত করে দেয়। রোবটটি অনুভূতি সম্পন্ন ছিল। এই রোবটটির নাম রাখা হয় রিবিট। সেই রোবটটির একমাত্র কাজ হল মানুষের করলাম সাধন করা। মানুষের মতোই রিবিটের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি কান্না, কষ্ট-যন্ত্রনা রয়েছে।
সেই রোবটটির বিশেষ করে যেটি লক্ষণীয় সেটি হল মানুষের প্রতি অর্থাৎ শিশু-কিশোরদের জন্য অফুরন্ত আর সীমাহীন ভালোবাসা। এইসব কাজের জন্য রিবিট ঘুরে বেড়ায় বাংলাদেশের শহর-গ্রামে, পথে-প্রান্তরে, আনাচে-কানাচে এবং অলিতে গলিতে।
একদিন রিবিট যখন মানুষের কল্যাণ সাধনের জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন ঢাকার রাস্তায় ডাস্টবিনের পাশে কুড়িয়ে পায় দুটো অসহায় সংযুক্ত জমজ মানব শিশুকে। সে শিশুদের দেখার পরে বুঝতে পারে শিশু দুইটি খুবই অসুস্থ। ওদের যে করে হোক সুস্থ করে তুলতে হবে। যখন ওদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন রিবিট জানতে পারে ওদের অনেক বড় অসুখ হয়েছে। ওদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
তাইতো ওদের বাঁচানোর জন্য সে সাহায্যের জন্য ছুটে যায় মানুষের কাছে। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় কঠিন সেটা রিবিট বুঝতে পারেনি। কেউ তাকে সাহায্য করতে রাজি হচ্ছিল না। কারো কাছে থেকে আশানুরূপ সাহায্য পাচ্ছিল না রোবট টি। মানুষের জন্য ভালবাসায় ভরা রিবিটের বুকটা দুঃখ-কষ্ট আর যন্ত্রণায় ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল। তারপরও সে আশা নিয়ে এগিয়ে চলে কারণ তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ সাধন করা।
শেষ পর্যন্ত কী রিবিট পেরেছিল ওই দুটো বাচ্চা কে বাঁচিয়ে তুলতে? মানুষের সাহায্য কি পেয়েছিল রিবিট? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের করে ফেলতে হবে চমৎকার এই সাইন্স ফিকশন টি। আশা করি অনেক ভাল সময় কাটাতে পারবেন এই বইটি পড়ে। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি বইটি পড়ে ফেলুন।